GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ১৯ জুন: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

মঙ্গলবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

মঙ্গলবারও GBP/USD পেয়ারের মূল্যের বুলিশ কারেকশন অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে, ইউরো এবং পাউন্ডের মূল্যের প্রবণতার মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে, বিশ্বব্যাপী এবং স্থানীয়ভাবে ইউরোর মূল্যের স্পষ্ট নিম্নগামী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যেখানে পাউন্ডের মূল্য অনিয়মিতভাবে ফ্ল্যাট প্যাটার্ন প্রদর্শন করছে। আমরা যদি 4-ঘণ্টা বা দৈনিক চার্টের দিকে তাকাই, তবে এটি স্পষ্ট যে এই গত 3-4 সপ্তাহে প্রধানত এই পেয়ারের মূল্যের সাইডওয়েজ মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। অতএব, পাউন্ডের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন দেখা যেতে পারে, বিশেষ করে যেহেতু গত সপ্তাহে এই পেয়ার উল্লেখযোগ্য দরপতনের শিকার হয়েছে। যাইহোক, এটি জানা গুরুত্বপূর্ণ যে এই দরপতন একটি বিস্তৃত ফ্ল্যাট মুভমেন্টের শুধুমাত্র একটি পর্ব।

ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্যের মুভমেন্ট নিয়ে ট্রেডাররা হতাশাজনক পরিস্থিতিতে রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে কোনো প্রবণতা নেই, এমনকি দৈনিক চার্টেও এই পেয়ারের মূল্যের দিকনির্দেশ এবং মুভমেন্ট নির্ণয় করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে। গত সপ্তাহে, মূল্য আপাতদৃষ্টিতে 1.2693 এর মূল লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে চলে গেছে, কিন্তু এই সপ্তাহে আমরা নিম্নগামী মুভমেন্টের কোন ধারাবাহিকতা দেখিনি। মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা ব্রিটিশ মুদ্রার পরিস্থিতি সম্পর্কে কিছু স্পষ্টতা প্রদান করতে পারে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

5 মিনিটের চার্টে দুটি সদৃশ সেল সিগন্যাল এবং দুটি সদৃশ বাই সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। উভয় ক্ষেত্রেই, অভিপ্রেত দিকে 15 পিপসের বেশি এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট দেখা যায়নি এবং সামগ্রিকভাবে, এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা খুবই কম ছিল। অতএব, ট্রেডারদের পক্ষে এই সিগন্যালগুলো থেকে লাভ করা সম্ভব ছিল না। যাইহোক, আমরা এজন্য সিগন্যালকে দোষ দিতে পারি না, প্রকৃতপক্ষে এই পেয়ারের মূল্যের কম অস্থিরতার কারণে এমন পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে। যখন এই পেয়ারের মূল্য স্থির থাকে, তখন এই ধরনের মুভমেন্টকে পুঁজি করে ট্রেডিং করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।

বুধবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

প্রতি ঘণ্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা গঠনের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও মাসিক ফ্ল্যাট প্যাটার্নের সাথে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা এখনও অব্যাহত রয়েছে। এটি একটি ভাল জিনিস যে শুক্রবার মূল্য 1.2693 এর লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যেতে সক্ষম হয়েছে; তবে, পাউন্ডের মূল্য আবার এই লেভেলের উপরে আরোহণ করেছে। প্রযুক্তিগত, মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ থাকলেও মার্কেটের ট্রেডাররা পাউন্ড বিক্রি করার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে।

বুধবার, আমরা আপনাকে 1.2684-1.2693 এর এরিয়া ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ দেব। লং পজিশন এখনকার জন্য প্রাসঙ্গিক রয়ে গেছে, কিন্তু যদি মূল্য আবার এই এরিয়া নিচে স্থির হয়, তাহলে ব্রিটিশ পাউন্ড বিক্রি করার চেষ্টা করা কার্যকর হতে পারে।

5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2457, 1.2502, 1.2541-1.2547, 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980। আজ, যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন দিনের মূল প্রকাশিতব্য প্রতিবেদন হতে যাচ্ছে। এটি থেকে নিশ্চিত হওয়া যাবে যে মার্কেটের ট্রেডাররা যৌক্তিক প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত না কি আমরা যেকোন পরিস্থিতি নির্বিশেষে বিনিয়োগকারীদের ব্রিটিশ মুদ্রা ক্রয় করতে দেখতে থাকব।

ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।