বুধবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হয়, এই পেয়ার স্বাভাবিক নিম্নগামী কারেকশন শুরু করতে ব্যর্থ হয়েছে। বুধবার ইউরোর দর বৃদ্ধির কোন ভিত্তি ছিল না, কিন্তু, যেমনটি আমরা বারবার উল্লেখ করেছি, এটি এখন মার্কেটের ট্রেডারদের জন্য একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক। গতকাল, ইইউ-এর জুনের ভোক্তা মূল্য সূচকের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হয়েছিল, যেটির ফলাফল প্রথমটির থেকে খুব বেশি আলাদা ছিল না। স্পষ্টতই, এই প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়নি। এবং যদিও মার্কেটে প্রতিক্রিয়া শুরু হওয়া উচিত ছিল, তবে অন্তত ইউরোর মূল্য আবার বৃদ্ধি পাওয়া উচিত ছিল না। জুন মাসে ইউরোজোনের মূল্যস্ফীতি 2.5% এ নেমে এসেছে। এবং এই অঞ্চলের মুদ্রাস্ফীতি 2% এর কাছাকাছি রয়েছে, আমরা এই বছর ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক থেকে আরও দুইবার সুদের হার কমানোর আশা করতে পারি। এদিকে, ফেডারেল রিজার্ভ সুদের কমানোর জন্য কোনো সংকেত পদেয়নি, তবে মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও নিশ্চিত যে এটি শীঘ্রই ঘটবে। সম্ভবত এই কারণে মার্কেটে মার্কিন ডলার বিক্রি করা হচ্ছে।
প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে বলতে গেলে, সবকিছু খুব সহজ এবং স্পষ্ট রয়েছে। এক ঘন্টার টাইমফ্রেমে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে এবং এর মধ্যে এমনকি মূল্য ট্রেন্ড লাইনের নিচে কনসলিডেট করার চেষ্টা করেনি। তাই এই পেয়ারের মূল্য ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী হচ্ছে। মনে রাখবেন যে 24-ঘন্টার টাইমফ্রেমে দেখা যাচ্ছে যে 2024 সালে এই পেয়ার 1.0650 এবং 1.1000 এর মধ্যে ট্রেড করছে। তাই, আমরা মনে করি যে মূল্য 1.1000 এর লেভেলের যত কাছাকাছি যাবে, বিয়ারিশ রিভার্সালের সম্ভাবনা তত বেশি হবে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই পেয়ার বাই সিগন্যাল তৈরি করেছিল, যখন মূল্য 1.0889-এর লেভেলে পৌঁছেছিল। আমরা বলেছি যে বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা অত্যন্ত কম থাকায় লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে মূল্যের কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। বুধবার, ইউরোর মূল্য 1.0935 এর লেভেলে পৌঁছেছে, এই লেভেল অতিক্রম করেছে এবং তারপরে মূল্য এই লেভেলের নিচে কনসলিডেট করেছে। অতএব, শেষ সিগন্যাল কাজ লাগিয়ে লং পজিশন ক্লোজ করা সম্ভব ছিল। ট্রেডাররা এই ট্রেড থেকে 25 পিপস লাভ করতে পারে। স্বাভাবিকভাবেই এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতারমাত্রা খুবই কম রয়েছে।
COT রিপোর্ট:এই পেয়ারের সর্বশেষ COT রিপোর্ট ৯ জুলাই প্রকাশিত হয়েছে। নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশন দীর্ঘদিন ধরেই বুলিশ রয়েছে। মার্কেটে এই পেয়ারের বিক্রেতাদের আধিপত্য অর্জনের প্রচেষ্টা শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে নন-কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশন (লাল লাইন) হ্রাস পাচ্ছে, অন্যদিকে কমার্শিয়াল ট্রেডারদের নেট পজিশন (নীল লাইন) বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্তমানে, এটি প্রায় সমান, যা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ দখল করার জন্য বিক্রেতাদের নতুন প্রচেষ্টার ইঙ্গিত দেয়।
