শুক্রবারের শেষের দিকে ডলারের দরপতন শুরু হয় এবং আজকের এশিয়ান সেশন শুরু হওয়ার সাথে সাথে এটি দুর্বল হতে থাকে। আসলে, ডলারের দর তুলনামূলকভাবে সংকীর্ণ রেঞ্জের উপরের সীমানায় চলে গেছে। এর প্রধান কারণ ছিল ট্রাম্প ও বাইডেনের মধ্যে বিতর্ক। শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ, বাইডেন বিতর্কে নিশ্চিতভাবে হেরে গেছেন এমন মতামত অগণিত আতঙ্কিত প্রতিবেদনের কারণে পরিণত হয়েছে। প্রধান প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা মনে করেন যে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে ফিরে আসলে সেটি একটি বিপর্যয়কর পরিস্থিতি হয়ে উঠতে পারে।
আজ, এই পেয়ারের মূল্য যে রেঞ্জে অবস্থান করছে তার নিম্ন সীমানায় পিছিয়ে যেতে পারে। মোদ্দা কথা হলো গত সপ্তাহে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বেশ কয়েকজন প্রতিনিধি চলতি বছর শেষের আগে আরও দুইবার সুদের হার কমানোর সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেছেন। এতে ক্রিস্টিন লাগার্ডের আজকের বক্তৃতার একটি ভূমিকা ছিল বলে মনে হচ্ছে। যদি ইসিবি প্রেসিডেন্ট কোনভাবে এই বিবৃতি নিশ্চিত করেন, তাহলে অনিবার্যভাবে ইউরোর দরপতন হবে। যাইহোক, ইউরোর মূল্য এখনও রেঞ্জের বাইরে যেতে সক্ষম হবে না। শুক্রবারের জন্য নির্ধারিত মার্কিন ডিপার্টমেন্ট অফ লেবার থেকে প্রতিবেদন প্রকাশের আগে বিনিয়োগকারীরা এত বড় ঝুঁকি নিতে আগ্রহী নয়।
দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রথমবারের মতো, EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.0670/1.0750 এর হরিজন্টাল রেঞ্জ থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছে। ফলস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য এই রেঞ্জের উপরের সীমানা অতিক্রম করায় সেটি ইউরোর লং পজিশনের পরিমাণ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
চার-ঘণ্টার চার্টে, RSI টেকনিক্যাল ইন্ডিকেটর 50/70 এর উপরের অংশে ঘোরাফেরা করছে, যা লং পজিশনের ভ্লিউমের বৃদ্ধি নির্দেশ করে।
এদিকে, অ্যালিগেটরের এমএ 4-ঘণ্টার চার্টে জড়িয়ে আছে, যা হরিজন্টাল রেঞ্জের সমাপ্তি ঘটার সংকেত।
পূর্বাভাসএই ক্ষেত্রে, দিনের বেলায় মূল্য 1.0750 এর লেভেলের উপরে থাকলে ইউরোর মূল্যের পরবর্তী বৃদ্ধির সংকেত দিতে পারে, এক্ষেত্রে মূল্য কমপক্ষে 1.0800 এর লেভেলের উপরে যাবে। এটি দীর্ঘ কারেকটিভ ফেজের পর ইউরোর মূল্যের পুনরুদ্ধারের শুরুকে চিহ্নিত করবে। যাইহোক, যদি মূল্যের এই রেঞ্জের উপরের সীমানা ব্রেক করে ফেলা একটি ফলস সিগন্যালে পরিনত হয় এবং মূল্য আবার রেঞ্জে ফিরে আসে, তাহলে এই পেয়ারের মূল্য রেঞ্জের মধ্যেই থাকতে পারে।
বিস্তারিত সূচক বিশ্লেষণ স্বল্প-মেয়াদী এবং দৈনিক ভিত্তিতে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বগামী মুভমেন্টের সম্ভাবনা নির্দেশ করে।