শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট অব্যাহত ছিল। উপরের চার্টে দেখা গেছে, এই পেয়ারের মূল্য গত সপ্তাহে অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইনের নিচে কনসলিডেট হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে, ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন শেষ হওয়ার কথা ছিল। যাইহোক, মার্কিন শ্রম বাজার, বেকারত্ব, ব্যবসায়িক কার্যকলাপ এবং চাকরির শূন্যপদ সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল মার্কিন মুদ্রার একটি নতুন এবং অনুমানযোগ্য দরপতনের সূত্রপাত করেছে। আমরা এখনও মনে করি যে মৌলিক পটভূমি মূলত ডলারকে সমর্থন করছে, যখন পাউন্ডের বর্তমান দর বৃদ্ধি একটি কারেকটিভ মুভমেন্টের অংশ। অতএব, আমরা আশা করছি যে বিশ্বব্যাপী এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা আবার শুরু হবে। গত দুই সপ্তাহের মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের ফলাফল ডলারকে হতাশ করেছে, তবে সবসময় এমনটি নাও হতে পারে। ব্রিটিশ অর্থনীতির অবস্থা বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রত্যাশার চেয়ে নিম্নমুখী রয়েছে। 1.2611 লেভেল থেকে মূল্যের বাউন্স এই পেয়ারের মূল্যের একটি নতুন নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু করতে পারে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্টইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময় একটি চমৎকার বাই সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল, যদিও পুরো সেশন জুড়ে এই পেয়ারের মূল্য তুলনামূলকভাবে অপরিবর্তিত ছিল। যাইহোক, মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদনের উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল ফলাফল এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির প্ররোচনা দিয়েছে, যা হওয়া ট্রেডারদের প্রয়োজন ছিল। বিকেলে, 1.2605-1.2611-এর রেঞ্জ টেস্ট করা হয়েছিল, যেখান থেকে একটি অস্পষ্ট রিবাউন্ড ছিল। এই রিবাউন্ডটিকে একটি সিগন্যাল হিসাবেও ব্যাখ্যা করা যেতে পারে, তবে এবার এটি সেল সিগন্যাল ছিল। তবে ট্রেডারদের এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল কি না তা বলা মুশকিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সামষ্টিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফলের মধ্যে ডলারের দাম বাড়বে বলে এমন আশা করাও কঠিন ছিল। তবুও, যারা শর্ট পজিশন ওপেন করেছে তারা লাভ করেছে, কারণ দিনের শেষে মূল্য 1.2541-1.2547 রেঞ্জে ফিরে এসেছে।
সোমবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:প্রতি ঘণ্টায় চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা গঠনের চমৎকার সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্য কারেকশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই কারেকটুভ ফেজ বেশ শক্তিশালী হয়েছে। মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি ব্রিটিশ পাউন্ডের তুলনায় ডলারকে অনেক বেশি সমর্থন করে চলেছে। অতএব, আমরা শুধুমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্টের আশা করছি।
সোমবার, মার্কেট ফ্ল্যাট অবস্থায় রয়েছে এবং এটি আরেকটি "বিরক্ত সোমবার" হওয়ার উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে৷ বিনিয়োগকারীরা 1.2541-1.2547 রেঞ্জ থেকে ট্রেড করতে পারে, তবে যেমনটি উল্লেখ করা হয়েছে, ফ্ল্যাট মার্কেটের খুব বেশি সম্ভাবনা রয়েছে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2270, 1.2310, 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2541-1.2547, 1.2605-1.2611, 1.2648, 1.2691, 1.2725, 1.2787-1.2791। আজ, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো নির্ধারিত ইভেন্ট বা প্রতিবেদন প্রকাশের কথা নেই। অতএব, আমরা আজ এই পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী মুভমেন্টের আশা করছি না।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।