বৃহস্পতিবারের জন্য বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট নির্ধারিত হয়েছে, যার মধ্যে কিছু অপেক্ষাকৃত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের প্রকাশনা রয়েছে। জার্মানি, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার তুলনামূলকভাবে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নেই। যাইহোক, ট্রেডাররা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিতব্য জিডিপি প্রতিবেদনের চূড়ান্ত মূল্যায়ন এবং ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে মনোযোগ দিতে পারে। প্রকৃতপক্ষে, এগুলো বেশ গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন, যদিও এই সপ্তাহের শুরুতে আমরা বলেছিলাম যে এগুলোর ফলাফলের প্রভাবে ট্রেডারদের কাছ থেকে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার আশা করা উচিত নয়। যাইহোক, এই সপ্তাহে, আগ্রহের জন্ম দিতে পারে এমন কোন প্রতিবেদন পাওয়া যায়নি। অতএব, এমনকি এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলও মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময় উল্লেখযোগ্য মুভমেন্টের দিকে নিয়ে যেতে পারে কারণ অন্য কোন বড় অনুঘটক নেই।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:বৃহস্পতিবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে, আমরা শুধুমাত্র ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের কর্মকর্তা ফ্র্যাঙ্ক এল্ডারসনের বক্তৃতার কথা তুলে ধরতে পারি, তবে এটি স্পষ্ট যে এই ইভেন্টটি খুব একটা আগ্রহ সৃষ্টি করবে না। মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যেই জানেন যে আগামী মাসগুলিতে ইসিবির কাছ থেকে কী আশা করা যায় এবং আমরা ইতোমধ্যেই ইসিবির মুদ্রা কমিটির অনেক প্রতিনিধির বক্তব্য শুনেছি। তারা সবাই কমবেশি একই জিনিস বলছে - সেপ্টেম্বরে দ্বিতীয়বারের মতো স্যদের হার কমানো যেতে পারে এবং বছরের শেষ নাগাদ প্রতিটি বৈঠকে 0.25% করে তিনবার সুদের হার কমানো হতে পারে।
উপসংহার:আজ, আমরা সপ্তাহের প্রথম তিন দিনের তুলনায় আজ কিছুটা শক্তিশালী মুভমেন্টের আশা করতে পারি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, এবং বিনিয়োগকারীরা সেগুলোর ফলাফলের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট সম্পূর্ণরূপে এই প্রতিবেদনের উপর নির্ভর করতে পারে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।