অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ডলাইনের নিচে কনসলিডেট হওয়ার পর স্বল্প অস্থিরতার মধ্যে EUR/USD পেয়ারের ধারাবাহিক দরপতন অব্যাহত রয়েছে। বাজারের ট্রেডাররা ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন উপেক্ষা করেছে। জার্মানি এবং ইইউ-এর জন্য ZEW ইনস্টিটিউট থেকে প্রকাশিত সূচকগুলোর ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় ইতিবাচক ছিল, কিন্তু ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনে ইউরোর মূল্য এখনও পতনশীল ছিল। একইভাবে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিত বিল্ডিং পারমিট ইস্যু এবং হাউজিং স্টার্টিং সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফলও প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে, তবে মার্কিন সেশন চলাকালীন সময় ডলারের মূল্য আগে থেকেই পতনশীল ছিল। ফলে এটি স্পষ্ট যে মঙ্গলবারের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি এবং এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের মধ্যে কোনও সম্পর্ক ছিল না।
তবুও, এটি একটি ভাল জিনিস যে ইউরোর মূল্য ধীরে ধীরে কমছে। দুর্ভাগ্যবশত, এই পেয়ারের মূল্যের প্রায় 40 পিপস-এর দৈনিক অস্থিরতার মধ্যে এই পেয়ারের ট্রেড করা কঠিন, কিন্তু ট্রেডারদের বর্তমান মুভমেন্ট নিয়েই কাজ করে যেতে হবে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট5 মিনিটের টাইমফ্রেমে তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। যাইহোক, কেউ কেউ অনুমান করতে পারে যে সবগুলো সিগন্যালই বেশ কার্যকর ছিল। প্রাথমিকভাবে, এই পেয়ারের মূল্য 1.0855 লেভেলের নিচে কনসলিডেট হয়েছিল এবং এটির মূল্য প্রায় 10 পিপস কমেছে। তারপরে 1.0855 লেভেলের উপরে একটি কনসলিডেশন ছিল, এবং মূল্য আরও 10 পিপস বেড়েছিল। এবং আবারও আমরা আপনাকে মনে করিয়ে দিচ্ছি যে যখন এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা কম থাকে, তখন যেকোনো ট্রেডিং সিগন্যাল থেকে লাভের আশা করা খুবই কঠিন।
বুধবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:এক ঘন্টার চার্টে, EUR/USD পেয়ারের মূল্য নিচের দিকে যেতে শুরু করেছে, এবং আমরা শুধু আশা করতে পারি যে এবার ডলারের দাম বাড়বে। আমরা এখনও ইউরোর সুস্পষ্ট দরপতনের আশা করছি, যা আমাদের মতে, বেশ কিছু সময়ের জন্য অব্যাহত থাকা উচিত। আমরা ধরে নিচ্ছি যে এই পেয়ারের মূল্যের বুলিশ কারেকশন, যা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলেছিল, অবশেষে শেষ হয়েছে৷ যদি তাই হয়, তাহলে এই পেয়ারের মূল্যের নতুন নিম্নগামী প্রবণতা গঠিত হবে। মনে রাখবেন যে এখনও উল্লেখযোগ্য কারণের অভাব রয়েছে যা ইউরোর দর বৃদ্ধিকে সমর্থন করতে পারে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.0568, 1.0611-1.0618, 1.0668, 1.0725, 1.0785-1.0797, 1.0855, 1.0888-1.0896, 1.0940, 1.0971-1.0981, 1.1011, 1.1043, 1.1091। বুধবার ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড বক্তব্য দেবেন। এটি বেশ আকর্ষণীয়, কিন্তু ইসিবির বৈঠকের পর থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি যা ইইউ-এর অর্থনৈতিক পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়, তাই লাগার্ডের পক্ষে ট্রেডারদের কোনো আকর্ষণীয় তথ্য সরবরাহ করার সম্ভাবনা নেই। সন্ধ্যায় FOMC-এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, ফেডারেল রিজার্ভের প্রধান জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতা দেবেন, এবং আগামী দুই বছরের সুদের হারের ব্যাপারে ফেডের পূর্বাভাস প্রদান করা হবে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।