গতকাল EUR/USD পেয়ারের মূল্যের 30 পিপস অস্থিরতা দেখা গিয়েছে। সাধারণভাবে, বিশ্লেষণ করার মতো কিছুই ছিল না। এই পেয়ারের মূল্য সারাদিন এক জায়গায় ছিল, এবং সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই ঘটনা এই প্রথম নয়। এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা খুবই কম, যা লোয়ার টাইমফ্রেমেও ট্রেডিং প্রক্রিয়াকে ব্যাপকভাবে জটিল করে তুলেছে। তাই ইউরোপীয় এবং মার্কিন সেশনের সময় দ্রুত ট্রেড ওপেন ও ক্লোজ করা দরকার ছিল। যাইহোক, মূল্যের এই ধরনের অস্থিরতার মধ্যে, দিনের বেলা ট্রেড করা প্রায় অসম্ভব ছিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন উভয় ক্ষেত্রেই কোন গুরুত্বপূর্ণ বা গৌণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং মৌলিক ঘটনা ছিল না। ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্ক এবং ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিনিধিদের বেশ কয়েকটি বক্তৃতা বাজারে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেনি, যা দিনের বেলায় এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টে স্পষ্টভাবে দেখা যায়। ইউরোর মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী সংশোধন অব্যাহত থাকবে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট5 মিনিটের টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের কোনও প্রাসঙ্গিক এন্ট্রি সিগন্যাল তৈরি হয়নি। এই পেয়ারের মূল্যের এই ধরনের অস্থিরতার মধ্যে এটি মোটেও আশ্চর্যজনক নয়। স্পষ্টতই, এই পেয়ারের মূল্যের নিকটতম লেভেলগুলো নিয়েও কাজ করার কোন সুযোগ ছিল না। অতএব, বাজারে এন্ট্রি না করাই সেরা সিদ্ধান্ত ছিল।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:ঘন্টাভিত্তিক চার্টে, কিছু সময়ের জন্য EUR/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী সংশোধন চলমান থাকতে পারে, যদিও এখনও ইউরোর মূল্য বৃদ্ধি সমর্থন করার জন্য কোন সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং মৌলিক কারণ নেই। আমরা এখনও ইউরোর দরপতনের আশা করছি, যা আমাদের মতে, বেশ কিছু সময়ের জন্য অব্যাহত থাকা উচিত। দুর্ভাগ্যবশত, এই পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইন অতিক্রম করেছে, এবং এখনও ট্রেডারদের কাছে নিম্নগামী প্রবণতা বজায় রাখার জন্য একটি স্পষ্ট রেফারেন্স পয়েন্ট নেই।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.0568, 1.0611-1.0618, 1.0668, 1.0725, 1.0767-1.0785, 1.0835, 1.0896-1.0904, 1.0940, 1.0971-1.0981, 1.1011, 1.1043, 1.1091। বৃহস্পতিবার, বিনিয়োগকারীরা ইউরোজোন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে উৎপাদন এবং পরিষেবা সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদনের দিকে দৃষ্টি দেবে। যেহেতু অন্য কোন রিপোর্ট এবং ইভেন্ট নেই, এমনকি এই স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদনও বাজারের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া উস্কে দিতে পারে। এবং এটি বাজারে শক্তিশালী প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ এই মুহূর্তে মূল্যের কোন অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে না। এছাড়াও, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রাথমিক জবলেস ক্লেইমসের উপর আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে এবং ইইউ-তে জানুয়ারি মাসের মুদ্রাস্ফীতির দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশ করা হবে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।.
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি লাভ করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।