GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ৯ ফেব্রুয়ারি: নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট

বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের নতুন নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু করার চেষ্টা করা হয়েছিল, যা গত সপ্তাহে শুরু হয়েছিল, কিন্তু মূল্য দ্রুত ঊর্ধ্বমুখী হয়ে গেছে। প্রধান নেতিবাচক দিক হল 1.2611 লেভেলের প্রতি বাজারের ট্রেডারদের সম্পূর্ণ অবহেলা, যা দীর্ঘ সময় ধরে সাইডওয়েজ চ্যানেলের নিম্ন সীমানা হিসেবে কাজ করেছে। মনে হচ্ছে এই লেভেল এখন একেবারেই গুরুত্বপূর্ণ নয় এবং ট্রেডারদের কাছে কোন রেজিস্ট্যান্স লেভেল নেই। মার্কিন বেকারত্বের দাবির প্রতিবেদনের কারণে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্য 50% কমেছে। এই প্রতিবেদনটিকে তাৎপর্যপূর্ণ বিবেচনা করা যায় না, তবে বাজারে অন্যান্য ইভেন্টের অনুপস্থিতিতে, ট্রেডাররা এই স্বল্প গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনের প্রতিই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ফলস্বরূপ, আমরা এই পেয়ারের মূল্যের বেশ বিশৃঙ্খল মুভমেন্ট লক্ষ্য করেছি। প্রাথমিকভাবে এই পেয়ারের দরপতনের পরে মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী সংশোধন করেছে, যা প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু এখন মূল প্রবণতা পুনরায় শুরু হওয়া কঠিন।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

৫ মিনিটের টাইমফ্রেমে আবারও এই পেয়ারের মূল্যের দুর্বল মুভমেন্ট পরিলক্ষিত হয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের দৈনিক নিম্ন লেভেল থেকে সর্বোচ্চ লেভেলের মধ্যে ব্যবধান 66 পিপস, যা ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য কম। 1.2605-1.2611 এরিয়ার আশেপাশে সমস্ত ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি হয়েছিল, এবং সেগুলির সবকটিই ফলস সিগন্যাল ছিল, কারণ মুভমেন্ট বেশ দুর্বল ছিল। ট্রেডাররা প্রথম দুটি সিগন্যাল কার্যকর করতে পারত। প্রথমটি (বাই সিগন্যাল) কার্যকর করার ফলে লোকসান হয়, এবং দ্বিতীয় ট্রেড কোন লাভ বা ক্ষতি ছাড়াই ক্লোজ হয়ে যায়। তাই, ট্রেডাররা লোকসানের সাথে দৈনিক ট্রেডিং শেষ করেছে, তবে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই, কারণ প্রতিদিন লাভ করা অসম্ভব। মূল বিষয় হল সর্বদা লোকসান কমানোর জন্য চেষ্টা করতে হবে।

শুক্রবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

এক ঘন্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2611-1.2787 এর সাইডওয়েজ চ্যানেল ছেড়েছিল কিন্তু ইতোমধ্যে মূল্য এটিতে ফিরে এসেছে। গত সপ্তাহের পাশাপাশি সোমবারের মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি শুধুমাত্র ডলারকে সমর্থন করেছিল, তাই শুধুমাত্র নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু হওয়াই যৌক্তিক ছিল। তবে নিম্নমুখী প্রবণতা অবশ্যই অব্যাহত থাকবে। কিন্তু এই সপ্তাহে বাজার থেকে শক্তিশালী মুভমেন্টের আশা করা অত্যন্ত কঠিন, এবং ট্রেডাররা শুধুমাত্র 1.2611-এর গুরুত্বপূর্ণ লেভেল উপেক্ষা করছে। সম্ভবত শুক্রবারও বিভ্রান্তি অব্যাহত থাকবে।

5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2270, 1.2310, 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2688, 1.2725, 1.2787-1.2791, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2981-1.2993। শুক্রবার, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট বা প্রতিবেদন নেই। ফলে, প্রতিক্রিয়া জানানোর মতো কিছুই থাকবে না এবং মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা সম্ভবত কম থাকবে।

ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।