GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ৫ আগস্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

শুক্রবারও স্পষ্টভাবে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার লক্ষণ দেখা গিয়েছে, কিন্তু বৃহস্পতিবার দরপতনের কারণে এই পেয়ারের মূল্য একটি ডিসেন্ডিং চ্যানেলের মধ্যেই রয়ে গেছে। ফলে, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে এবং শুক্রবার থেকে কারেকশন শুরু হয়েছে। যদি আমরা ইউরোর মূল্যের আরও বৃদ্ধির আশা না করি, তবে ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্ষেত্রে দরপতনের আশা করছি। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড শুধুমাত্র মুদ্রানীতি নমনীয় করতে শুরু করেছে। যুক্তরাজ্যের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার কমানোয় পাউন্ডের দর বৃদ্ধির আশা করা অযৌক্তিক। আমরা দাবি করছি না যে পাউন্ডের মূল্য কোনো অবস্থাতেই নতুন করে বৃদ্ধি পাবে না। আমরা শুধু বলছি এ ধরনের মুভমেন্ট যৌক্তিক হবে না। যে কোনো ক্ষেত্রে, নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা সনাক্ত করতে এই পেয়ারের মূল্যকে অবশ্যই ডিসেন্ডিং চ্যানেলের উপরে কনসলিডেট হতে হবে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

শুক্রবার 5 মিনিটের টাইম ফ্রেমে বেশ কয়েকটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠন করা হয়েছিল কিন্তু সেগুলো কার্যকর করা খুব কঠিন ছিল। প্রথম বাই সিগন্যাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের সময় গঠিত হয়েছিল, এই পেয়ারের মূল্য অবিলম্বে 1.2748 লেভেল থেকে বেড়ে গিয়েছিল, যা বাস্তবিক অর্থেই মার্কেটে এন্ট্রি করা খুব কঠিন করে তোলে। পরবর্তীকালে, মূল্য 1.2791-1.2798 এর এরিয়ার উপরে স্থিতিশীল ছিল, কিন্তু ততক্ষণে, মূল্য দিনের নিম্ন লেভেল থেকে 100 পিপের বেশি মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। আমরা মনে করি এই ধরনের সিগন্যাল ব্যবহার করে মার্কেটে এন্ট্রি করা বাঞ্ছনীয় ছিল না। দিনের শেষে, মূল্য 1.2791-1.2798 এর এরিয়ার নিচে কনসলিডেশন করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু এটি করতে ব্যর্থ হয়েছিল।

সোমবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

প্রতি ঘণ্টার চার্টে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ভালো সুযোগ রয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড এখনও অতিরিক্ত কেনা হয়েছে, ডলারের দরপতন হয়েছে, এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার কমাতে শুরু করেছে—ব্রিটিশ মুদ্রার দরপতন অব্যাহত থাকার জন্য আর কী দরকার? সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল আবারও ডলারের জন্য আদর্শন পরিস্থিতি ভেস্তে দিয়েছে। যাইহোক, একই সময়ে, প্রতিদিন মার্কিন প্রতিবেদনগুলো হতাশাজনক ফলাফল প্রকাশিত হবে না এবং যুক্তরাজ্যেও সর্বদা সামষ্টিক ফলাফলের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশিত হবে না। তবুও, মৌলিক পটভূমি সামষ্টিক অর্থনীতির চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়।

সোমবার, নতুন ট্রেডাররা 1.2791-1.2798 পর্যন্ত ট্রেড করতে পারেন। এটি থেকে মূল্যের বাউন্স 1.2848 এর লক্ষ্যমাত্রায় নতুন লং পজিশনের দিকে নিয়ে যেতে পারে। এই লেভেলের নিচে কনসলিডেশন হলে সেটি নতুন করে দরপতনের সম্ভাবনা নির্দেশ করতে পারে।

5M টাইমফ্রেমে মূল লেভেলগুলো হল 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145। সোমবার, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জুলাইয়ের পরিষেবা সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদনের চূড়ান্ত অনুমান প্রকাশিত হবে৷ যাইহোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিষেবা খাতের জন্য আরও গুরুত্বপূর্ণ আইএসএম সূচক প্রকাশ করা হবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।

2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।

চার্টে কী আছে:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।

নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।