শুক্রবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য নিম্নগামী মুভমেন্ট চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল কিন্তু দিনের দ্বিতীয়ার্ধে মার্কিন সামষ্টিক প্রতিবেদন দ্বারা সেই প্রচেষ্টা ব্যাহত হয়েছিল। দুটি প্রতিবেদন ট্রেডারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। আইএসএম ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেসিং ম্যানেজারস সূচক 47.8 এ এসেছে, যা আগের মাসে 49.1 ছিল এবং এবার 49.5 হবে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছিল। পাশাপাশি মিশিগান ইউনিভার্সিটির কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স ফেব্রুয়ারিতে 76.9 ছিল, যা পূর্বাভাস এবং আগের মান থেকেও কম। অতএব, মার্কিন সেশন চলাকালীন সময়ে ডলারের দরপতন একেবারে যৌক্তিক ছিল। দুর্ভাগ্যবশত, ব্রিটিশ পাউন্ডও নতুন নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু করতে অক্ষম, যা সামগ্রিক মৌলিক পটভূমিতে সবচেয়ে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে। প্রায়শই, বাজারের ট্রেডাররা পাউন্ড বিক্রি করতে অস্বীকার করে, কিন্তু কখনও কখনও এমন দিন থাকে যখন সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি মার্কিন ডলারের বৃদ্ধির বিপরীতে কাজ করে।
এই পেয়ারের মূল্য 1.2611-এর লেভেলের নিচে স্থির না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা উচিত নয়, যা সাম্প্রতিক মাসগুলিতে গুরুত্বপূর্ণ লেভেল হয়ে উঠেছে। আপনি যদি হায়ার টাইমফ্রেম লক্ষ্য করেন, আপনি স্পষ্টতই অবিরাম সাইডওয়েজ মুভমেন্ট দেখতে পাবেন, যা বেশ কয়েক মাস ধরে চলছে। অতএব, পাউন্ডও ফ্ল্যাট ফেজের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তবে এটি ইউরোর তুলনায় বিশ্বব্যাপী ঘটছে এবং আরও দীর্ঘমেয়াদী।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট5 মিনিটের টাইমফ্রেমে তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল ছিল। প্রথমত, 1.2648 লেভেলের আশেপাশে একটি সেল সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল, তারপরে মূল্য 1.2605-1.2611 রেঞ্জে নেমে আসে। তারপর, মূল্য 1.2605-1.2611 এর এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করে এবং 1.2648 এর লেভেলে ফিরে আসে। অবশেষে, এই পেয়ারের মূল্য এই লেভেলটি অতিক্রম করেছে, যাকে বাই সিগন্যাল হিসাবেও ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। প্রথম দুটি ট্রেডিং সিগন্যাল প্রায় 20 পিপস লাভ আনতে পারে, এবং তৃতীয় সিগন্যালটি কার্যকর করা উচিত ছিল না কারণ এটি খুব দেরিতে তৈরি হয়েছিল। এই পেয়ারের মূল্যের দুর্বল অস্থিরতার কারণে ট্রেডিং থেকে কম মুনাফা পাওয়া গেছে।
সোমবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:প্রতি ঘণ্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2611-1.2787 এর সাইডওয়েজ চ্যানেল ছেড়েছে এবং নতুন নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু করার মরিয়া চেষ্টা করছে। তবে এই প্রচেষ্টা ভালো যাচ্ছে না। আমরা পাউন্ডের দরপতনের আশা করছি, কিন্তু বাজারের ট্রেডাররা বিভ্রান্তিকর এবং অযৌক্তিক পদ্ধতিতে এই পেয়ারের ট্রেড চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা মনে করি যদি এই পেয়ারের মূল্য 1.2605-1.2611 এর এরিয়ার নিচে কনসলিডেট হয় তাহলে আপনার পক্ষে পাউন্ডের শর্ট পজিশন বিবেচনা করা উপযুক্ত হবে। এক্ষেত্রে প্রথম লক্ষ্যমাত্রা হল 1.2541।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2270, 1.2310, 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2648, 1.2691, 1.2725, 1.2787-1.2791, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2981-1.2993। সোমবার, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্টের পরিকল্পনা করা হয়নি, তাই ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া জানানোর কিছু থাকবে না। এটি সম্ভবত আরেকটি বিরক্তিকর, স্বল্প-অস্থিরতাসম্পন্ন দিন হবে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।