GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ১৪ মার্চ: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

বুধবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

বুধবার অযৌক্তিকভাবে GBP/USD পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে৷ যুক্তরাজ্যে দুটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল যা এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে প্রভাব বিস্তার করতে পারত, কিন্তু বাজারে সেগুলোর প্রভাবে সামান্য প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে। ট্রেডারদের প্রত্যাশা অনুযায়ী দেশটির জিডিপি জানুয়ারিতে 0.2% প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করেছে, কিন্তু শিল্প উৎপাদন 0.2% কমেছে, যা পূর্বাভাসের চেয়ে কম। তাই গতকাল পাউন্ডের দাম কমার কথা ছিল। যাইহোক, আমরা কেবল এই পেয়ারের মূল্যের স্বল্প অস্থিরতাই প্রত্যক্ষ করিনি কিন্তু প্রবণতার অনুপস্থিতিও দেখেছি। এই পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী চ্যানেল ছেড়ে যাওয়ার পরে, এই পেয়ারের আরও দরপতনের কারণ ছিল। তবে খেয়াল রাখবেন যে বাজারের ট্রেডাররা এই মুহূর্তে ডলার কিনছে না।

পরিস্থিতি ভালো যাচ্ছে না। পাউন্ডের মূল্য তিন মাস ধরে সম্পূর্ণভাবে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে, তারপরে কোনও যৌক্তিক কারণ ছাড়াই এটির মূল্য হঠাৎ বেড়ে গেল এবং এখন এর পরে কী করা উচিত তা কেউ জানে না। এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা কম রয়েছে এবং বৃদ্ধির পরিবর্তে পাউন্ডের দরপতনের অনেক কারণ রয়েছে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

5 মিনিটের টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্য সাইডওয়েজ মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে। দুর্ভাগ্যবশত, ট্রেডিং রেঞ্জের মধ্যে 1.2787 এবং 1.2791 এর লেভেল ছিল, তাই দিনের বেলায় এই পেয়ারের মূল্য শুধুমাত্র চারবার এই লেভেলগুলো অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছিল। এছাড়াও, নির্দিষ্ট এরিয়া থেকে মূল্যের চারটি রিবাউন্ড ছিল। স্বাভাবিকভাবেই, ফ্ল্যাট অবস্থায়, এই সমস্ত সিগন্যাল ফলস সিগন্যালে পরিণত হয়েছিল, তাই আমরা সেগুলো নিয়ে চিন্তা করিনি। আবারও, আমরা আপনাকে মনে করিয়ে দিচ্ছি যে যখন এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা দুর্বল থাকে এবং কোন নির্দিষ্ট প্রবণতা নেই তখন উচ্চ মুনাফার আশা করা কঠিন।

বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

প্রতি ঘন্টায় চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও এর জন্য কোনো মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তি নেই। এই পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী চ্যানেলের নীচে কনসলিডেট হয়েছে, কিন্তু এটি নিশ্চিত করে না যে পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকবে। বাজারের ট্রেডাররা এই পেয়ার কেনার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে, এবং পাউন্ড কেনার জন্য কোন সংশ্লিষ্ট প্রভাবকের প্রয়োজন হয় না।

5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2648, 1.2691, 1.2725, 1.2787-1.2791, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2981-1.2993। বৃহস্পতিবার, যুক্তরাজ্যে কোন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের পরিকল্পনা নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে খুচরা বিক্রয়, প্রাথমিক জবলেস ক্লেইমস এবং উৎপাদক মূল্য সূচকের প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। আমরা এই প্রতিবেদনগুলোর প্রভাবে বাজারে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার আশা করছি না এবং আমরা অবশ্যই আশা করি না যে ডলার এই প্রতিবেদনগুলো থেকে সমর্থন পাবে।

ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।