বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন অব্যাহত রয়েছে। মার্কিন জিডিপি প্রতিবেদন এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের উপর প্রভাব ফেলেছিল, কারণ দিনের বেলা অন্য কোন ইভেন্ট বা রিপোর্ট ছিল না। ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য শুধুমাত্র 1.2502-এর লেভেলে উঠতে পেরেছে কারণ প্রথম প্রান্তিকে মার্কিন জিডিপির পরিসংখ্যান পূর্বাভাসের চেয়ে দেড়গুণ কম এসেছে। মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্থর হচ্ছে, এবং এটি একটি খারাপ খবর। মার্কিন অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার কারণে ভবিষ্যতে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি মন্থর হবে। এবং দ্রুত মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পেলে ফেডারেল রিজার্ভ আরও তাড়াতাড়ি মুদ্রানীতি নমনীয় করতে পারবে, যা ডলারের জন্য খারাপ। আমরা এখনও মনে করি যে GBP/USD পেয়ারের দরপতনের কারণগুলির অর্ধেক এখনও প্রভাব বিস্তার করেনি, তাই আমরা আশা করছি যে এই পেয়ারের আরও দরপতন হবে৷ আপাতত, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট5 মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কিছু ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছে। সকালে, 1.2457 লেভেলের কাছাকাছি লং পজিশন ওপেন করা যেতে পারত। দুর্ভাগ্যবশত, 1.2502 লেভেলের আশেপাশে একটি কৃত্রিম সেল সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল, তারপরে একটি কৃত্রিম বাই সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল যা প্রথম ট্রেডের মুনাফা সব কেড়ে নেয়। অতএব, 1.2502 লেভেলের আশেপাশে গঠিত না হওয়া সিগন্যালগুলো কার্যকর করা প্রয়োজন ছিল। একটি বিশেষ সিগন্যাল ছিল - মার্কিন সেশনের শুরুতে 1.2457 লেভেল থেকে মূল্যের রিবাউন্ড। প্রথম সিগন্যালের মতো, এটি সঠিক সিগন্যাল হিসাবে পরিণত হয়েছে এবং নতুন ট্রেডাররা আরও 25 পিপস উপার্জন করতে পারে। সামগ্রিকভাবে, দিনটি বিশৃঙ্খল ছিল তবে তা লাভজনক ছিল।
শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:প্রতি ঘণ্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী প্রবণতা গঠনের চমৎকার সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু বর্তমানে এই পেয়ার কারেকশনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মূল্য 1.2502 লেভেল অতিক্রম করার পর, ট্রেডাররা পাউন্ডের উল্লেখযোগ্য দরপতনের আশা করতে পারে। মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি ব্রিটিশ পাউন্ডের তুলনায় ডলারকে অনেক বেশি সমর্থন করে চলেছে। অতএব, আমরা শুধুমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্টের আশা করছি।
আজ, নতুন ট্রেডাররা 1.2502 লেভেলের আশেপাশে নতুন সেল সিগন্যাল খুঁজতে পারেন। মার্কেটে এই পেয়ার বিক্রির তাড়া নেই, তবে মাঝারি মেয়াদে ক্রমশ পাউন্ডের দরপতন হচ্ছে, যা একটি ভালো লক্ষণ। আজকের মার্কিন প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল হলে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী কারেকশন হতে পারে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2270, 1.2310, 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2648, 1.2691, 1.2725, 1.2787-1.2791। আজকের জন্য যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্টের পরিকল্পনা নেই, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ব্যক্তিগত আয় এবং ব্যয়, মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স এবং পারসোনাল কনজাম্পশন এক্সপেন্ডিচার (PCE) সূচক প্রকাশ করবে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।