GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ১৪ জুন: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

বৃহস্পতিবার নিম্নমুখী প্রবণতায় GBP/USD পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে। যদিও ইউরোর দরপতন EUR/USD পেয়ারের মূল্যের সম্ভাব্য নিম্নগামী প্রবণতা নির্দেশ করে, ব্রিটিশ পাউন্ডের ক্ষেত্রে এই দরপতন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। শুধু আপনাকে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য বলতে চাই, GBP/USD পেয়ার এখন তিন সপ্তাহ ধরে 1.2693 এবং 1.2798 লেভেলের মধ্যে ট্রেড করছে। বুধবার, এটি এই সাইডওয়েজ চ্যানেলের উপরে ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ট্রেড করেছে, তবে এটি সামগ্রিক পরিস্থিতির পরিবর্তন করেনি। এখনও সাইডওয়েজ প্রবণতায় এই পেয়ারের ট্রেড করা হচ্ছে, কারণ একটি বিয়ারিশ কারেকশন শুরু করা যায়নি, এই পেয়ারের মূল্য 1.2693 লেভেল ব্রেক করতে পারেনি, যখন মার্কেটের ট্রেডাররা বেশি ডলার কেনেনি।

গতকাল, যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে মূলত তেমন কিছুই ছিল না। ইতোমধ্যে, মার্কিন উৎপাদক মূল্য সূচক প্রকাশিত হয়েছিল, যা প্রাথমিকভাবে ডলারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। সৌভাগ্যবশত, মার্কেটের ট্রেডাররা দ্রুত পরিস্থিতি সংশোধন করেছে এবং মনে রেখেছে যে মুদ্রাস্ফীতির সামান্য পতন বর্তমানে ফেডারেল রিজার্ভের সুদের হার কমানোর সম্ভাবনাকে প্রভাবিত করে না। অতএব, অবিলম্বে ডলারের দরপতন বন্ধ হয়। যাইহোক, মনে রাখবেন যে এই পেয়ারের মূল্য এখনও সহজেই 1.2693 লেভেলে নেমে পারে। এই লেভেলের আশেপাশে সমস্যার সম্ভাবনা রয়েছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

5 মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। এই পেয়ারের মূল্য 1.2791-1.2798 এর এরিয়া থেকে দুবার বাউন্স করেছে। প্রথম বাউন্সের পরে, মূল্য মাত্র 18 পিপ কমেছে, তাই নতুন ট্রেডাররা দ্বিতীয় বাউন্সের ক্ষেত্রে শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারত। অবশেষে, মূল্য 1.2748 এর নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে, যাতে ট্রেডাররা প্রায় 35 পিপস মুনাফা অর্জন করতে পারে।

শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

প্রতি ঘণ্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরির দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু বুলিশ কারেকশন অটুট রয়েছে। মার্কেটের ট্রেডাররা অবশেষে মার্কিন প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল বিবেচনা করেছে, কিন্তু এটি শুধুই বিচ্ছিন ঘটনা হতে পারে। এই সপ্তাহে, পাউন্ডের মূল্য ট্রেন্ড লাইন অতিক্রম করা সত্ত্বেও ও যুক্তরাজ্যের সামষ্টিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল এবং ফেডের হকিশ বা কঠোর নীতি সত্ত্বেও এই পেয়ারের দরপতন হয়নি।

শুক্রবারের জন্য, আমরা আপনাকে পরামর্শ দেব যে এই পেয়ারের মূল্য 1.2748-এর লেভেল অতিক্রম করলে পাউন্ডের মূল্য 1.2684-1.2693 এরিয়ার দিকে নেমে যাবে। 1.2748 লেভেল থেকে একটি বাউন্স এই পেয়ারের মূল্য নতুন উত্থান শুরু করতে পারে, তবে এটি একটি শক্তিশালী মুভমেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2457, 1.2502, 1.2541-1.2547, 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980। আজ, যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু নেই। আমরা শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্সের কথা তুলে ধরতে পারি। আমরা শুক্রবার এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্টের আশা করছি না।

ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।