১৯ জুনের মূল ইভেন্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

বুধবার অল্প কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট রয়েছে। যাইহোক, যুক্তরাজ্যে মে মাসের গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হতে চলেছে। মুদ্রানীতির পরিবর্তন নির্ধারণ করার সময় কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলোর জন্য মুদ্রাস্ফীতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অতএব, আজকের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন আগামীকাল বা দেড় মাসের মধ্যে ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের বৈঠকের ফলাফলকে সরাসরি প্রভাবিত করতে পারে।

আমরা মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার আশা করচি না। এমনকি এই প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বাভাসের তুলনায় ভিন্ন হলেও মার্কেটের ট্রেডারদের বেশ নিঃশব্দ প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে। এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট সম্পর্কে বলতে গেলে, মার্কেটের ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনের যে কোনও ফলাফলকে ব্রিটিশ মুদ্রার পক্ষে ব্যাখ্যা করতে পারে, কারণ অতীতে এমনটি প্রায়শই ঘটেছে। যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি 2% বা তার চেয়েও কম হতে পারে, যাতে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আগামীকাল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মুদ্রানীতি নমনীয়করণ শুরু করতে পারে। যাইহোক, এই সূচকের মান 2.1% হল সেটি সহজেই পাউন্ডের মূল্যের নতুন লং পজিশন ওপেন করার প্রবণতা শুরু করতে পারে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

বুধবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্ট থেকে তুলে ধরার কিছু নেই। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড, ফেডারেল রিজার্ভ, বা ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের প্রতিনিধিদের কোনও নির্ধারিত বক্তৃতা নেই৷ যাইহোক, ব্রিটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামীকাল সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে পারে, এবং ইসিবি এবং ফেডের সভা সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়েছিল, তাই মার্কেটের ট্রেডাররা স্পষ্টভাবে জানে যে এই দুটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে কী আশা করা যায়।

উপসংহার:

আমরা বুধবার মার্কেটে স্বল্প মাত্রার অস্থিরতার আশা করছি, কিন্তু দিনের একমাত্র ইভেন্ট হল যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন। পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে যে এই প্রতিবেদনটির প্রভাবে পাউন্ডের দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা বেশি। বৃটিশ মুদ্রার তখনই দরপতনের শিকার হতে পারে যদি মূল্যস্ফীতি পূর্বাভাসের (1.9-2.0%) নিচে নেমে আসে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।