শুক্রবার নিম্নমুখী প্রবণতায় GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং করা হয়েছে, যার সাথে সেদিনকার সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের কোন সম্পর্ক ছিল না। ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড এবং ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকের পটভূমিতে ডলার শক্তিশালী হয়েছে, যা যথাক্রমে বৃহস্পতিবার এবং বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল। যেহেতু মার্কেটের ট্রেডাররা প্রাথমিকভাবে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকের ফলাফলের ভুল ব্যাখ্যা করেছিল, তাই বৃহস্পতি ও শুক্রবার আমরা এই পেয়ারের মূল্যের দ্বিগুণ নিম্নগামী মুভমেন্ট দেখেছি। যুক্তরাজ্যের খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন মার্কেটের সেন্টিমেন্টে কোন প্রভাব ফেলেনি। যদিও এই প্রতিবেদনটির পাউন্ডকে সমর্থন করা উচিত ছিল, কারণ এর ফলাফল পূর্বাভাসের চেয়ে ইতিবাচক ছিল। তবে দিনের বেশির ভাগ সময়ই এই পেয়ারের দরপতন হয়।
যদিও বুধবার সন্ধ্যায় ডিসেন্ডিং চ্যানেলটি ব্রেক করা হয়েছিল, তবে সেই মুভমেন্টগুলো ইম্পালসিভ ছিল, তাই আমরা সেগুলো বিবেচনা করব না। অতএব, ডিসেন্ডিং চ্যানেলটি প্রাসঙ্গিক রয়ে গেছে, যা বিক্রেতাদের সমর্থন করছে এবং মার্কিন ডলারকে আরও শক্তিশালী করছে। আমরা মনে করি যে ব্রিটিশ পাউন্ডের উল্লেখযোগ্য দরপতনের সম্ভাবনা রয়েছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট5 মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কিছু ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে, এই পেয়ারের মূল্য 1.2648-এর লেভেল অতিক্রম করে, তারপর 1.2605-1.2611-এর রেঞ্জ অতিক্রম করে এবং অবশেষে একই রেঞ্জ থেকে রিবাউন্ড করে। শেষ সিগন্যালটি সুনির্দিষ্ট ছিল না, তবে মার্কিন সেশন চলাকালীন সময়ে পরিলক্ষিত মুভমেন্টগুলো বেশ দুর্বল ছিল। যাই হোক না কেন, নতুন ট্রেডারদের কাছে লাভ করার জন্য প্রথম দুটি সিগন্যালই যথেষ্ট ছিল। ইউরোপীয় সেশনের শুরুতে শর্ট পজিশন ওপেন করা উচিত ছিল, যা প্রায় 50 পিপস লাভ এনেছিল। দিনের বেলায় কোন বাই সিগন্যাল তৈরি হয়নি, তাই সন্ধ্যার কাছাকাছি পজিশনটি ম্যানুয়ালি ক্লোজ করা উচিত ছিল।
সোমবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:প্রতি ঘণ্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্ট পুনরায় শুরু হয়েছে। দুর্ভাগ্যবশত, মার্কেট ট্রেডাররা প্রায়শই অনিয়মিতভাবে ট্রেড করতে থাকে, যা ট্রেডারদের, বিশেষ করে নতুন ট্রেডারদের বিভ্রান্ত করে। তা সত্ত্বেও সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ব্রিটিশ মুদ্রার দাম কমছে, যা উৎসাহব্যঞ্জক। নিম্নমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2648, 1.2691, 1.2725, 1.2787-1.2791, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2981-1.2993. । সোমবার যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট নির্ধারিত নেই। অতএব, এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা হ্রাস পেতে পারে, তবে ব্যাংক অব ইংল্যান্ড ও ফেডের বৈঠকের পরে ডলারের দর বৃদ্ধির পেতে পারে বলে পাউন্ডের এখনও দরপতনের প্রবণতা রয়েছে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।