EUR/USD। ৩০শে মে। এই পেয়ারের বিক্রেতারা আক্রমণ শুরু করেছে। ইউরোর দ্রুত দরপতন হচ্ছে

বুধবার, EUR/USD পেয়ারের মূল্য প্রায় সারাদিন ধরেই কমেছে এবং 61.8%–1.0837 এর রিট্রেসমেন্ট লেভেলের নিচে মূল্যের কনসলিডেশন হয়েছে। বর্তমানে, 1.0785–1.0797 এর সাপোর্ট জোনে এই পেয়ারের ট্রেড করা হচ্ছে৷ এই জোনের নিচে কনসলিডেশন পরবর্তী ফিবোনাচি 38.2%–1.0748 লেভেলের দিকে আরও দরপতনের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেবে। 1.0785-1.0797 জোন থেকে এই পেয়ারের মূল্যের রিবাউন্ড ইউরোর পক্ষে কাজ করে মূল্যকে বিপরীতমুখী করতে পারে এবং 1.0837 রিট্রেসমেন্ট লেভেলে দিকে কিছুটা দর বৃদ্ধি পেতে পারে। মার্কেটে ক্রেতারা তাদের নিয়ন্ত্রণ হারাতে শুরু করেছে।

এই পেয়ারের মূল্যের ওয়েভ পরিস্থিতি স্পষ্ট রয়েছে। সর্বশেষ সম্পন্ন ঊর্ধ্বমুখী ওয়েভ পূর্ববর্তী ওয়েভের শীর্ষকে ব্রেক করেনি, যখন নতুন নিম্নমুখী ওয়েভটি 23 মে থেকে গঠিত নিম্নমুখী ওয়েভকে ব্রেক করেছে। এইভাবে, আমাদের কাছে বুলিশ থেকে বিয়ারিশে প্রবণতা পরিবর্তনের প্রথম লক্ষণ রয়েছে। অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড চ্যানেলের নিচে কনসলিডেশন এই পেয়ারের বিক্রেতাদের আক্রমণাত্মক অবস্থান নিশ্চিত করবে। মার্কেত বর্তমানে উল্টো দিকে যাচ্ছে। আমার মতে, নতুন বিয়ারিশ প্রবণতা বেশ শক্তিশালী হতে পারে, কারণ ইউরোর সাম্প্রতিক দর বৃদ্ধি অনেক প্রশ্ন তুলেছে।

বুধবারের সামষ্টিক পটভূমি খুবই দুর্বল ছিল, কিন্তু এই পেয়ারের বিক্রেতারা আক্রমণাত্মক ভূমিকা নিতে পেরেছে তা উৎসাহব্যঞ্জক। জার্মানিতে ভোক্তা মূল্য সূচক মে মাসে বার্ষিক ভিত্তিতে 2.2% থেকে 2.4% এ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ট্রেডারদের প্রত্যাশার সাথে সম্পূর্ণভাবে সঙ্গতিপূর্ণ৷ সুতরাং, এই প্রতিবেদনের প্রতি কার্যত কোন প্রতিক্রিয়া ছিল না। ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি ইতোমধ্যেই ইসিবি-এর মুদ্রানীতি নমনীয় করার বিষয়টি বিবেচনা করার মতো যথেষ্ট হ্রাস পেয়েছে। ভোক্তা মূল্যের সূচকের সামান্য বৃদ্ধি আর উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে না। অধিকন্তু, জার্মান মুদ্রাস্ফীতি অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ হলেও, আগামীকাল প্রকাশিত ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতির তথ্য শীঘ্রই মার্কেটে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করবে৷ আমরা যদি ইউরোজোনে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির প্রভাবে ইউরোর দর বৃদ্ধি দেখতে না পাই, এই পেয়ারের বিক্রেতারা মার্কেটকে পুরোপুরিভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে।

