GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ১৭ মে: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

GBP/USDও পেয়ারের মূল্যের ছোটখাট বিয়ারিশ কারেকশন শুরু হয়েছে, কিন্তু মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অক্ষত রয়েছে। আসলে, ডলার বেশ ভাগ্যবান ছিল যে এটি বৃহস্পতিবার আরও বেশি দরপতনের শিকার হয়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্বের দিক থেকে বেশ কিছু গৌণ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে এবং সেগুলোর ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে দুর্বল বলে প্রমাণিত হয়েছে। অতএব, বৃহস্পতিবার ডলারের দরপতনের ভিত্তি ছিল। অন্যদিকে, মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশের সময় মার্কিন গ্রিনব্যাকের এতটা দরপতন হওয়ার কোনো কারণ ছিল না। সিপিআই বা ভোক্তা মূল সূচকের প্রতিবেদন পূর্বাভাসের সাথে মিলেছে, এবং মুদ্রাস্ফীতি খুব কমই কমছে, তাই প্রতিবেদনের ফলাফলে এই ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি যে ফেডারেল রিজার্ভ অবিলম্বে সুদের হার কমানোর বিষয়ে আলোচনা শুরু করবে। আমরা আপনাকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে গত দুই বছরে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতি খুব কমই প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো যুক্তরাজ্যেও বেকারত্ব বাড়ছে। তাই দুর্বল সামষ্টিক প্রতিবেদনের কারণে ডলারের দাম কমছে তাও বলা যাবে না।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

5 মিনিটের টাইমফ্রেমে দুটি বেশ শালীন ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। প্রথমত, এই পেয়ারের মূল্য 1.2691 লেভেল থেকে বাউন্স করে এবং সবচেয়ে নিকটতম লক্ষ্যমাত্রা 1.2648 লেভেলে পৌছায়। তারপর, 1.2648 লেভেল থেকে মূল্যের রিবাউন্ড হয়েছে, যার ফলে মূল্য প্রায় 15 পিপস বেড়েছে। অতএব, নতুন ট্রেডাররা উভয় ট্রেড থেকে অল্প মুনাফা করতে পারত। যেহেতু এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা দুর্বল ছিল তাই আমরা বেশি লাভের আশা করতে পারিনি।

শুক্রবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

প্রতি ঘণ্টায় চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা গঠনের দারুণ সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু বুলিশ কারেকশন অটুট রয়েছে। মৌলিক পটভূমি ব্রিটিশ পাউন্ডের তুলনায় ডলারকে অনেক বেশি সমর্থন করে চলেছে। অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলো প্রায়ই পাউন্ডকে সমর্থন করতে ব্যর্থ হয়, কিন্তু মার্কেটের ট্রেডাররা কার্যত সমস্ত প্রতিবেদনের ফলাফলকে ব্রিটিশ মুদ্রার পক্ষে ব্যাখ্যা করে।

যদি আমরা যৌক্তিক মুভমেন্ট দেখতে পাই, তাহলে আমরা আশা করি শুক্রবার পাউন্ডের দরপতন হবে। বর্তমান পর্যায়ে, ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট স্থবির বলে মনে হচ্ছে, তাই আজ যদি মূল্য 1.2648-এর লেভেল অতিক্রম করে তাহলে আমরা নিম্নগামী রিট্রেসমেন্টের ধারাবাহিকতার আশা করতে পারি।

5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2270, 1.2310, 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2541-1.2547, 1.2605-1.2611, 1.2648, 1.2691, 1.2725, 1.2787-1.2791। আজ, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের পরিকল্পনা নেই, তাই বিশ্লেষণ করার মতো কিছুই থাকবে না। খুব সম্ভবত, আমরা আরেকটি কম-অস্থিরতাসম্পন্ন দিনের অপেক্ষায় আছি, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা সম্ভবত কারেকশনকে প্রসারিত করার চেষ্টা করবে।

ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।