ইউরোর লেনদেনের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের পরামর্শ
বিকালে যখন MACD সূচকটি শূন্যের নিচে নেমে শুরু করেছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য 1.0852-এর লেভেল টেস্ট করেছিল, যা এই পেয়ারের সেল সিগন্যাল নিশ্চিত করে এবং এই পেয়ারের মূল্য 1.0831 এর এরিয়াতে নেমে যায়। ফলস্বরূপ, 20 পিপসের দরপতন পরিলক্ষিত হয়েছে। জার্মানির কনজিউমার কনফিডেন্স বা ভোক্তা আস্থা সংক্রান্ত প্রতিবেদন এবং স্পেনের জিডিপি প্রতিবেদন ইউরোকে সমর্থন করেছে, কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কনজিউমার কনফিডেন্স বা ভোক্তা আস্থা সংক্রান্ত শক্তিশালী প্রতিবেদন এই পেয়ারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। আজ, ইউরোর দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী বোর্ডের সদস্য পিয়েরো সিপোলোন এবং ইসিবি নির্বাহী বোর্ডের সদস্য ফ্র্যাঙ্ক এল্ডারসনের বিবৃতি এতে সাহায্য করতে পারে। তারা মুদ্রা নীতিমালার ব্যাপারে ডোভিশ বা নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করলে ইউরোর উপর চাপ সৃষ্টি হবে। ইউরোজোনের কনজিউমার কনফিডেন্স বা ভোক্তা আস্থা সূচকের ফলাফলে পতন দেখা গেলে সেটিও ইউরোর উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
লং পজিশনের জন্য
আজ, ইউরোর মূল্য 1.0864-এর লেভেলে ওঠার জন্যে 1.0841 (চার্টে সবুজ লাইন) এর লেভেলে পৌঁছে গেলে আপনি ইউরো কিনতে পারেন। আমি ইউরোর মূল্য 1.0864-এ থাকা অবস্থায় মার্কেট ছেড়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি, সেইসাথে এন্ট্রি পয়েন্ট থেকে বিপরীত দিকে ইউরোর মূল্যের 20-25 পয়েন্টের মুভমেন্ট দেখা গেলে ইউরো বিক্রি করার পরামর্শ দিচ্ছি। আজ, যদি ইসিবির কর্মকর্তারা হকিশ বা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে তাহলে সম্ভবত ইউরোর মূল্য বাড়তে পারে। কেনার সময়, নিশ্চিত করুন যে MACD লাইনটি শূন্যের উপরে রয়েছে বা এটি থেকে উপরের দিকে উঠে এসেছে।
এই পেয়ারের মূল্য পরপর দুইবার 1.0822 এর লেভেল টেস্ট করার পরেও ইউরো কেনা যেতে পারে, তবে সেক্ষেত্রে MACD লাইনটি ওভারসোল্ড জোনে থাকতে উচিত, যা এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ প্রবণতার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বুলিশ রিভার্সালের দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.0841 এবং 1.0864 এর বিপরীতমুখী লেভেলে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।
শর্ট পজিশনের জন্য
ইউরোর মূল্য 1.0822 (চার্টে লাল লাইন) লেভেলে পৌঁছানোর পরে ইউরো বিক্রি করতে পারেন। সেক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.0804 লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি অবিলম্বে মার্কেট ছেড়ে পরামর্শ দিচ্ছি এবং বিপরীত দিকে ইউরো কেনার (বিপরীত দিকে 20-25 পয়েন্টের মুভমেন্ট দেখা গেলে) পরামর্শ দিচ্ছি। এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতার মধ্যে ইউরোর উপর চাপ অব্যাহত থাকবে। বিক্রি করার সময়, নিশ্চিত করুন যে MACD লাইনটি শূন্যের নিচে রয়েছে বা এটি থেকে নিচের দিকে নেমে গেছে।
এই পেয়ারের মূল্য পরপর দুইবার 1.0841-এর লেভেল টেস্ট করার পরেও ইউরো বিক্রি করা যেতে পারে, কিন্তু MACD লাইনটি ওভারবট জোনে থাকতে হবে, কারণ এটি এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ প্রবণতা দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদর বিপরীতমুখী হয়ে 1.0822 এবং 1.0804-এর দিকে চলে যাবে।
চার্টে কী আছে:
হালকা সবুজ লাইন - এন্ট্রি প্রাইস যেখানে আপনি EUR/USD কিনতে পারবেন
গাঢ় সবুজ লাইন - আনুমানিক মূল্য যেখানে আপনি টেক-প্রফিট (TP) সেট করতে পারেন বা ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করতে পারেন, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
হালকা লাল লাইন - এন্ট্রি প্রাইস যেখানে আপনি EUR/USD বিক্রি করতে পারবেন
গাঢ় লাল লাইন - আনুমানিক মূল্য যেখানে আপনি টেক-প্রফিট (TP) সেট করতে পারেন বা ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করতে পারেন, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
MACD লাইন - বাজারে এন্ট্রি করার সময়, ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন দ্বারা পরিচালিত হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
গুরুত্বপূর্ণ: নতুন ট্রেডারদের বাজারে প্রবেশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশের আগে, মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে বাজারের বাইরে থাকাই ভাল। আপনি যদি সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেড করার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে ক্ষতি কমাতে সর্বদা স্টপ অর্ডার দিন। স্টপ অর্ডার না দিয়ে, আপনি খুব দ্রুত আপনার সম্পূর্ণ ডিপোজিট হারাতে পারেন, বিশেষ করে যদি আপনি মানি ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার না করেন এবং বড় ভলিউমে ট্রেড করেন।
এবং মনে রাখবেন সফলভাবে ট্রেড করার জন্য আপনার ট্রেডিংয়ের একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের স্বতঃস্ফূর্ত সিদ্ধান্ত একজন দৈনিক ট্রেডারের জন্য সহজাতভাবে ক্ষতির কারণ হতে পারে।