4-ঘণ্টার চার্টে, এই পেয়ারের মূল্য ফিবোনাচি লেভেল 50.0%–1.0862 থেকে রিবাউন্ড করেছে এবং মার্কিন ডলারের পক্ষে কাজ করে মূল্য বিপরীতমুখী হয়েছে। "ওয়েজ" থেকে বেরিয়ে আসা সত্ত্বেও, আমি আশা করি যে আগামী সপ্তাহ এবং মাসগুলিতে একটি বিয়ারিশ প্রবণতা তৈরি হতে পারে, কারণ সামষ্টিক পটভূমি পরস্পরবিরোধী রয়েছে এবং ক্রেতাদেরকে সমর্থন করছে না। পরের মাসে, ইসিবি মুদ্রানীতি নমনীয় করতে শুরু করবে, যা ইউরোর জন্য একটি শক্তিশালী বিয়ারিশ ফ্যাক্টর। 38.2%–1.0765 এর ফিবোনাচি লেভেলের নিচে কনসলিডেশন 23.6%–1.0644 এর পরবর্তী রিট্রেসমেন্ট লেভেলের দিকে আরও দরপতনের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলবে।

কমিটমেন্ট অব ট্রেডার্স (COT) রিপোর্ট:

গত সপ্তাহের রিপোর্ট অনুযায়ী, স্পেকুলেটররা 4,176টি লং কন্ট্র্যাক্ট ওপেন করেছে এবং 20,144টি শর্ট কন্ট্র্যাক্ট ক্লোজ করেছে। "নন-কমার্শিয়াল" গ্রুপের সেন্টিমেন্ট কয়েক সপ্তাহ আগে বিয়ারিশ হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু এখন ক্রেতারা নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছে। স্পেকুলেটরদের লং কন্ট্র্যাক্টের মোট সংখ্যা এখন 182,000, যেখানে শর্ট কন্ট্রকাটের পরিমাণ 141,000। এই ব্যবধান আবার ক্রেতাদের পক্ষে প্রশস্ত হচ্ছে।

যাইহোক, পরিস্থিতি এই পেয়ারের বিক্রেতাদের অনুকূলে বদলাতে থাকবে। আমি ইউরো কেনার দীর্ঘমেয়াদী কারণ দেখতে পাচ্ছি না, কারণ ইসিবি ইতোমধ্যেই আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করতে শুরু করেছে, যা ব্যাঙ্ক আমানত এবং সরকারী বন্ডের লভ্যাংশ হ্রাস করবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, লভ্যাংশ বেশি থাকবে, যা ডলারকে বিনিয়োগকারীদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলবে৷ যাইহোক, গ্রাফিকাল বিশ্লেষণ এবং COT রিপোর্টের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানানো গুরুত্বপূর্ণ, যা একটি অবিরাম বুলিশ সেন্টিমেন্ট নির্দেশ করে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোজোনের নিউজ ক্যালেন্ডার:

ইউরোজোন: বেকারত্বের হার (09:00 UTC)মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: প্রথম প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন (12:30 UTC)মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: প্রাথমিক জবলেস ক্লেইমসে পরিবর্তন (12:30 UTC)

30 মে-এর অর্থনৈতিক ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে জিডিপি প্রতিবেদনের সাথে কিছু এন্ট্রি রয়েছে। আজ ট্রেডারদের সেন্টিমেন্টে সামষ্টিক পটভূমির প্রভাব মাঝারি হতে পারে।

EUR/USD পেয়ারের পূর্বাভাস এবং ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

1.0785-1.0797 সমর্থন জোনের লক্ষ্য নির্ধারণ করে 1.0837 লেভেলের নীচে কনসলিডেশনের পরে এই পেয়ার বিক্রি করা সম্ভব হয়েছিল। মূল্য এই লক্ষ্যে পৌঁছেছে। এই জোনের নিচে কনসলিডেশনের পর, 1.0748 এবং 1.0692 লক্ষ্যমাত্রায় নতুন বিক্রয় সম্ভব। 1.0837 লক্ষ্যমাত্রায় 1.0785–1.0797 জোন থেকে রিবাউন্ড করলে আজ ইউরো কেনা সম্ভব। ইউরোর দর বৃদ্ধি খুব দুর্বল হতে পারে কারণ বিক্রেতারা মার্কেটের নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছে।