বুধবারে অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট আছে, কিন্তু কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। যাইহোক, গত দুই দিনে আমরা দেখতে পেয়েছি যে বাজার, সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি নির্বিশেষে, আরও ট্রেডাররা সক্রিয় হতে প্রস্তুত নয়। ইউরো এবং পাউন্ড উভয়ের মূল্যের সাইডওয়েজ মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হচ্ছে। অতএব, আমরা আজ একই পরিস্থিতি দেখতে পারি। জুনের ইউরোজোন, জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্ট্যান্ডার্ড সার্ভিসেস পিএমআই প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এগুলো গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ প্রতিবেদন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আরও গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে: পরিষেবা খাতে আইএসএম ব্যবসায়িক কার্যকলাপ সূচক এবং বেসরকারী খাতের কর্মসংস্থানের পরিবর্তনের উপর এডিপি থেকে প্রতিবেদন (ননফার্ম পেরোলের অনুরূপ) প্রকাশিত হবে। এই প্রতিবেদনগুলি মার্কেটে ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া উস্কে দিতে পারে, কিন্তু উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা বিরাজ করবে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:বুধবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে, শুধুমাত্র FOMC-এর সর্বশেষ বৈঠকের মিনিট বা কার্যবিবণী প্রকাশিত হবে। মনে রাখবেন যে ফেডের মিনিট বা কার্যবিবরণীর প্রকাশনা সর্বদা একটি আনুষ্ঠানিকতা। মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান ইতোমধ্যেই বৈঠকের পরে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে, অথবা এটি সভার চূড়ান্ত বিবৃতিতে অন্তর্ভুক্ত থাকে। অতএব, আমরা ফেডের মিনিটের প্রভাবে মার্কেটে কোন প্রতিক্রিয়ার আশা করছি না।
উপসংহার:বুধবার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। আজকের আলোচ্যসূচির প্রধান প্রতিবেদনগুলো হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ADP এবং ISM থেকে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদন৷ যাইহোক, গত দুই দিনেও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের প্রকাশনা এবং ইভেন্ট ছিল, কিন্তু মার্কেটে সেগুলোর ধারাবাহিক প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। মার্কেটের ট্রেডাররা সেগুলোর মধ্যে কয়েকটি প্রতিবেদন উপেক্ষা করেছে, কারণ তারা বর্তমানে ফ্রান্সের নির্বাচনে অনেক বেশি আগ্রহী। মনে হচ্ছে আজ উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য উল্লেখযোগ্য অস্থিরতা ছাড়াই সাইডওয়েজ মুভমেন্ট প্রদর্শন করতে থাকবে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।