১২ মার্চের মূল ইভেন্ট: নতুন ট্রেডারদের জন্য ফান্ডামেন্টাল অ্যানালাইসিস

সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের বিশ্লেষণ:

মঙ্গলবারে বেশ কয়েকটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্টের পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেগুলোর বেশিরভাগই গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ, কিন্তু সামগ্রিকভাবে, সেগুলো বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ আকর্ষণ করতে পারে। জার্মানিতে ফেব্রুয়ারী মাসের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের চূড়ান্ত মূল্যায়ন প্রকাশের মাধ্যমে দিনটি শুরু হবে। আমরা এই প্রতিবেদনের প্রভাবে বাজারে শক্তিশালী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির আশা করছি না, কারণ দ্বিতীয় মূল্যায়ন সর্বদা প্রথমটি থেকে খুব কমই আলাদা হয়ে থাকে। উপরন্তু, এই প্রতিবেদনটি ইউরোপীয় ইউনিয়নের শুধুমাত্র একটি দেশের প্রতিবেদন, এবং সবাই ইতোমধ্যেই মুদ্রাস্ফীতির মন্থরতার ব্যাপারে সচেতন। মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস এই ইঙ্গিত দেয় যে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক শীঘ্রই সুদের হার কমাতে পারে, যা ইউরোর উপর চাপ সৃষ্টি করবে। যাইহোক, আমরা এই মুহূর্তে সেরকম কিছু দেখতে পাচ্ছি না।

যুক্তরাজ্যে বেকারত্বের হার, আনএমপ্লয়মেন্ট ক্লেইমস এবং মজুরি সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। আমরা শেষ প্রতিবেদনটিকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি। যদি মজুরির হারে তীক্ষ্ণ বৃদ্ধি দেখা যায়, তাহলে দেশটির মুদ্রাস্ফীতি কমানো কঠিন হবে। আজকের আলোচ্যসূচির প্রধান ইভেন্ট হল ফেব্রুয়ারি মাসের মার্কিন মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন এবং পূর্বাভাস অনুযায়ী, এটি মন্থর হবে এমন প্রত্যাশা করা হচ্ছে ন। এটি ডলারকে সমর্থন করতে পারে, তবে বর্তমানে মার্কিন ডলার প্রবৃদ্ধি প্রদর্শনের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে।

ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:

মঙ্গলবারে কয়েকটি ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের পরিকল্পনা করা হয়েছে। 2024-এর দ্বিতীয় বৈঠকটি 20 মার্চ অনুষ্ঠিত হবে বলে ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তারা কোন বক্তব্য না দেয়ার বা "ব্ল্যাকআউট পিরিয়ড"-এ প্রবেশ করেছে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিগন বক্তৃতা দেবেন, কিন্তু তারা উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নয় এবং বাজারের ট্রেডাররা খুব কমই তাদের বক্তৃতার প্রতি মনোযোগ দেয়। যাই হোক না কেন, ইসিবি গত সপ্তাহে স্পষ্ট করে দিয়েছিল যে আগামী মাসে কী আশা করা যায়। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড এই মুহূর্তে কোন তথ্য প্রদান করছে না। প্রকৃতপক্ষে, পাউন্ডের ব্যাংক অব ইংল্যান্ড থেকে কোনো তথ্যের প্রয়োজন নেই কারণ এই মুহূর্তে পাউন্ডের দর বৃদ্ধির জন্য কোনো বিশেষ কারণের প্রয়োজন নেই।

উপসংহার:

আমরা আশা করি যে উভয় ইন্সট্রুমেন্টই তাদের নিজ নিজ নিম্নগামী মুভমেন্ট চালিয়ে যাবে, এবং শুধুমাত্র মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল উভয় পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট প্রভাব বিস্তার করতে পারে। পাউন্ডের ক্ষেত্রে, আমরা ইতোমধ্যে দরপতনের সংকেত পেয়েছি, এবং ইউরোর ক্ষেত্রে, আমরা আজ যেকোন সংকেত পেতে পারি। ইউরো এবং পাউন্ড উভয়ের দরপতনের আশা করা সত্ত্বেও, এটি মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে বাজারে এখনও বুলিশ প্রবণতা বিরাজ করছে, তাই এখনও যেকোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমিতে উভয় পেয়ারের মূল্য বাড়তে পারে।

ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।]

3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

কীভাবে চার্ট বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।