বুধবার নিম্নমুখী প্রবণতায় GBP/USD পেয়ারের ট্রেড করা হয়েছে। যদি মঙ্গলবার, মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের কারণে ব্রিটিশ মুদ্রা বিক্রি করা হয়ে থাকে, তবে বুধবার, দরপতনের প্রধান কারণ ছিল যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন। যুক্তরাজ্যে জানুয়ারীতে কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক অপরিবর্তিত ছিল, যদিও এই সূচক 4.2% এ বৃদ্ধির আশা করা হয়েছিল। মূল মুদ্রাস্ফীতিও অপরিবর্তিত ছিল, যখন এটি 5.2% এ বৃদ্ধি পাওয়ার প্রত্যাশা করা হয়েছিল। ফলে, এই প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশার তুলনায় নিম্নমুখী ছিল, এবং ব্রিটিশ মুদ্রার ক্রমাগত দরপতন হয়েছে।
আমরা মনে করি না যে এই প্রতিবেদনটি ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের মুদ্রানীতি কমিটির সিদ্ধান্তকে আমূলভাবে প্রভাবিত করবে, তবে এটি লক্ষণীয় যে মুদ্রাস্ফীতি যত বেশি বাড়বে বা কমবে না, কেন্দ্রীয় ব্যাংক তত বেশি সময় ধরে বর্তমান স্তরে সুদের হার বজায় রাখবে। যাইহোক, একই সময়ে, এটিও মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে ভোক্তা মূল্য সূচকের পূর্বাভাস এবং প্রকৃত মানের মধ্যে তুলনা করা উচিত, পূর্ববর্তী এবং প্রকৃত মানের মধ্যে নয়।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট5-মিনিটের টাইমফ্রেমে এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট সিগন্যাল এবং মুনাফার আশা করার জন্য যথেষ্ট অস্থির ছিল। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, 1.2605-1.2611 এর কাছাকাছি একটি সেল সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল। এটি নিয়ে কাজ করা বেশ কঠিন ছিল, তবে বাজারে এন্ট্রি করা সম্ভব ছিল। পরবর্তীকালে, এই পেয়ারের মূল্য 1.2544 লেভেলে নেমে আসে এবং এটি থেকে দুবার বাউন্স করে, বাই সিগন্যাল তৈরি করে। এই দুটি সিগন্যাল একে অপরের প্রতিলিপি ছিল, তাই সেগুলোর উপর ভিত্তি করে শুধুমাত্র একটি লং পজিশন ওপেন করা উচিত ছিল। বাজারের ট্রেডাররা বুধবার সন্ধ্যায় এই ট্রেড ক্লোজ করতে পারে। সামগ্রিকভাবে, দুটি ট্রেড থেকে লাভ ছিল 40-50 পিপস।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পরমর্শ:প্রতি ঘণ্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2611-1.2787-এর সাইডওয়েজ চ্যানেল ছেড়ে চলে গেছে এবং নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। তবে, শক্তিশালী প্রতিবেদনের কারণে পাউন্ডের মূল্য সম্প্রতি হ্রাস পেয়েছে। ভবিষ্যতে, বাজারের ট্রেডাররা আবার এই পেয়ার ক্রয় করতে পারে, যদিও এর কোনো কারণ ও ভিত্তি নেই। যদি বৃহস্পতিবারে প্রকাশিতব্য যুক্তরাজ্যের সামষ্টিক প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল প্রত্যাশার থেকে ইতিবাচক হয় তবে পাউন্ডের মূল্যের শক্তিশালী বৃদ্ধি দেখা যেতে পারে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2270, 1.2310, 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2688, 1.2725, 1.2787-1.2791, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2981-1.2993। বৃহস্পতিবার, যুক্তরাজ্যে শিল্প উৎপাদন এবং জিডিপি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এই প্রতিবেদনগুলোর ফলাফল দুর্বল হবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, কিন্তু যদি আসন্ন প্রতিবেদনগুলোর প্রকৃত মান সর্বশেষ প্রতিবেদনের মান অতিক্রম করে, তাহলে এটি পাউন্ডের মূল্যকে ঊর্ধ্বমুখী করতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যেমন শিল্প উৎপাদন এবং খুচরা বিক্রয়, যা শুধুমাত্র পূর্বাভাস থেকে প্রকৃত ফলাফলের উল্লেখযোগ্য বিচ্যুতির ক্ষেত্রে বাজারের প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।