চলমান ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার প্রভাবে বুধবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হয়েছে। ট্রেন্ডলাইন স্পষ্টভাবে এটি নির্দেশ করে যে পাউন্ডের মূল্য বাড়তে থাকবে। যাইহোক, এটি এখন আর আশ্চর্যজনক নয়, কারণ কয়েক মাস ধরেই পাউন্ডের মূল্যের অযৌক্তিক বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে। গত তিন প্রান্তিকে, আমরা নিয়মিত আমাদের পাঠকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি যে পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কোনো কারণ নেই, তবে যেভাবেই হোক পাউন্ড মূল্য বাড়ছে।
আবারও বুধবার পাউন্ড কেনার কোনো কারণ ছিল না, তবে মার্কেটে পাউন্ডের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা পরিলক্ষিত হয়েছে। জুন মাসে যুক্তরাজ্যের কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক বেড়ে 2.0% এ পৌঁছেছে, আগের মাসেও এই সূচক একই স্তরে ছিল। দেশটির কোর সিপিআই 3.5% এ রয়ে গেছে, যা মে মাসের মতোই ফলাফল প্রদর্শন করেছে। তবে মার্কেটের ট্রেডাররা দেশটির মূল্যস্ফীতি কমবে বলে আশা করছিল। তাহলে এটি কেন পাউন্ডের নতুন লং পজিশন ওপেন করার কারণ হবে? এখন ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড হয়তো (অনুমানিকভাবে) বিবেচনা করছে যে মুদ্রাস্ফীতির পতন বন্ধ হয়ে গেছে এবং সুদের হার কমাতে আরও দেরি করা প্রয়োজন! এই ধরনের কারণ মার্কেটের ট্রেডাররাই বিবেচনা করতে বাধ্য করছে। বাস্তবে, যুক্তরাজ্যের মূল্যস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রায় নেমে যাওয়ার অর্থ হল ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আগস্ট মাসে সুদের হার কমাতে শুরু করতে পারে। এবং এটি পাউন্ডের জন্য একটি শক্তিশালী বিয়ারিশ ফ্যাক্টর।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট5 মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি কার্যকর ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে এই পেয়ারের মূল্য 1.2980-1.2993 এর এরিয়া অতিক্রম করেছিল, যা একটি বাই সিগন্যাল ছিল, এবং তারপর মূল্য 1.3043 লেভেল থেকে বাউন্স করে, যা একটি সেল সিগন্যাল ছিল। নতুন ট্রেডাররা উভয় ক্ষেত্রেই পজিশন ওপেন করতে পারে। প্রথম সিগন্যাল থেকে লাভ ছিল প্রায় 20 পিপস, এবং দ্বিতীয় সিগন্যাল থেকে প্রায় 25 পিপস লাভ হয়েছে৷
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:প্রতি ঘণ্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরির প্রতিশ্রুতিশীল লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, কিন্তু এর মানে এই নয় যে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা তৈরি হবে না। এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা দেখা যাচ্ছে এবং অযৌক্তিক মুভমেন্ট প্রদর্শিত হচ্ছে। বর্তমানে, পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য সর্বশেষ স্থানীয় সর্বোচ্চ লেভেল অতিক্রম করেছে এবং মৌলিক পটভূমিকে উপেক্ষা করে চলেছে। মার্কেটের ট্রেডাররা প্রায় যেকোনো প্রতিবেদনের ফলাফল ব্যবহার করে ব্রিটিশ মুদ্রা ক্রয় করছে।
বৃহস্পতিবার, পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে, এবং নতুন ট্রেডাররা 1.2980-1.2993 এরিয়ায় সিগন্যাল গঠনের আশা করতে পারে। সেখান থেকে মূল্যের রিবাউন্ড নতুন উর্ধ্বমুখী প্রবণতায় এই পেয়ারের ট্রেডিং দেখতে পাওয়ার ইঙ্গিত দেয়। এই এরিয়ার নিচে মূল্যের কনসলিডেশন ঘটলে সেটি মন্থর দরপতনের ইঙ্গিত দেবে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913 , 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145। আজ, যুক্তরাজ্যে বেকারত্ব এবং মজুরি সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যা ব্যবহার করে মার্কেটের ট্রেডাররা নতুন লং পজিশন ওপেন করতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আনএমপ্লয়মেন্ট বেনিফিটের আবেদন সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে যেটিকে গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সভা এবং ইসিবির প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তৃতা পাউন্ডের ট্রেডারদের সেন্টিমেন্টকেও প্রভাবিত করতে পারে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।