১৫ মে-এর মূল ইভেন্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

বুধবারে বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট রয়েছে এবং এগুলো গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত। ইইউ-তে প্রথম প্রান্তিকের জিডিপির দ্বিতীয় অনুমান এবং শিল্প উত্পাদনের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। জিডপির দ্বিতীয় অনুমানটি তিনটি অনুমানের মধ্যে বস্তুনিষ্ঠভাবে সর্বনিম্ন গুরুত্বসম্পন্ন, তাই আমরা এই প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কেটে কোন নির্দিষ্ট প্রতিক্রিয়ার আশা করছি না। শিল্প উৎপাদনের প্রতিবেদনের উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করার সামান্য বেশি সম্ভাবনা আছে যদি এটির সর্বশেষ ফলাফল পূর্বাভাস থেকে বিচ্যুত হয়।

এই সপ্তাহের আলোচ্যসূচির মূল বিষয় হল মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন। পূর্বাভাস এপ্রিলে শক্তিশালী পরিবর্তনের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি, তবে এই প্রতিবেদনটি এত গুরুত্বপূর্ণ যে এটি প্রকৃত পরিসংখ্যান নির্বিশেষে মার্কেটে প্রতিক্রিয়া উস্কে দিতে পারে। সামগ্রিকভাবে, বর্তমানে উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির দিকে ঝুঁকছে, যদিও এটি কারেকটিভ। অতএব, মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের প্রভাবে মার্কিন ডলারের দর না বাড়লেও সেই সম্ভাবনার জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত৷

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

আজকের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে, আমরা ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধি মিশেল বোম্যান এবং নীল কাশকারির বক্তৃতার কথা তুলে ধরতে পারি। যদিও আমরা আজকাল ফেডের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে সত্যিকারের উল্লেখযোগ্য মন্তব্য শুনতে পাই না, তবে কাশকারি এবং বোম্যান কী বলে তা সবসময়ই আকর্ষণীয়। তারা সাধারণত অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ এবং নির্দিষ্ট মন্তব্য করে।

উপসংহার:

আজ, মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের দিকে ট্রেডারদের দৃষ্টি থাকবে। মার্কিন ট্রেডিং সেশনের শুরুতে এই প্রতিবেদনের প্রভাবে তীক্ষ্ণ মুভমেন্ট দেখা যেতে পারে, সম্ভবত এই মুভমেন্ট বিভিন্ন দিকে দেখা যেতে (গতকালের উৎপাদক মূল্য সূচকের প্রভাবে মতো)। দিনের অন্যান্য সমস্ত ইভেন্টের প্রভাবে মার্কেটে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হওয়ার অত্যন্ত কম সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা আশা করি মার্কিন সেশনের শুরুতে মূল অস্থিরতা দেখা যাবে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।