GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ১২ আগস্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যেরও কোন সক্রিয় মুভমেন্ট দেখা যায়নি। সেদিন কোন সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক পটভূমি ছিল না, এবং বৃহস্পতিবার এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির পরে, মূল্য ডিসেন্ডিং চ্যানেলের উপরের লাইনের কাছাকাছি ছিল। এইভাবে, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা এখনও অটুট রয়েছে, এবং এই চ্যানেলের শীর্ষ থেকে মূল্যের রিবাউন্ড ঘটলে সেটি নতুন করে ব্রিটিশ মুদ্রার দরপতন শুরু করতে পারে।

এটা মনে রাখা উচিত যে বিশ্বব্যাপী, পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য হ্রাস অব্যাহত থাকা উচিত কারণ মৌলিক পটভূমিতে গত 9-10 মাসে পাউন্ডের মূল্য খুব দৃঢ়ভাবে বেড়েছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই, এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির কোনো প্রকৃত কারণ ছিল না, কিন্তু মার্কেটের ট্রেডাররা বছরের শুরু থেকেই ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর প্রত্যাশায় ট্রেডিং করছে, যে পদক্ষেপ এখনও শুরু হয়নি। মার্কেটের ট্রেডাররা ক্রমাগত মার্কিন ডলার বিক্রি করার জন্য নতুন কারণ উদ্ভাবন করছে, যার সাথে বাস্তবতার কোন সম্পর্ক নেই। অতএব, ব্রিটিশ মুদ্রার দর বৃদ্ধি আবার শুরু হতে পারে, তবে এর জন্য চ্যানেলের উপরে অন্তত একবার কনসলিডেশন হওয়া প্রয়োজন।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

শুক্রবার 5 মিনিটের টাইম ফ্রেমে, 1.2748 এর কাছাকাছি তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। তিনটি সিগন্যালই ভুল ছিল, কারণ এই পেয়ারের মূল্যের 50 পিপসের অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে এবং সারা দিন মূল্যের ফ্ল্যাট মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে৷ প্রতিটি সিগন্যাল গঠনের পরে, মূল্য 20 পিপস দ্বারা উদ্দেশ্যমূলক দিকে যেতে ব্যর্থ হয়েছে। আবারও, নতুন ট্রেডাররা দেখতে পাচ্ছেন যে কার্যকর মুভমেন্ট ছাড়া কোন সিগন্যাল থেকেই লাভ হবে না।

সোমবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ভালো সুযোগ রয়েছে, কিন্তু বর্তমানে প্রতি ঘণ্টার চার্টে এই পেয়ার একটি কারেকশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ব্রিটিশ পাউন্ড অত্যধিক ক্রয় করা হয়েছে, যখন ডলারের দরপতন ঘটেছে। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড সুদের হার কমাতে শুরু করেছে, যা পাউন্ডের উপর চাপ অব্যাহত রাখতে পারে। কারেকশনটি এখনকার চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, যা অবশ্যম্ভাবীভাবে ডিসেন্ডিং চ্যানেলের উপরে এই পেয়ারের মূল্যের কনসলিডেশন ঘটাবে।

সোমবার, নতুন ট্রেডাররা 1.2748 থেকে ট্রেড করতে পারে। যাইহোক, সোমবার মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই, তাই এই পেয়ারের মূল্যের ফ্ল্যাট মুভমেন্ট অব্যাহত থাকার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে।

5M টাইমফ্রেমে বিবেচনা করার মতো মূল লেভেলগুলো হল 1.2547, 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145। সোমবার, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও উল্লেখযোগ্য ইভেন্টের পরিকল্পনা করা হয়নি, তাই সপ্তাহান্তে গুরুত্বপূর্ণ কিছু না ঘটলে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা কম থাকতে পারে। ইদানীং এমন উল্লেখযোগ্য ঘটনা প্রায়ই ঘটছে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।