সোমবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে এবং ট্রেডারদের মধ্যে ট্রেড করার আগ্রহ ছিল না। এটি আমাদের প্রত্যাশার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল, কারণ সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিংয়ে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত ছিল না এবং সপ্তাহান্তে কোনো ইভেন্ট মার্কেট সেন্টিমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারেনি। ফরেক্স মার্কেটে সোমবার প্রায়ই "অর্ধদিবস ছুটির" মতো ট্রেডিং কার্যক্রম দেখা যায়। এইভাবে, বর্তমান পরিস্থিতি নিম্নরূপ: গত সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্য 1.0888 লেভেল থেকে কারেকশন করেছে এবং সেখান থেকে পুরোপুরি বাউন্স হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে, এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে, তবে এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা এখন সাত মাস ধরে একই রেঞ্জের মধ্যে ট্রেডিং দেখতে পাচ্ছি। গত সপ্তাহে, এই পেয়ারের মূল্য 1.1000-এ রেঞ্জের উপরের সীমানা স্পর্শ করেছে। অতএব, মূল্যের 1.0600-এর নিম্ন সীমানার দিকে যাওয়ার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট5-মিনিটের চার্টে, সোমবার 1.0940 এর কাছাকাছি একটি সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। যাইহোক, এটি বেশ দেরিতে গঠিত হয়েছিল, এবং প্রায় 30 পিপসের মুভমেন্ট দেখা গিয়েছিল, ফলে তখন মার্কেটে এন্ট্রির কোন মানে ছিল না।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:প্রতি ঘণ্টার চার্টে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের স্বল্প-মেয়াদী নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ হয়েছে কিন্তু মূল্য 1.10 লেভেলের উপরে উঠতে পারেনি। আমরা মনে করি যে ইউরোর ট্রেডাররা এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে এমন সব কারণগুলো সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগিয়েছে, তাই আমরা ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকার আশা করছি না। 24-ঘণ্টার টাইম ফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্য 1.06-1.10 এর ফ্ল্যাট রেঞ্জে রয়েছে। বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্যের এই রেঞ্জ ছেড়ে যাওয়ার কোন কারণ নেই। আমরা এখনও ইউরোর দরপতনের আশা করছি, কারণ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করতে শুরু করেছে যখন ফেডারেল রিজার্ভ এখনও এই ধরণের কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
মঙ্গলবার, নতুন ট্রেডাররা 1.0888-1.0896 এরিয়া থেকে মূল্যের রিবাউন্ড হওয়ার পরে লং পজিশন ওপেন করতে পারে। যাইহোক, এই পেয়ারের মূল্য 1.0940 এর নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে। যেহেতু এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা আবার নিম্ন স্তরে নেমে গেছে, যেকোন সিগন্যাল কার্যকর হতে বেশ কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।
5M টাইম ফ্রেমে বিবেচনা করার মতো মূল লেভেলগুলো হল 1.0526, 1.0568, 1.0611, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971, 1.1011, 1.1043, 1.1091। মঙ্গলবার, ইউরোজোনে ZEW থেকে জার্মানি এবং ইইউ-এর অর্থনৈতিক প্রত্যাশা সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, আজ উৎপাদক মূল্য সূচক প্রকাশিত হবে। এগুলো গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ প্রতিবেদন, তবে এগুলোর প্রভাবে মার্কেটের বর্তমান স্থবির অবস্থা পরিবর্তিত হতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।