GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ১৩ আগস্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং মৌলিক পটভূমিতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু না থাকার কারণে সোমবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের কোন আকর্ষণীয় মুভমেন্ট দেখা যায়নি। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের সবচেয়ে আকর্ষণীয় মুভমেন্ট আজ শুরু হবে। যাইহোক, আমরা উল্লেখ করতে চাই যে আজ কয়েক ঘন্টার মধ্যে যুক্তরাজ্যে বেকারত্বের হার, জবলেস ক্লেইমস এবং মজুরি সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা "গুরুত্বপূর্ণ" হিসাবে বিবেচিত হওয়ার সম্ভাবনা কম। মার্কেটের ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনগুলোর প্রভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে, তবে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে, বুধবার যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। GBP/USD পেয়ারের ভবিষ্যত মূলত এই দুটি প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করবে।

প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে, এই পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং চ্যানেলের উপরে স্থির হয়েছে, তাই কিছু সময়ের জন্য এই পেয়ারের মূল্য বাড়তে পারে। যদি এই সপ্তাহের সামষ্টিক অর্থনৈতিক তথ্য ডলারকে সমর্থন না যোগায়, তাহলে এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী উত্থান দেখা যেতে পারে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

সোমবার 5 মিনিটের টাইম ফ্রেমে শুধুমাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে এবং এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা বেশ কম ছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময়, মূল্য 1.2791-1.2798 এরিয়া থেকে বাউন্স করে এবং প্রায় 20 পিপস কমে যায়। নতুন ট্রেডাররা এই 20 পিপস আয় করে থাকতে পারে।

মঙ্গলবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

প্রতি ঘণ্টার চার্টে, GBP/USD-এর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ভালো সুযোগ রয়েছে কিন্তু এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন পরিলক্ষিত হচ্ছে। ব্রিটিশ পাউন্ড অত্যধিক ক্রয় করা হয়েছে, যখন ডলারের দরপতন ঘটেছে। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড সুদের হার কমাতে শুরু করেছে, যা পাউন্ডের উপর চাপ অব্যাহত রাখতে পারে। কারেকশনটি এখনকার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, যা অবশ্যম্ভাবীভাবে ডিসেন্ডিং চ্যানেলের উপরে এই পেয়ারের মূল্যের কনসলিডেশন ঘটাবে।

মঙ্গলবার, নতুন ট্রেডাররা আবার 1.2748 থেকে ট্রেড করতে পারে, কারণ গতকাল মূল্য এই লেভেলে ফিরে এসেছে। তবে আজ এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্টের সম্ভাবনা কম।

5M টাইমফ্রেমে বিবেচনা করার মতো মূল লেভেলগুলো হল 1.2547, 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145। মঙ্গলবার, যুক্তরাজ্যে বেকারত্বের হার, জবলেস ক্লেইমস এবং মজুরি সম্পর্কিত অপেক্ষাকৃত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এই প্রতিবেদনগুলো এবং মার্কিন উৎপাদক মূল্য সূচকের প্রভাবে মার্কেটে কেবলমাত্র সামান্য প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।