মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়া সত্ত্বেও মঙ্গলবার নিম্নমুখী প্রবণতায় GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিং অব্যাহত রয়েছে। এটা লক্ষণীয় যে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি পাওয়ায় ফেডারেল রিজার্ভ খুব শীঘ্রই সুদের হার কমাবে না, এমনকি জুন মাসেও এই সম্ভাবনা নেই। অন্যদিকে, ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের সুদের হার সম্পর্কিত প্রত্যাশা অপরিবর্তিত রয়েছে। আপাতত, ব্যাংক অব ইংল্যান্ড আগস্টে সুদের হার কমাতে পারে, তবে ব্রিটিশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক কিছুটা ভিন্ন অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে, তাদের যতক্ষণ প্রয়োজন ততক্ষণ সুদের হার অপরিবর্তিত রাখতে হবে। ব্রিটিশ অর্থনীতি ইতোমধ্যে মন্দায় পর্যবসিত হয়েছে। এটি গুরুতর নাও হতে পারে, কিন্তু এখন ব্যাংক অব ইংল্যান্ড শুধুমাত্র উচ্চ মূল্যস্ফীতি নয়, এই বিষয়টিও বিবেচনা করতে বাধ্য হয়েছে৷ যেভাবেই হোক, ফেডের হকিস বা কঠোর অবস্থান গ্রহণের প্রত্যাশা বাড়ছে, যা ডলারকে সমর্থন করবে। প্রত্যাশা অনুযায়ী, মঙ্গলবার মার্কিন গ্রিনব্যাকের দর বেড়েছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, এটি নিয়মের ব্যতিক্রম ছিল। সাধারণত, গত ছয় মাস ধরে, বাজারের ট্রেডাররা অযৌক্তিকভাবে ট্রেড করছে, কারণ এটি সম্পূর্ণরূপে মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমিকে উপেক্ষা করে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট5 মিনিটের টাইমফ্রেমে বেশ কয়েকটি সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে, এই পেয়ারের মূল্য হয় 1.2787-1.2791 রেঞ্জ অতিক্রম করেছিল বা বাউন্স করেছিল। আমরা এই ধরনের অস্পষ্ট সিগন্যাল উপেক্ষা করার পরামর্শ দিই। এর পরে, 1.2787-1.2791 এরিয়া থেকে আরেকটি বাউন্স ছিল। প্রকৃতপক্ষে, এই সময়ে মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের প্রায় 15 মিনিট পরে নতুন ট্রেডাররা শর্ট পজিশন ওপেন করতে পারে, কিন্তু এই পেয়ারের মূল্য শুধুমাত্র 28 পিপস কমেছে এবং স্পষ্টতই এটি নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছায়নি। 1.2787-1.2791 এর এরিয়ার আশেপাশে গঠিত তৃতীয় সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত ছিল যেহেতু প্রথম দুটি সিগন্যাল ফলস সিগন্যাল হিসাবে পরিণত হয়েছে৷
বুধবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:প্রতি ঘণ্টায় চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও এর জন্য কোনো মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তি নেই। এই পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী চ্যানেলের নীচে কনসলিডেট হয়েছে, কিন্তু এটি নিশ্চিত করে না যে পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকবে। বাজারের ট্রেডাররা এই পেয়ার কেনার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে, এবং পাউন্ড কেনার জন্য কোন সংশ্লিষ্ট প্রভাবকের প্রয়োজন হয় না।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2648, 1.2691, 1.2725, 1.2787-1.2791, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2981-1.2993। বুধবার, যুক্তরাজ্যে জানুয়ারির মাসের জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদনের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। উভয় প্রতিবেদনই খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়, এবং আমরা সেগুলোর প্রভাবে বাজারে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার আশা করছি না। এদিকে, মার্কিন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে তুলনামূলকভাবে কিছু নেই। এটি সম্ভবত আরেকটি বিরক্তিকর দিন হবে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।