GBP/USD পেয়ারও সোমবার একটি ছোটখাট বুলিশ কারেকশন শুরু করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু দিনের দ্বিতীয়ার্ধে আবার নিম্নগামী মুভমেন্ট আবার শুরু হয়। মনে রাখবেন যে গত সপ্তাহে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে – এই পেয়ারের মূল্য 4 মাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো সাইডওয়েজ চ্যানেল ছেড়েছে এবং এখন একটি দীর্ঘায়িত এবং শক্তিশালী নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হতে পারে। উদ্বেগ ছিল যে নতুন সপ্তাহে পাউন্ডের আরেকটি অযৌক্তিক দর বৃদ্ধি শুরু হবে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত এমনটি ঘটেনি। ইউরোর সাথে সাথে ব্রিটিশ পাউন্ডেরও দরপতন হওয়া উচিত, কারণ মার্কিন ডলারের দর বৃদ্ধির আরও অনেক কারণ রয়েছে।
এই পেয়ারের দরপতনের মূল কারণ হল ফেডারেল রিজার্ভের হকিস বা কঠোর অবস্থান, যখন মার্কেটের ট্রেডাররা এটি থেকে আর্থিক নমনীয়করণের আশা করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে বলে ফেড কর্তৃক সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা কম। একই সময়ে, এই সপ্তাহে যুক্তরাজ্যে মুদ্রাস্ফীতি 3% এ পৌঁছতে পারে, যা ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডকে প্রথমবারের মতো আর্থিক নীতিমালা নমনীয় করার সময় নিয়ে আলোচনা শুরু করার সুযোগ দেবে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট5 মিনিটের টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট এবং প্রাপ্ত ট্রেডিং সিগন্যালগুলো সেরা ছিল না। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, 1.2457 লেভেলের আশেপাশে একটি বাই সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল, কিন্তু এই পেয়ারের মূল্য মাত্র কয়েকটি পিপসের কারণে 1.2502 এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে ব্যর্থ হয়েছিল। পরবর্তীকালে, 1.2457 লেভেল থেকে মূল্যের রিবাউন্ড হয়েছিল, কিন্তু মূল্য এবারও লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়নি। অতএব, প্রথম দুটি সিগন্যাল ফলস বলে বিবেচনা করা যেতে পারে, এবং 1.2457 লেভেলের আশেপাশে প্রাপ্ত তৃতীয় সিগন্যালটি কার্যকর করা উচিত ছিলনা। শুধুমাত্র ম্যানুয়ালি এই ট্রেডগুলো ক্লোজ করা হয়ে থাকলে সেখান থেকে কিছু মুনাফা করা যেতে পারে।
মঙ্গলবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:প্রতি ঘণ্টায় চার্টে, GBP/USD পেয়ারের কাছে 4 মাসের ফ্ল্যাট ফেজ শেষ করার বাস্তব প্রযুক্তিগত ভিত্তি রয়েছে। এই পেয়ারের মূল্য 1.2502 লেভেল অতিক্রম করার পরে, ট্রেডাররা একটি নতুন নিম্নগামী প্রবণতার আশা করতে পারে। মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট ব্রিটিশ পাউন্ডের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে ডলারকে সমর্থন করে চলেছে। অতএব, আমরা শুধুমাত্র এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্টের আশা করছি।
মঙ্গলবার, নতুন ট্রেডাররা 1.2502 লেভেলের নিচে সেল সিগন্যাল অনুসন্ধান করতে পারেন। একটি কারেকশন দেখা যেতে পারে, তবে এটির শক্তিশালী মুভমেন্ট হওয়ার সম্ভাবনা কম। যদি অদূর ভবিষ্যতে এই পেয়ারের মূল্য 1.2502 এর লেভেলের উপরে না ফিরে আসে, তাহলে নিম্নগামী প্রবণতা গঠনের সম্ভাবনা আরও বেড়ে যাবে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2270, 1.2310, 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2648, 1.2691, 1.2725, 1.2787-1.2791। আজ, যুক্তরাজ্যে বেকারত্ব, জবলেস ক্লেইমস এবং গড় আয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এই প্রতিবেদনগুলো এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে, তবে নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে শুধুমাত্র স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন কিছু প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।