মঙ্গলবার আরও শান্তভাবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে। শুক্রবারের সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট এবং সোমবারের আতঙ্ক থেকে মার্কেট "পুনরুদ্ধার" করতে শুরু করেছিল এবং গতকাল তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি ছিল না। ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা গড়পরতায় নেমে গেছে, এবং এই পেয়ারের মূল্য মাঝারিভাবে হ্রাস পাচ্ছে। আমরা সোমবার মার্কেটে সৃষ্ট আতঙ্কের কারণগুলো বুঝতে পারছি না এবং সেই অনুযায়ী, মনে করছি যে মার্কিন ডলারের মূল্য আবার "ফ্ল্যাট রেঞ্জে" নেমে গেছে। হ্যাঁ, শ্রম বাজার এবং বেকারত্বের প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল আবারও পূর্বাভাসের চেয়ে নিম্নমুখী ছিল, তবে এর অর্থ এই নয় যে ফেডারেল রিজার্ভ আগামীকাল থেকেই মুদ্রানীতি নমনীয় করা শুরু করবে। বছরের শুরু থেকেই মার্কেটের ট্রেডাররা আশা করছে ফেড শীঘ্রই সুদের হার কমিয়ে দেবে। এবং আগস্ট মাস শুরু হয়ে গেলেও ফেড এখনও সুদের হার কমায়নি। শ্রম বাজার এবং বেকারত্বের প্রতিবেদনে কমপক্ষে চার মাস ধরে দুর্বল ফলাফল পরিলক্ষিত হয়েছে। যাইহোক, শুধুমাত্র আগস্টেই মার্কেটের ট্রেডাররা ভাবতে শুরু করেছিল যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক মন্দা শুরু হয়েছে এবং ফেডকে জরুরীভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এই পেয়ারের মূল্য 1.06-1.10 এর হরিজন্টাল চ্যানেলের মধ্যে রয়েছে। আমরা এই চ্যানেলের নিম্ন সীমানার দিকে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট দেখা যাবে বলে আশা করছি।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্টমঙ্গলবার 5 মিনিটের টাইম ফ্রেমে একটি যুক্তিসঙ্গত ও ইতিবাচক সেল সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, মূল্য 1.0940 লেভেলের নিচে কনসলিডেট হয় এবং মূল্য প্রায় 1.0888-1.0896 এর নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে গিয়েছিল। যাইহোক, অল্পের জন্য মূল্য সেখানে পৌছাতে পারেনি। দিনের শেষে, এই পেয়ারের কোট উপরের দিকে ফিরে আসে, তাই নতুন ট্রেডাররা সামান্য লাভের সাথে ম্যানুয়ালি ট্রেড ক্লোজ করে থাকতে পারে।
বুধবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:প্রতি ঘণ্টার চার্টে EUR/USD পেয়ারের মূল্য বেড়েছে এবং নিম্নমুখী প্রবণতার সমাপ্তি ঘটেছে। আমরা মনে করি যে ইউরোর ট্রেডাররা এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা সৃষ্টি করতে পারে এমন সব কারণগুলো সম্পূর্ণভাবে কাজে লাগিয়েছে, তাই আমরা এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত থাকার আশা করছি না। মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের ফলাফল শুক্রবারে আবার ডলারের দরপতন ঘটিয়েছে, তবে এর মানে এই নয় যে প্রতিদিন মার্কিন গ্রিনব্যাকের দরপতন হবে। 24-ঘন্টার টাইমফ্রেমে 1.06 এবং 1.10-এর মধ্যে একটি ফ্ল্যাট রেঞ্জ দেখা যাচ্ছে। এখনও এই পেয়ারের মূল্যের এই রেঞ্জ ছাড়ার কোন কারণ দেখা যাচ্ছে না।
বুধবার, নতুন ট্রেডাররা নিকটতম লেভেল থেকে ট্রেড করতে পারেন। পর্যাপ্ত সংখ্যক সিগন্যালের গঠনের সাথে বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্যের কার্যকর মাত্রার মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে। যাইহোক, এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা হ্রাস পেতে পারে, এবং বিয়ারিশ কারেকশন অব্যাহত থাকতে পারে।
5M টাইমফ্রেমে বিবেচনা করার মূল লেভেলগুলো হল 1.0526, 1.0568, 1.0611, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971, 1.1011, 1.1043, এবং 1.1091। বুধবারে প্রকাশের জন্য নির্ধারিত একমাত্র প্রতিবেদন হচ্ছে জার্মানির শিল্প উৎপাদন প্রতিবেদন। আমরা এখনও মার্কিন ডলারের পুনরুদ্ধারের আশা করছি।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।