বৃহস্পতিবার, GBP/USD পেয়ারের দরপতন বজায় ছিল এবং অবশেষে কার্যকর মাত্রার অস্থিরতা দেখা গেছে। দিনের বেলায় এই পেয়ারের মূল্য প্রায় 140 পিপস মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে, এই দরপতন সম্ভবত যৌক্তিক ছিল। মনে হচ্ছে মার্কেটের ট্রেডাররা এমন একটি সিদ্ধান্তের জন্য সম্পূর্ণরূপে অপ্রস্তুত ছিল, যদিও আমরা বারবার উল্লেখ করেছি যে ট্রেডাররা অদ্ভুতভাবে শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুদের হার কমানোর আশা করছিল। ট্রেডাররা প্রায় সাত মাস ধরে নিরর্থক অপেক্ষা করছে, যেন ফেডারেল রিজার্ভ ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার মুদ্রানীতি নমনীয় করেছে। গতকাল, এটা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ড মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আগে আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণ শুরু করবে। ফেড সেপ্টেম্বরের মধ্যে সুদের হার কমানো শুরু করবে কিনা তা একটি উন্মুক্ত প্রশ্ন রয়েছে গেছে। আমরা আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণের ব্যাপারে মার্কেটের ট্রেডারদের নতুন আশাবাদের প্রতি আস্থা রাখতে পারছি না। আমাদের মতে, মার্কিন মূল্যস্ফীতির বর্তমান স্তর সেপ্টেম্বরে সুদের হার কমানোর বিষয়টিতে সমর্থন যোগায় না। তাই ডলারের দাম ক্রমাগত বাড়তে পারে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্টবৃহস্পতিবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কিছু সিগন্যাল তৈরি হয়। আমরা উল্লেখ করতে চাই যে যখন এই পেয়ারের মূল্যের বেশ কার্যকর মাত্রার অস্থিরতা দেখা যায় তখন অবিলম্বে ছয়টি সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। 1.2848-1.2860 এরিয়ার কাছাকাছি প্রথম সেল সিগন্যাল থেকে বেশ ভালই লাভ হয়েছে। এই পেয়ারের মূল্য কমেছে এবং 3-পিপস বিচ্যুতির সাথে মূল্য 1.2748 লেভেলে পৌঁছেছে। এই লেভেল থেকে রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। 1.2791-1.2798 এরিয়ার কাছাকাছি একটি সেল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে এই লং পজিশনগুলো ক্লোজ করা উচিত ছিল এবং একই সিগন্যাল ব্যবহার করে নতুন শর্ট পজিশন ওপেন করা যেতে পারে। দিনের শেষে, এই পেয়ারের মূল্য আরও 45 পিপস কমেছিল। মোট, তিনটি ট্রেড থেকে প্রায় 125 পিপস উপার্জন করা যেতে পারে।
শুক্রবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:প্রতি ঘণ্টার চার্টে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকার ভালো সুযোগ রয়েছে। ব্রিটিশ পাউন্ড এখনও অতিরিক্ত কেনা হয়েছে, ডলারের দরপতন হয়েছে, এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সুদের হার কমাতে শুরু করেছে—ব্রিটিশ মুদ্রার দরপতন অব্যাহত থাকার জন্য আর কী দরকার? অবশ্যই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল ডলারের জন্য আদর্শ পরিস্থিতি নষ্ট করতে পারে, তবে আমরা আশা করছি যে মার্কেটের ট্রেডাররা এখন ডলার বিক্রি করার পরিবর্তে এটি ক্রয়ের দিকে ঝুঁকবে।
শুক্রবার, নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ধরে রাখতে পারে, তবে মার্কিন সেশন চলাকালীন সময়ে গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, তাই এই পেয়ারের মূল্যের সম্ভাব্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার জন্য প্রস্তুত থাকুন।
5M টাইমফ্রেমের মূল লেভেলগুলো হল 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, এবং 1.3145। আজ, যুক্তরাজ্যে কোন উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, বেকারত্ব, শ্রম বাজার এবং মজুরি সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু)। এটি গঠন করতে যত কম সময় লাগবে, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হবে।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করে দেয়া উচিত।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু এবং মার্কিন সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেড ওপেন করা উচিত। এর বাইরে সমস্ত ট্রেড ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) প্রতি ঘন্টার চার্টে, শুধুমাত্র উল্লেখযোগ্য ভোলাট্যালিটি এবং প্রতিষ্ঠিত প্রবণতার মধ্যেই MACD থেকে প্রাপ্ত সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করার পরামর্শ দেওয়া হয়, যা একটি ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত করা হয়।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্টে কী আছে:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD (14,22,3) সূচক, হিস্টোগ্রাম এবং সিগন্যাল লাইন উভয়ই অন্তর্ভুক্ত করে, এটি একটি সহায়ক টুল হিসেবে কাজ করে এবং এটি সিগন্যালের উৎস হিসেবেও ব্যবহার করা যেতে পারে।
গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা এবং প্রতিবেদন (সর্বদা নিউজ ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত থাকে) যেকোন কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের গতিশীলতাকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, এগুলো প্রকাশের সময় অত্যন্ত সতর্কভাবে ট্রেডিং করতে হবে। প্রচলিত প্রবণতার বিপরীতে আকস্মিকভাবে মূল্যের পরিবর্তন থেকে সুরক্ষিত থাকতে মার্কেটে থেকে বের হয়ে যাওয়াই যুক্তিসঙ্গত হতে পারে।
নতুন ট্রেডারদের সর্বদা মনে রাখতে হবে যে প্রতিটি ট্রেড থেকে লাভ হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল গ্রহণ ও কার্যকর অর্থ ব্যবস্থাপনাই দীর্ঘমেয়াদে ট্রেডিংয়ের সাফল্যের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।