শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যও কমেছে, কিন্তু এই মুভমেন্টের কোন উল্লেখযোগ্য কারণ ছিল না। প্রযুক্তিগত দৃষ্টিকোণ থেকে, নিম্নমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে যখন এই পেয়ারের মূল্য কারেকশনের মধ্য দিয়ে যায়। সোমবার কারেকশন পর্ব শেষ হতে পারে। বর্তমানে, মূল্যের লেভেলে ছাড়া কোনও স্পষ্ট প্রযুক্তিগত সংকেত নেই। ট্রেন্ড লাইন গঠনের জন্য কারেকশনের মাত্রা খুব দুর্বল, এবং ট্রেন্ড লাইন স্থাপন করার জন্য নিম্নগামী প্রবণতা খুব স্বল্পমেয়াদী। অতএব, পাউন্ড সতর্কতার সাথে মুভমেন্ট প্রদর্শন করছে, যা স্বাভাবিকভাবেই ট্রেডিং পজিশন ওপেন করার সময় ট্রেডারদের অনুপ্রাণিত করছে না।
সাম্প্রতিক মার্কিন প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল সেরা ছিল না। যাইহোক, আমরা গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন এবং ইভেন্টের জন্য অপেক্ষা করতে পারি। শ্রমবাজারের তথ্য, FOMC বৈঠক, ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতা—এসবই আগামী কয়েক সপ্তাহের জন্য ডলারের প্রতি মার্কেট সেন্টিমেন্ট নির্ধারণ করবে। আমরা এখনও মনে করি যে ডলারের দাম আরও বেড়ে যাওয়া উচিত, কারণ আমরা ব্রিটিশ পাউন্ডের চেয়ে ডলারের বৈশ্বিক মৌলিক পটভূমি ইতিবাচক বলে মনে করি।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট5 মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কিছু ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছে। নতুন ট্রেডারদের জন্য কার্যত সমস্ত সিগন্যাল বেশ সঠিক ছিল। প্রাথমিকভাবে, এই পেয়ারের মূল্য 1.2502 লেভেল থেকে, তারপর 1.2541 লেভেল থেকে দুবার, এবং তারপর 1.2457 লেভেল থেকে রিবাউন্ড করে৷ এইভাবে, নতুন ট্রেডাররা শুক্রবার চারটি ট্রেডিং ডিল ওপেন করতে পারে। যদি প্রথম এবং দ্বিতীয় ডিলের ফলে সামান্য মুনাফা হয়, তৃতীয় ডিল থেকে ট্রেডাররা প্রায় 50 পিপস উপার্জন করতে পারে। ট্রেডাররা শেষ বাই সিগন্যাল এড়িয়ে যেতে পারে কারণ এটি খুব দেরিতে তৈরি হয়েছিল, কিন্তু যারা এই সিগন্যাল কার্যকর করেছিল তারা লাভ করতে পেরেছে।
সোমবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:প্রতি ঘণ্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী প্রবণতা গঠনের চমৎকার সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্য কারেকশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মূল্য 1.2502 এর লেভেল অতিক্রম করার পর, ট্রেডাররা পাউন্ডের উল্লেখযোগ্য দরপতনের আশা করতে পারে। মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি ব্রিটিশ পাউন্ডের তুলনায় ডলারকে অনেক বেশি সমর্থন করে চলেছে। অতএব, আমরা শুধুমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্টের আশা করছি।
আজ, নতুন ট্রেডাররা 1.2502 লেভেলের আশেপাশে নতুন সেল সিগন্যাল খুঁজতে পারেন। মার্কেটে এই পেয়ার বিক্রির তাড়া নেই, তবে পাউন্ডের মাঝারি মেয়াদে ক্রমশ দরপতনের শিকার হচ্ছে, যা একটি ভালো লক্ষণ। সোমবার এবং মঙ্গলবার এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন হতে পারে, কারণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি ডলার এবং পাউন্ড উভয়ের জন্য দুর্বল হবে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2270, 1.2310, 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2648, 1.2691, 1.2725, 1.2787-1.2791। সোমবার, যুক্তরাজ্য বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। অতএব, ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জানানোর মতো কিছুই থাকবে না, এবং এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা দুর্বল হতে পারে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।