বুধবার EUR/USD পেয়ারের মূল্যের স্বল্প মাত্রার অস্থিরতা পরিলক্ষিত হয়েছে, এবং মার্কেটে ট্রেডিংয়ের প্রতি খুব কম আগ্রহ দেখা গেছে। পূর্ববর্তী নিবন্ধগুলোতে, আমরা আপনাকে সতর্ক করে দিয়েছিলাম যে ইউরো কোন অস্থিতিশীল মুদ্রা নয়, তাই এটি স্পষ্ট প্রবণতার উপস্থিতিতেও (যেমনটি এখন দেখা যাচ্ছে), আমাদের প্রতিদিন এই পেয়ারের দরপতনের আশা করা উচিত নয়। যদি মঙ্গলবার, বাজারের ট্রেডাররা মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের প্রতি দৃঢ়ভাবে বিয়ারিশ প্রবণতার সাথে প্রতিক্রিয়া জানায়, যা গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয় এবং এর মান বাজারে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে, এখন কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন ছিল না। অতএব, আমরা এই পেয়ারের মূল্যের 38 পিপসের অস্থিরতা পর্যবেক্ষণ করেছি।
ইইউতে জিডিপি এবং শিল্প উৎপাদনের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যেই আপনাকে সতর্ক করে দিয়েছি যে কাগজে কলমে এগুলিকে গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট হিসাবে বিবেচনা করা হয়, কিন্তু বাস্তবে, সেগুলো মার্কেট সেন্টিমেন্টকে বাজারের উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করার সম্ভাবনা কম। জিডিপির চতুর্থ প্রান্তিকের দ্বিতীয় অনুমান প্রথমটি থেকে আলাদা ছিল না এবং শিল্প উৎপাদন ডিসেম্বরে বৃদ্ধি পেলেও, এটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক নয়।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট5 মিনিটের টাইমফ্রেমে স্পষ্টভাবে দেখা যায় যে বুধবার কার্যত এই পেয়ারের মূল্যের কোন মুভমেন্ট ছিল না। প্রথম ট্রেডিং সিগন্যালটি মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে তৈরি হয়েছিল যখন পেয়ারটির মূল্য 1.0725 এর লেভেল অতিক্রম করেছিল। এই সিগন্যাল গঠনের পরে, এমনকি মূল্য 10 পিপসও বাড়েনি। এটি সিগন্যালটি দুর্বল বা ভুল ছিল বলে নয়, বরং মূল্যের অস্থিরতার কম ছিল বলে এমনটি হয়েছে। এভাবে লাভ-ক্ষতি ছাড়াই দৈনিক ট্রেডিং শেষ হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:এক ঘন্টার চার্টে, এই পেয়ারের মূল্যের নিম্নমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে। আমরা এখনও আশা করছি ইউরোর সুস্পষ্ট দরপতন দেখা যাবে, কারণ মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি এই মুহূর্তে এই পেয়ারকে সমর্থন করতে পারছে না। একই সময়ে, আমাদের আশা করা উচিত নয় যে ইউরোর প্রতিদিন দরপতন হবে বা শক্তিশালী মুভমেন্ট প্রদর্শন করবে। আমরা লক্ষ্য করেছি যে বাজারের ট্রেডাররা সক্রিয়ভাবে তখনই ট্রেড করে যখন মৌলিক কারণ থাকে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.0568, 1.0611-1.0618, 1.0668, 1.0725, 1.0767-1.0781, 1.0835, 1.0896-1.0904, 1.0940, 1.0971-1.0981, 1.1011, 1.1043, 1.1091। ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ড বক্তৃতা দেবেন, যার ফলে ইউরোর দরপতন হতে পারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শিল্প উৎপাদন, খুচরা বিক্রয় এবং জবলেস ক্লেইমসের মতো স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এগুলো শুধুমাত্র বাজারে দুর্বল বাজার প্রতিক্রিয়া উস্কে দিতে পারে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।.
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি লাভ করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।