আমরা ইউরোর ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাকে সমর্থন করতে পারে এমন কোনো মৌলিক কারণ দেখতে পাচ্ছি না, যখন প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণও এই ইঙ্গিত দেয় যে এই পেয়ারের মূল্য কনসলিডেশন জোনে রয়েছে যা একটি ট্রায়াংগেল দ্বারা চিহ্নিত হচ্ছে। এখন কোন সীমানার উপর দিয়ে মূল্য এই ট্রায়াংগেল ছেড়ে যায় তার উপর এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট নির্ভর করবে।
বর্তমানে, লাল এবং নীল লাইন একে অপরের কাছে আসছে, যা ইউরোর শর্ট পজিশনে বৃদ্ধি নির্দেশ করে।গত সপ্তাহের রিপোর্ট অনুযায়ী, নন-কমার্শিয়াল গ্রুপের লং পজিশনের সংখ্যা 1,500 কমেছে, যেখানে শর্ট পজিশনের সংখ্যা 11,600 কমেছে। ফলস্বরূপ, নেট পজিশনের সংখ্যা 13,100 বেড়েছে। COT রিপোর্ট অনুযায়ী, এখনও ইউরোর উল্লেখযোগ্য দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে।
EUR/USD পেয়ারের 1H চার্টের বিশ্লেষণ1-ঘন্টার চার্টে, নতুন করে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা তৈরি হচ্ছে। আমাদের কাছে বর্তমানে একটি ট্রেন্ড লাইন রয়েছে, যার উপরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে। গত দুই সপ্তাহের সমস্ত অর্থনৈতিক প্রতিবেদন ডলারের উপর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলেছে, তাই এই পেয়ারের দরপতনের কোন লক্ষণ পাওয়া যাচ্ছে। এদিকে, 24-ঘন্টার টাইমফ্রেমে বৈশ্বিক পর্যায়ে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে, যার মানে এখনও এই পেয়ারের মূল্য 1.06 লেভেলে ফিরে যেতে পারে।
18 জুলাই, আমরা ট্রেডিংয়ের জন্য নিম্নোক্ত লেভেলগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছি: 1.0530, 1.0581, 1.0658-1.0669, 1.0757, 1.0797, 1.0843, 1.0889, 1.0935, 1.1006, 1.1092, সেইসাথে সেনকৌ স্প্যান বি লাইন (1.0805) এবং কিজুন-সেন (1.0906) লাইন রয়েছে। ইচিমোকু সূচক লাইনগুলো দিনের বেলা অবস্থান পরিবর্তন করতে পারে, তাই ট্রেডিং সিগন্যাল সনাক্ত করার সময় এটি বিবেচনা করা উচিত। যদি মূল্য 15 পিপস দ্বারা নির্ধারিত দিকে চলে যায় তবে ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করতে ভুলবেন না। যদি সিগন্যালটি ভুল বলে প্রমাণিত হয় তবে এটি আপনাকে সম্ভাব্য লোকসানের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করবে।
বৃহস্পতিবার, ইসিবির সভার ফলাফল ঘোষণা করা হবে, তবে এই বিষয়ে খুব বেশি ধোঁয়াশা নেই। ইসিবির সুদের হার অপরিবর্তিত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। ইসিবির সভাপতি ক্রিস্টিন লাগার্ডের বক্তৃতা আরও বেশি তাৎপর্য বহন করে কারণ তিনি সেপ্টেম্বরের পরবর্তী সভায় ট্রেডাররা কী আশা করতে পারেন তার ইঙ্গিত দিতে পারেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুধুমাত্র জবলেস বেনিফিট ক্লেইমস সংক্রান্ত একটিমাত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে যেটিকে গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
চার্টের সূচকসমূহের বর্ণনা:মূল্যের সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হচ্ছে গাঢ় লাল লাইন, যার কাছাকাছি মুভমেন্ট শেষ হতে পারে। এগুলো ট্রেডিং সংকেত প্রদান করে না।
কিজুন-সেন এবং সেনকৌ স্প্যান বি লাইন হল ইচিমোকু সূচকের লাইন, যা 4-ঘন্টা থেকে এক ঘন্টার চার্টে সরানো হয়েছে। এগুলো শক্তিশালী লাইন।
এক্সট্রিম লেভেল হল হালকা লাল লাইন যেখান থেকে মূল্য আগে বাউন্স করেছে। এগুলো ট্রেডিং সিগন্যাল প্রদান করে।
হলুদ লাইন হল ট্রেন্ড লাইন, ট্রেন্ড চ্যানেল এবং অন্য কোন প্রযুক্তিগত নিদর্শন।
COT চার্টে সূচক 1 প্রতিটি শ্রেণীর ট্রেডারদের নেট পজিশনের আকার প্রতিফলিত করে।
COT চার্টে সূচক 2 নন কমার্শিয়াল গ্রুপের নেট পজিশনের আকার প্রতিফলিত করে।