মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের বেশ শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট দেখা গিয়েছিল, যা শুধুমাত্র সামষ্টিক প্রতিবেদনের ফলাফলের প্রভাবে হয়েছিল। মনে রাখবেন যে ব্রিটিশ পাউন্ডের দর বৃদ্ধির জন্য খুব বেশি কারণ নেই, এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদনগুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ডলারের পক্ষে কাজ করছে। তবে গতকাল পরিস্থিতি ছিল উল্টো। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পিএমআই প্রতিবেদনের হতাশাজনক ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, যখন ব্রিটিশ প্রতিবেদনের ফলাফল ইতিবাচক ছিল। অতএব, পাউন্ডের মূল্য প্রাথমিকভাবে ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের শুরুতে বেড়েছে, এবং তারপরে মার্কিন সেশনের শুরুতে ডলারের দরপতন হয়েছে। GBP/USD পেয়ারের মূল্য প্রায় 100 পিপস বেড়েছে।
যাইহোক, আমরা আশা করি না যে এই পেয়ারের মূল্যের তীক্ষ্ণ ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্ট বজায় থাকবে। যদি না, অন্যান্য মার্কিন প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল গতকালের মতো আসে। তবে অন্যান্য আরও বৈশ্বিক কারণ রয়েছে যা দীর্ঘমেয়াদে মার্কিন মুদ্রাকে সমর্থন করে চলেছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট5 মিনিটের টাইমফ্রেমে তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, যুক্তরাজ্যের পিএমআই প্রতিবেদনের ফলাফল ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার পর এই পেয়ারের মূল্য 1.2172-1.2387 রেঞ্জ থেকে রিবাউন্ড করে। দরপতন স্বল্পস্থায়ী ছিল, এবং মার্কিন সেশনের শুরুতে, মার্কিন প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হওয়ায় এই পেয়ারের মূল্য 1.2172-1.2387 রেঞ্জ অতিক্রম করেছে। পরবর্তীকালে, মূল্য 1.2457 এর লেভেলের নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে। এইভাবে, নতুন ট্রেডাররা দুটি ট্রেড ওপেন করতে পারত, যার প্রথমটি ব্রেকইভেনে ক্লোজ হয়ে যায় এবং দ্বিতীয়টি থেকে প্রায় 45 পিপস লাভ করা গিয়েছিল।
বুধবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:প্রতি ঘন্টায় চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী প্রবণতা গঠনের চমৎকার সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্যের কারেকশন হচ্ছে। মূল্য 1.2502 এর লেভেল অতিক্রম করার পরে, ট্রেডাররা পাউন্ডের উল্লেখযোগ্য দরপতনের আশা করতে পারে। মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি ব্রিটিশ পাউন্ডের তুলনায় ডলারকে অনেক বেশি সমর্থন করে চলেছে। অতএব, আমরা এই পেয়ারের মূল্যের শুধুমাত্র নিম্নগামী মুভমেন্টের আশা করছি।
আজ, নতুন ট্রেডাররা 1.2457 লেভেলের আশেপাশে নতুন সেল সিগন্যাল খুঁজতে পারেন। মার্কেটে এই পেয়ার বিক্রির কোন তাড়া নেই, তবে সময়ের সাথে পাউন্ডের মূল্য ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে, যা একটি ভাল লক্ষণ। আজ, ডিউরেবল গুডসের অর্ডার সংক্রান্ত মার্কিন প্রতিবেদন ডলারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু এই প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল প্রকাশের ক্ষেত্রে ডলারের গতকালের দরপতনের পুষিয়ে নেয়া উচিত।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2270, 1.2310, 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2648, 1.2691, 1.2725, 1.2787-1.2791। যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। আজ, ট্রেডাররা ডিউরেবল অর্ডার সংক্রান্ত মার্কিন প্রতিবেদনের উপর নজর রাখবে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।