বুধবারে বেশ কিছু সামষ্টিক অর্থনৈতিক ইভেন্ট রয়েছে এবং সেগুলোর মধ্যে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট রয়েছে যা উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা রয়েছে। আসুন সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
ইইউতে জানুয়ারির খুচরা বিক্রয় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। সম্ভবত, এই প্রতিবেদনের মান পূর্বাভাসের কম হবে, তাই ইউরোর সমর্থন পাওয়ার সম্ভাবনা কম। যাই হোক না কেন, বাজারের বর্তমান অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে, আমরা প্রায় 20 পিপসের মুভমেন্টের আশা করতে পারি।
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দুটি মূল প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এডিপি প্রতিবেদনটি নন-ফার্ম পেরোলের এনালগ সংস্করণ কিন্তু তুলনামূলক কম তাৎপর্যপূর্ণ। এটি এক মাসে সৃষ্ট নতুন কর্মসংস্থানের সংখ্যা প্রতিফলিত করে। ননফার্ম পেরোলের তুলনায় কম গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও, এটি বাজারে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে। দ্বিতীয় প্রতিবেদনটি JOLTs থেকে প্রকাশিত হবে, যা একটি নির্দিষ্ট তারিখে কর্মসংস্থান সৃষ্টির সংখ্যা প্রতিফলিত করে। এটিও মার্কিন শ্রম বাজারের পরিস্থিতি নির্দেশ করে। এই প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল মার্কিন ডলারকে সহায়তা প্রদান করতে পারে।
ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের বিশ্লেষণ:বুধবারের ফান্ডামেন্টাল ইভেন্টের মধ্যে, আমরা ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতার কথা তুলে ধরতে পারি। আমরা মনে করি যে পাওয়েলের আজকের বক্তৃতায় আগের বক্তৃতার তুলনায় নতুন কোন তথ্য পাওয়া যাবে না, কারণ তার শেষ বক্তৃতার পর থেকে এমন কোনো নতুন সামষ্টিক অর্থনৈতিক তথ্য পাওয়া যায়নি যা আর্থিক নীতিমালার ব্যাপারে তার অবস্থানকে প্রভাবিত করতে পারে। যাইহোক, পাওয়েল সবসময় বাজারের ট্রেডারদেরকে চমকে দিতে পসক্ষম, তাই আপনি এই ইভেন্ট থেকে ভবিষ্যৎ পরিস্থিতির ইঙ্গিত পেতে পারেন।
উপসংহার:আজ, আমরা আপনাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রকাশিতব্য প্রতিবেদন এবং পাওয়েলের বক্তৃতার দিকে দৃষ্টি দেয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। অবশ্যই, সম্ভাবনা আছে যে পাওয়েল কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করবেন না, এবং প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল নিরপেক্ষ হতে পারে। সেই ক্ষেত্রে, বাজারে সামান্য প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে এবং উভয় কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হবে না। যাইহোক, গতকাল বা আগের দিন যা পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল তার চেয়ে আজ শক্তিশালী মুভমেন্ট দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা এখনও রয়েছে।
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।]
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
কীভাবে চার্ট বুঝতে হয়:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।