EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ১১ জুলাই: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

বুধবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি অব্যাহত ছিল। যাইহোক, মূল বিষয় এই নয় যে এই পেয়ারের মূল্য বেড়েছে, বরং আসল কথা হচ্ছে গতকাল এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা মাত্র 19 পিপসে নেমে এসেছে। সাধারণভাবে, এই পেয়ারের মূল্য কোন দিকে যাচ্ছে তা আর বিবেচ্য বিষয় নয়, কারণ কোন উল্লেখযোগ্য মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে না। নির্দিষ্ট দিকে 100 পিপসের মুভমেন্ট সম্পন্ন করতে যদি দুই সপ্তাহ লেগে যায় তাহলে ভেবে দেখুন। কে এই পেয়ার ট্রেড করতে আগ্রহী হবে? গত 6-12 মাস ধরে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা ক্রমাগতভাবে হ্রাস পাচ্ছে। কেন এটি ঘটেছে তা বলা বেশ কঠিন, বিশেষ করে যেহেতু প্রচুর মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি রয়েছে। মার্কেটে ট্রেড করার জন্য ভিত্তি আছে। অবশ্যই, মার্কেটে মাঝে মাঝে ফ্ল্যাট ট্রেডিং দেখা যায়, কিন্তু আমরা বর্তমানে এই ধরনের কোন সময়কাল অতিক্রম করছি না।

গতকাল, দিনের একমাত্র ইভেন্ট ছিল মার্কিন কংগ্রেসের সামনে ফেডারেল রিজার্ভ প্রধান জেরোম পাওয়েলের দ্বিতীয় বক্তব্য। এই পেয়ারের মূল্যের পর্যবেক্ষণ করে সহজেই অনুমান করা যায় যে এই ইভেন্টের প্রতি ট্রেডাররা কতটা আগ্রহী ছিল৷ পাওয়েলের ভাষণ থেকে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের ভবিষ্যত কর্মপন্থা সম্পর্কে কোন নতুন তথ্য পাওয়া যায়নি।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

5 মিনিটের টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের কোন ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়নি। 19 পিপসের অস্থিরতার মধ্যে এমনকি একটি সিগন্যালের আশা করাও নির্বোধের মতো কাজ হবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যখন মূল্য 1.0804 লেভেল থেকে বাউন্স হয়ে যায় তখন পজিশন ওপেন করার একমাত্র সুযোগ ছিল। আমরা নতুন ট্রেডারদের বারবার সতর্ক করে দিয়েছি যে এমনকি টাইমফ্রেমেও, কোনো লাভের আশা করতে 1-3 দিন ধরে ট্রেড করা দরকার।

বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

প্রতি ঘন্টার চার্টে, EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.0678 লেভেলের মধ্য দিয়ে ব্রেক করে যেতে পারেনি, এবং গত সপ্তাহের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল ডলারের উপর বিধ্বংসী প্রভাব ফেলেছিল। সুতরাং, ইউরোর দর বৃদ্ধির বিষয়টি যৌক্তিক ছিল। এই ধরনের মুভমেন্ট সত্ত্বেও, সামগ্রিকভাবে এই পেয়ারের মূল্যের (নিম্নমুখী) প্রবণতা পরিবর্তিত হয়নি, কিন্তু গত 7-8 মাস ধরে ইউরো প্রায়শই শক্তিশালী কারেকশনের সাথে ট্রেড করছে। আনুষ্ঠানিকভাবে, হায়ার টাইমফ্রেম অনুযায়ী ইউরোর মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে, তবে মধ্যমেয়াদে এই পেয়ারের দরপতনের প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত ধীর গতির ছিল।

বৃহস্পতিবার, নতুন ট্রেডাররা 1.0838-1.0856 এরিয়া থেকে ট্রেড করতে পারে। আজ, মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা বাড়তে পারে, তবে এটি আর কতটা বাড়বে? এমনকি 40 পিপসের মুভমেন্টকেও খুব কমই আকর্ষণীয় হিসেবে গণ্য করা যেতে পারে।

5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল৷ 1.0483, 1.0526, 1.0568, 1.0611, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971-1.0981. আজ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জুন মাসের গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন এবং জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। জার্মানিতেও জুনের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশ করা করবে, যা গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ হিসেবে বিবেচনা করা যায়।

ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।