EUR/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ৩১ মে: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:EUR/USD পেয়ারের 1H চার্ট

বৃহস্পতিবার EUR/USD পেয়ারের স্পষ্ট ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় ট্রেড করেছে। এই ধরনের মুভমেন্টের পিছনে কোন মৌলিক বা সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ ছিল না, কিন্তু একই সময়ে, আমরা এটি স্বীকার করছি যে মার্কেটের ট্রেডারদের ইউরো কেনার অধিকার রয়েছে। প্রথমত, এই পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডীং চ্যানেলের নিম্ন সীমানা থেকে বাউন্স করেছে, যা ইতোমধ্যেই এই ইঙ্গিত দিয়েছিল যে এই পেয়ারের মূল্য বাড়বে। দ্বিতীয়ত, ইউরোজোনের বেকারত্বের হার কমেছে, যা বিশেষজ্ঞদের পূর্বাভাস পূরণ করেনি, অর্থাৎ ইউরোর মূল্য বাড়তে পারে। তৃতীয়ত, বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে মার্কিন অর্থনীতি প্রথম প্রান্তিকে প্রাথমিক অনুমানের তুলনায় কম প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে – যা প্রান্তিক ভিত্তিতে 1.3%-এ নেমে এসেছে।

কেন আমরা এটিকে এই পেয়ারের মূল্যের অযৌক্তিক উত্থান হিসেবে বিবেচনা করছি? কারণ ইউরোর মূল্য অনেক দিন ধরে বেড়ে চলেছে, এটি অতিরিক্ত কেনা হয়েছে, এবং মৌলিক পটভূমি প্রায়শই এই ইঙ্গিত দেয় যে ইউরোর দরপতন হওয়া উচিত। অতএব, আমরা মনে করি যে এটি একটি সম্পূর্ণরূপে প্রযুক্তিগত রিবাউন্ড ছিল এবং এই পেয়ারের মূল্য একই ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখিয়েছিল। যৌক্তিকভাবে বলতে গেলে, ইউরোর মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হওয়া উচিত।

EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট

5 মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ ভাল একটি বাই সিগন্যাল ছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের শুরুতে, মূল্য 1.0797-1.0804 এরিয়ার উপরে কনসলিডেট হয়, তারপরে মূল্য 1.0838-1.0856 এরিয়ায় উঠতে সক্ষম হয়। ট্রেডারদের এই সিগন্যাল কাজে লাগিয়ে লং পজিশন ওপেন করা উচিত ছিল। এই ট্রেড থেকে লাভ ছিল প্রায় 25-30 পিপস। বেশি না, তবে বর্তমানে অস্থিরতার মাত্রার পরিপ্রেক্ষিতে, এই পরিমাণ লাভ বেশ উল্লেখযোগ্য ছিল। উপরন্তু, নতুন ট্রেডাররা 1.0838-1.0856 এরিয়া থেকে মূল্যের পুনরুদ্ধারের পরে শর্ট পজিশন বিবেচনা করতে পারত।

শুক্রবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

ঘন্টাভিত্তিক চার্টে, বুলিশ সংশোধন অটুট রয়েছে, যা গত দুই সপ্তাহে একটি ফ্ল্যাট প্রবণতার সাথে চলমান রয়েছে। আমরা মনে করি যে মাঝারি মেয়াদে ইউরোর দরপতন হওয়া উচিত, এবং বিশ্বব্যাপী এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। তা সত্ত্বেও, মার্কেটের ট্রেডাররা এখনও অজানা কারণে ডলার কিনতে অস্বীকার করে এবং এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রাও কম রয়েছে। এই পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং চ্যানেলের নিচে কনসলিডেট হলে এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী প্রবণতা গঠিত হতে পারে।

শুক্রবার, নতুন ট্রেডাররা 1.0797-1.0804 এবং 1.0838-1.0856 এর এরিয়ায় সিগন্যাল খুঁজতে পারে। আপনি সেল সিগন্যাল বিবেচনা করতে পারেন, কিন্তু ইউরোর মূল্য যে কোনো মুহূর্তে বাড়তে পারে। অ্যাসেন্ডীং চ্যানেলের নিচে কনসলীডেশন ইউরোর মূল্যের উত্থানের সমাপ্তির ইঙ্গিত দিতে পারে।

5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.0483, 1.0526, 1.0568, 1.0611, 1.0678, 1.0726-1.0733, 1.0797-1.0804, 1.0838-1.0856, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971-1.0981। আজকের আলোচ্যসূচির মূল বিষয় হবে ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন। ট্রেডাররা ইউরোপীয় এবং মার্কিন উভয় ট্রেডিং সেশনের সময় এই প্রতিবেদনে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। উপরন্তু, জার্মানিতে খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, এবং মার্কিন যুক্তরাজ্যে ব্যক্তিগত ব্যয়ের (PCE) মূল্য সূচক প্রকাশ করা হবে।

ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।