বুধবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের বেশ শক্তিশালী নিম্নগামী মুভমেন্ট দেখা গিয়েছে, যদিও এই পেয়ারের দরপতনের কোন স্বতন্ত্র কারণ ছিল না। গতকাল কোন মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ছিল না। তবুও, আমরা বেশিরভাগ পরিস্থিতিতে পাউন্ডের দরপতনকে সম্পূর্ণরূপে সমর্থন করি, কারণ আমরা দৃঢ়ভাবে মনে করি যে এর ন্যায্য মূল্য বর্তমান লেভেলের তুলনায় 500-600 পিপস কম। মার্কেটের ট্রেডাররা এমন একটি শক্তিশালী মুভমেন্টের জন্য প্রস্তুত কিনা তা স্পষ্ট নয়, তবে আমরা আত্মবিশ্বাসের সাথে বলতে পারি যে ব্রিটিশ পাউন্ড ক্রয়ের কোনও প্রযুক্তিগত, মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তি নেই। প্রায় ছয় মাস ধরে, বেশিরভাগ কারণই এই ইঙ্গিত দেয় যে GBP/USD পেয়ারের মূল্য কমে যাওয়া উচিত।
প্রতি ঘণ্টায় একটি ডিসেন্ডিং চ্যানেল তৈরি হয়েছে, যা কাজটিকে কিছুটা সহজ করে তোলে। এই চ্যানেলের মধ্যে যতক্ষণ মূল্য থাকবে ততক্ষণ এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ মোমেন্টাম বজায় থাকার একটি ভাল সুযোগ রয়েছে। তবে, পাউন্ডের ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন কারণ এটি এখনও ডলারের বিপরীতে দরপতন প্রদর্শন করতে নারাজ। আমরা হয়তো একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, কিন্তু এই বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত, মার্কেটের ট্রেডাররা কেবল ব্রিটিশ মুদ্রা বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, 1.2684-1.2693 এরিয়ায় মোটামুটি ভাল সেল সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। যেহেতু এই পেয়ারের মূল্য দিনের বেশিরভাগ সময় নির্দিষ্ট প্রবণতা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে, তাই মূল্য 1.2605-1.2633 এর নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে। ট্রেডাররা শর্ট পজিশন থেকে প্রায় 40 পিপ লাভ করতে পারে। বর্তমানে, আমরা আপনাকে মূল্য নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানোর পরে পজিশন ক্লোজ করার পরামর্শ দেব, কারণ দিনে একাধিক সিগন্যাল তৈরি হওয়ার আশা করা বেশ চ্যালেঞ্জিং।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:প্রতি ঘণ্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা গঠনের প্রতিশ্রুতিশীল লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, যদিও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা বাতিল করা হয়নি। ই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার সম্ভাবনার ব্যাপারে বলতে গেলে, এটা একটা ভালো জিনিস যে মূল্য 1.2693 এর লেভেল দুইবার অতিক্রম করতে পেরেছে; যাইহোক, মার্কেটের ট্রেডাররা প্রায়শই এই পেয়ার বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, এমনকি প্রযুক্তিগত, মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণের উপস্থিতিতেও এই ধরনের পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এমনকি এখন, এটা স্পষ্ট যে প্রতিটি নতুন নিম্ন লেভেল পূর্ববর্তী লেভেলের চেয়ে সামান্য নিচে অবস্থিত, যা এই ইঙ্গিত দেয় যে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী প্রবণতা বেশ দুর্বল।
বৃহস্পতিবার, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের অনিয়মিত এবং অযৌক্তিক মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য ডিসেন্ডিং চ্যানেলের উপরের সীমানার দিকে ফিরে যেতে পারে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2457, 1.2502, 1.2541-1.2547, 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980। আজ, যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে তুলে ধরার মতো কিছুই নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যার মধ্যে দুটি মার্কেট সেন্টিমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে। এই প্রতিবেদনগুলো জিডিপি এবং ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদন।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।