১৩ আগস্টের মূল ইভেন্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য মৌলিক পটভূমির বিশ্লেষণ

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

সোমবারের চেয়ে মঙ্গলবারে নির্ধারিত সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট তুলনামূলকভাবে বেশি। কারণ যে কোনো ধনাত্মক সংখ্যা শূন্যের চেয়ে বড়। আজ, নতুন ট্রেডাররা বিভিন্ন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলোর প্রতি মনোযোগ দিতে পারেন। কোনটিই খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, তবে প্রতিটি প্রতিবেদনই মার্কেটে সামান্য প্রতিক্রিয়া উস্কে দিতে পারে। অতএব, সারা দিন ধরে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য বেশ কয়েকবার বিপরীতমুখী হতে পারে।

আজ জার্মানি এবং ইইউতে ZEW ইকোনমিক সেন্টিমেন্ট সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে৷ গতবার, এই সূচকগুলো মার্কেটে কোনও প্রতিক্রিয়া উস্কে দেয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উৎপাদক মূল্য সূচক প্রকাশ করা হবে, যা প্রযুক্তিগত পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটাতে পারে বলে আমরা বিবেচনা করছি না। যুক্তরাজ্যে প্রকাশিতব্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রতিবেদনের মধ্যে রয়েছে বেকারত্বের পরিসংখ্যান, জবলেস ক্লেইমস এবং মজুরি সংক্রান্ত প্রতিবেদন। আমরা মনে করি যে এই প্রতিবেদনগুলো মার্কেটের ট্রেডারদের সেন্টিমেন্টে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।

মৌলিক ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

আজকের মৌলিক ইভেন্টের মধ্যে একমাত্র উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট হচ্ছে ফেডারেল রিজার্ভের আর্থিক কমিটির সদস্য রাফেল বস্টিকের বক্তৃতা। এটা লক্ষনীয় যে ফেডের কর্মকর্তাদের বক্তৃতা বর্তমানে ডলারের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ। মার্কেটের ট্রেডাররা আবারও নিশ্চিত যে ফেড সেপ্টেম্বরে সুদের হার কমাবে এবং এখন তারা মনে করে যে সুদের হার 0.5% কমানো হবে। আমরা এই বিষয়ে দৃঢ়ভাবে সন্দিহান, এবং 18 সেপ্টেম্বর কি আশা করতে পারে তার উত্তর শুধুমাত্র মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনই দিতে পারে। যাইহোক, বস্টিক এবং তার সহকর্মীরা হয়তো ইঙ্গিত দিতে পারে যে ফেড এমন একটি বিকল্প বিবেচনা করছে কিনা।

উপসংহার:

সপ্তাহের দ্বিতীয় দিনের ট্রেডিংয়ে, স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার সাথে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিং চলমান থাকতে পারে, যখন সকালের দিকে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনগুলোর প্রভাবে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের কিছুটা মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে। এটাও লক্ষণীয় যে দিনের শেষভাগে মার্কিন ট্রেডারদের উপরও ব্রিটিশ প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল প্রভাব বিস্তার করতে পারে। ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় থাকতে পারে এবং পাউন্ডের মূল্যের উর্ধ্বমুখী প্রবণতা দেখা যেতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।