GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ২৫ জুন: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

সোমবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

GBP/USD পেয়ার আবার 1.2633 লেভেল থেকে বাউন্স করেছে এবং সম্ভবত উদীয়মান নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যে একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন শুরু হয়েছে। যেহেতু সোমবার কোনো উল্লেখযোগ্য সংবাদ ও ইভেন্ট ছিল না এবং সপ্তাহ জুড়ে কোনো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের প্রকাশনা ও ইভেন্টের প্রত্যাশা করা হচ্ছে না, তাই এই পেয়ারের মূল্যের অনিয়মিত মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে এবং এই পেয়ারের মূল্য কারেকশনের মধ্য দিয়ে যেতে পারে। যাইহোক, গতকাল, এই পেয়ারের মূল্য 60 পিপস বৃদ্ধি পেতে সক্ষম হয়েছে। 1.2693 লেভেল থেকে একটি বাউন্স বিপরীত দিকে একটি মুভমেন্ট শুরু করতে পারে।

সামগ্রিকভাবে, এটা লক্ষনীয় যে পাউন্ড স্টার্লিং দরপতনে অনিচ্ছুক। মূলত, এটির মূল্য সাম্প্রতিক সর্বোচ্চ লেভেল থেকে খুব বেশি দূরে সরে যায়নি। গত সপ্তাহের মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ছিল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। মার্কেটের ট্রেডাররা এটিকে যেভাবে ব্যাখ্যা করুক না কেন, এটা স্পষ্ট যে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড আগস্ট মাসে মূল সুদের হার কমিয়ে দিতে পারে এবং পরবর্তী প্রতিবেদনে দেশটির মুদ্রাস্ফীতি 2% এর লক্ষ্য মাত্রার নিচে মন্থর হতে পারে। এগুলো ব্রিটিশ মুদ্রার জন্য শক্তিশালী বিয়ারিশ প্রবণতার কারণ হতে পারে, এবং এমনকি সোমবার পাউন্ডের দরপতন দেখা যেতে পারে কারণ এটি অত্যন্ত বেশি কেনা হয়েছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

5-মিনিটের টাইমফ্রেমে, এই পেয়ারের মূল্য 1.2633 লেভেলের কাছাকাছি একটি নিখুঁত বাই সিগন্যাল তৈরি করেছিল। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের সময়, মূল্য 1.2684-1.2693 এরিয়ায় পৌঁছেছে, যেখানে ট্রেডাররা টেক প্রফিট সেট করতে পারে। ফলস্বরূপ, মূল্য এই এরিয়ায় ফিরে আসে এবং এটি সম্ভবত যেকোন একদিকে ব্রেক করে যাবে, যা এই পেয়ারের মূল্যের পরবর্তী দিক নির্দেশ করবে।

মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

প্রতি ঘণ্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা গঠনের প্রতিশ্রুতিশীল লক্ষণ দেখা যাচ্ছে, যদিও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার সম্ভাবনা বাতিল করা হয়নি। এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার সম্ভাবনার ব্যাপারে বলতে গেলে, এটা একটা ভালো জিনিস যে মূল্য 1.2693 এর লেভেল দুইবার অতিক্রম করতে পেরেছে; যাইহোক, মার্কেটের ট্রেডাররা প্রায়শই এই পেয়ার বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, এমনকি প্রযুক্তিগত, মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণের উপস্থিতিতেও এই ধরনের পরিস্থিতি পরিলক্ষিত হচ্ছে।

মঙ্গলবার, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের অনিয়মিত এবং অযৌক্তিক মুভমেন্ট চলমান থাকতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, এই পেয়ারের মূল্য 1.2633 লেভচেলে ফিরে যেতে পারে। যাইহোক, যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.2684-1.2693 এরিয়া ভেদ করে, ঊর্ধ্বগামী মুভমেন্টও চলমান থাকতে পারে।

5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2457, 1.2502, 1.2541-1.2547, 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980। আজ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার তুলনামূলকভাবে তেমন কিছু নেই। অতএব, ট্রেডাররা সম্ভবত আরেকটি বিরক্তিকর দিনের মুখোমুখি হবেন।

ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।