বুধবার, GBP/USD পেয়ারেরও স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার সাথে সাইডওয়েজ ট্রেডিং পরিলক্ষিত হয়েছে। দৈনিক সর্বনিম্ন লেভেল থেকে সর্বোচ্চ লেভেলের পার্থক্য ছিল মাত্র 43 পিপস। এবং যেদিন FOMC-এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে এমন দিনে এই পরিস্থিতি দেখা গেছে... তাহলে ADP থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের মত অন্যান্য ইভেন্ট সম্পর্কে কি বলা যেতে পারে? মার্কেটের ট্রেডাররা বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ধারাবাহিকভাবে ব্রিটিশ পাউন্ড বিক্রি করছিল, কিন্তু এই সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্য স্থির হয়ে আছে। আজ, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে, যেখানে আর্থিক নীতিমালা নমনীয়করণ শুরু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তত্ত্বগতভাবে, এই ধরনের ইভেন্টের প্রভাবে মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়া উচিত। যাইহোক, বাস্তবিক অর্থে, আমরা সন্দিহান যে আমরা আজ কোন প্রতিশ্রুতিশীল প্রবণতা দেখতে পাব কি না। যদি ট্রেডাররা ট্রেড করতে না চায়, তাহলে কোন খবরই তাদের ট্রেড করতে বাধ্য করতে পারবে না।
এই সপ্তাহে স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা ছাড়াও, ট্রেডাররা ফ্ল্যাট মার্কেটের মুখোমুখি হয়েছে, যা প্রতি ঘণ্টার চার্টে স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের উপর কোন প্রভাব ফেলছে না। কোন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের প্রতিক্রিয়ায় যদি মার্কেটে 20 পিপসের মুভমেন্ট দেখা যায়, সেক্ষেত্রে এটি স্পষ্ট যে ট্রেডারদের মধ্যে সক্রিয়ভাবে ট্রেড করা মনোভাব বিরাজ করছে না।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্টবুধবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। এই পেয়ারের মূল্য 1.2848-1.2860 এরিয়া থেকে দুবার রিবাউন্ড করেছে। প্রথম ক্ষেত্রে, মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে, এবং দ্বিতীয় ক্ষেত্রে, 20 পিপসের মুভমেন্ট দেখা গেছে। আমরা নতুন ট্রেডারদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে যদি মার্কেটে কোনো মুভমেন্ট না থাকে, তাহলে ট্রেডিং সিগন্যাল থেকে লাভ করা অসম্ভব হয়ে যায়। সমস্যাটি লেভেল নিয়ে নয় বরং মার্কেটের ট্রেডাররা ট্রেড করতে চাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:প্রতি ঘণ্টার টাইমফ্রেমে নতুন করে GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। এই পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইন অতিক্রম করেছে, তাই আমরা দর বৃদ্ধির পরিবর্তে কমপক্ষে কয়েক সপ্তাহ ধরে এই পেয়ারের দরপতন লক্ষ্য করতে পারি। আদর্শভাবে, পাউন্ডের মূল্যের অন্তত 400-500 পিপস কমে যাওয়া উচিত। মার্কেটের ট্রেডাররা সমস্ত বুলিশ ফ্যাক্টরগুলো প্রায় তিনবার প্রক্রিয়া করেছে, ডলারের দরপতন হয়েছে, এবং ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড এই সপ্তাহের প্রথম দিকে সুদের হার কমানো শুরু করতে পারে। ব্রিটিশ মুদ্রার দর বৃদ্ধির চেয়ে দরপতনেরই বেশি কারণ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার, নতুন ট্রেডাররা 1.2848-1.2860 রেঞ্জের মধ্যে ট্রেড করতে পারে। যদি এই রেঞ্জ থেকে মূল্যের বাউন্স হয়, তাহলে ট্রেডাররা নতুন শর্ট পজিশন খুলতে পারে, যখন এই লেভেলের উপরে কনসলিডেশন হলে লং পজিশন খোলা যেতে পারে।
5M টাইমফ্রেমের মূল লেভেলগুলো হল 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145। আজ, ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফল ঘোষণা করা হবে, এবং গভর্নর অ্যান্ড্রু বেইলির একটি বক্তৃতাও রয়েছে৷ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, গুরুত্বপূর্ণ আইএসএম ম্যানুফ্যাকচারিং পিএমআই প্রকাশ করা হবে। যাইহোক, এতগুলো গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট থাকা সত্ত্বেও, দিনের বেলায় এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (বাউন্স বা লেভেলের ব্রেকথ্রু )। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ভুল সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি এক ঘন্টার টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশের মাধ্যমে দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্য অর্জন করা যেতে পারে।