৬ জুন কীভাবে GBP/USD কারেন্সি পেয়ারের ট্রেড করবেন? নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ এবং ডিলের বিশ্লেষণ

বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:

GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

বুধবার GBP/USD পেয়ারও ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ট্রেড করেছে। যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দিনব্যাপী তিনটি সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল, যা এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করে থাকতে পারে। যুক্তরাজ্যের সার্ভিসেস পিএমআই প্রতিবেদন উল্লেখযোগ্য ফলাফল দেখায়নি। মার্কিন এডিপি কর্মসংস্থান প্রতিবেদন পূর্বাভাসের তুলনায় সামান্য দুর্বল ছিল, যখন গুরুত্বপূর্ণ আইএসএম পরিষেবা সূচকের ফলাফল উল্লেখযোগ্যভাবে প্রত্যাশা অতিক্রম করেছে। সমস্ত পরিস্থিতি দেখে মনে হয়েছিল ডলারের মূল্য অন্তত 50 পয়েন্ট বাড়বে, তবে, তা হয়নি। আমরা 20-25 পয়েন্টের ক্ষণস্থায়ী দরপতন দেখেছি, তারপরে আবার এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।

সুতরাং, আমরা আগের মত একই সিদ্ধান্তে আসতে পারি। পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য যে কোন কারণে বেড়ে যায়, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা ডলারের জন্য সমস্ত ইতিবাচক সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন উপেক্ষা করে। প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে ক্রমাগত তৃতীয় অ্যাসেন্ডীং ট্রেন্ড লাইন গঠিত হয়েছে, যা এই পেয়ারের দর বৃদ্ধিকে সমর্থন করে। মনে করে দেখুন যে প্রথম দুটি অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইন ব্রেক করা হয়েছিল, কিন্তু কোন নিম্নগামী মুভমেন্ট দেখা যায়নি।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

বুধবার 5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, 1.2791-1.2798 এরিয়ার কাছাকাছি শুধুমাত্র একটি সেল সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। এই সিগন্যালের পরে, এমনকি মূল্য 20 পয়েন্টও কমে যায়নি এবং এই সিগন্যাল ঠিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আইএসএম সূচক প্রকাশের সময় তৈরি হয়েছিল। ডলারের মূল্য আবারও বাড়েনি, কিন্তু ব্রেকইভেনে এই ট্রেড ক্লোজ করার জন্য নতুন ট্রেডারদের যথেষ্ট সময় ছিল।

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের পরামর্শ:

প্রতি ঘণ্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের এখনও নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরির প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন এখনও চলমান রয়েছে। সোমবারের মতো দৈনিক মুভমেন্ট সম্পর্কে আমাদের কোন প্রশ্ন নেই, যদিও একটি প্রতিবেদনের কারণে ডলারের দরপতন অদ্ভুত বলে মনে হচ্ছে। যাইহোক, আমরা নতুন ট্রেডারদের মনে করিয়ে দিতে চাই যে ডলার শুধুমাত্র সেই দিনগুলোতেই দরপতনের শিকার হয় না যখন মার্কিন সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল নেতিবাচক হয়। এর স্পষ্ট উদাহরণ হল বুধবার যখন একটি শক্তিশালী ISM সূচক প্রকাশ করা হয় তখন মার্কিন মুদ্রার মূল্যের কোনো বৃদ্ধি দেখা যায়নি।

বৃহস্পতিবার, পাউন্ড স্টার্লিংয়ের মূল্য বাড়তে পারে, কারণ এই সপ্তাহে আমরা দেখতে পেয়েছি যে মার্কেটের ট্রেডাররা এই পেয়ার কেনার দিকে বেশি মনোযোগী। অতএব, মূল্য 1.2791-1.2798 এরিয়া অতিক্রম করলে সেটি একটি বাই সিগন্যাল হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।

5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, আপনি এখন 1.2457, 1.2502, 1.2541-1.2547, 1.2605-1.2633, 1.2684, 1.2725, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, and 1.2980। বৃহস্পতিবার, যুক্তরাষ্ট্রে শুধুমাত্র কনস্ট্রাকশন পিএমআই প্রকাশ করা হবে, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জবলেস ক্লেইমস সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। ইসিবির সভার ফলাফলের দ্বারাও পাউন্ড প্রভাবিত হতে পারে।

ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।