GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ১১ মার্চ: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

শুক্রবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

টানা ষষ্ঠ দিনের মতো ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় GBP/USD পেয়ারের ট্রেড পরিলক্ষিত হয়েছে। শেষ পর্যন্ত গত পাঁচ দিনের বিপরীতে এই পেয়ারের মূল্য বৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ ছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শ্রম বাজার এবং বেকারত্ব সম্পর্কিত দুর্বল প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে, তাই ডলারের দরপতন যৌক্তিক ছিল। আমরা পাউন্ডের মূল্যের বিস্তৃত ঊর্ধ্বমুখী সম্পর্কে একই কথা বলতে পারি না, যার ফলস্বরূপ এই পেয়ারের মূল্যের তিন মাসের সাইডওয়েজ চ্যানেল ছেড়ে চলে গেছে। পাউন্ডের মূল্য আবার বাড়ছে, যদিও যুক্তরাজ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট ঘটেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শুধুমাত্র শুক্রবার সামষ্টিক প্রতিবেদনের দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে, এবং মার্কিন কংগ্রেসে ফেডারেল রিজার্ভ চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতাকে হকিশ বা কঠোর বলে বিবেচনা করা যায় না। অতএব, পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি সম্পর্কে আমাদের অনেক প্রশ্ন আছে। আমরা এটাকে সম্পূর্ণ অযৌক্তিক বলে মনে করি। ঊর্ধ্বমুখী চ্যানেলের একটি তীক্ষ্ণ স্লোপ বা ঢাল রয়েছে, যা সংশোধন এবং পুলব্যাকের সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি নির্দেশ করে।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

5 মিনিটের টাইমফ্রেমে, ট্রেডাররা বৃহস্পতিবার লং পজিশন ওপেন করে তা হোল্ড করে থাকলে মুনাফা করা সম্ভব ছিল। বৃহস্পতিবার এই পেয়ারের মূল্য 1.2787-1.2791 এর এরিয়া অতিক্রম করেছে, যা দীর্ঘদিন ধরে সাইডওয়েজ চ্যানেলের উপরের সীমানা হিসাবে কাজ করেছিল। অতএব, সেদিকে মূল্যের অগ্রগতির পরে, লং পজিশন ওপেন করার জন্য এটি প্রয়োজনীয় এবং সম্ভব ছিল। তবে এই ক্ষেত্রে, আপনাকে পুরো রাত জুড়ে অপেক্ষা করতে হয়েছিল, যা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। শুক্রবার, এই পেয়ারের মূল্য প্রাথমিকভাবে 1.2848-1.2860 এর এরিয়ার উপরে কনসলিডেট হয়েছিল এবং তারপরে সেখানে ফিরে এসেছে। এই বাই সিগন্যাল থেকে মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হয়নি।

সোমবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

প্রতি ঘণ্টায় চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা পুনরায় শুরু করতে চায়, যদিও এর জন্য কোনো মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক ভিত্তি নেই। অতএব, পাউন্ডের মূল্য অদূর ভবিষ্যতে বৃদ্ধি পেতে পারে, এবং খবর, প্রতিবেদন, এবং ইভেন্ট এখন বাজারের ট্রেডারদের জন্য খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। যেহেতু মূল্য 1.2791 এর লেভেল অতিক্রম করেছে, আপনি লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে 1.2913 এর সাথে লং পজিশন বিবেচনা করতে পারেন। মূল্যের অস্থিরতা কম রয়েছে, কিন্তু প্রতিদিন পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধির জন্য এটি যথেষ্ট।

5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2648, 1.2691, 1.2725, 1.2787-1.2791, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2981-1.2993। সোমবার, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বা অন্তত আকর্ষণীয় ইভেন্টের পরিকল্পনা করা হয়নি, তাই এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা কম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এই পেয়ারের মূল্য নিম্নমুখী সংশোধন করার চেষ্টা করতে পারে।

ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।