ট্রেডিং সপ্তাহের শুরুতে EUR/USD পেয়ার মার্কিন গ্রিনব্যাকের বিপরীতে দরপতনের শিকার হয়েছে, যা ইতোমধ্যেই শুক্রবার শুরু হয়েছিল। কোন সংশোধন বা রিবাউন্ড ছিল না; বাজারের ট্রেডাররা অবিরতভাবে ইউরো বিক্রি করেছে এবং ডলার কিনেছে। সোমবার সামষ্টিক অর্থনৈতিক এবং মৌলিক পটভূমি তুলনামূলকভাবে দুর্বল ছিল, যদিও দুটি ইভেন্ট এখনও মনোযোগের দাবি রাখে। প্রথমত, মার্কিন পরিষেবা খাতের আইএসএম নন-ম্যানুফ্যাকচারিং পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (পিএমআই)। দ্বিতীয়ত, ফেডারেল রিজার্ভের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতা। আইএসএম নন-ম্যানুফ্যাকচারিং পিএমআই প্রতিবেদন ফলাফল উল্লেখযোগ্যভাবে পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গেছে, যা দিনের দ্বিতীয়ার্ধে ডলারের দর বৃদ্ধিকে সমর্থন করেছিল এবং পাওয়েল তার বক্তৃতায় হকিশ বা কঠোর অবস্থান বজায় রেখেছিলেন। বিশেষ করে, তিনি পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে মার্চ মাসে সুদের হার কমার সম্ভাবনা নেই।
এই সব বিষয় সোমবার মার্কিন ডলারকে সমর্থন করেছে। ফলে, নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় রয়েছে এবং আমরা আশা করছি যে ইউরোর মূল্য আরও কমবে, যেমনটি আমরা গত দুই মাস ধরে বলে আসছি।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট5 মিনিটের টাইমফ্রেমে শুধুমাত্র একটি ট্রেডিং সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। ইউরোপীয় ট্রেডিং সেশনের সময়, এই পেয়ারের মূল্য 1.0767-1.0781 এর রেঞ্জের মধ্য দিয়ে ব্রেক করে যায়, তারপরে মূল্য 1.0733 লেভেলে নেমে যায় এবং এটিও ব্রেক করে যায়। যাইহোক, এটা বেশ ইতস্ততের সাথে করা হয়েছে. নতুন ট্রেডাররা এই লেভেলের কাছাকাছি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে পারত, কিন্তু ইউরোর দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে, কারণ আগের সপ্তাহের পরে বাজারের ট্রেডাররা স্পষ্টভাবে ডলারের প্রতি আগ্রহ জোরদার করেছে।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:প্রতি ঘণ্টার চার্টে, EUR/USD পেয়ারের মূল্য একটি নিম্নগামী মুভমেন্ট প্রদর্শন করেছে, কারণ FOMC বা ফেডারেল ওপেন মার্কেট কমিটির বৈঠকের ফলাফল হকিশ ছিল, এবং শ্রম বাজার এবং বেকারত্বের তথ্যের ফলাফল খুবই শক্তিশালী ছিল। আমরা বিবেচনা করেছি যে সংবাদটি হতাশাজনক হলে নিম্নমুখী প্রবণতা শেষ হতে পারে, কিন্তু তা ঘটেনি। সুতরাং, আপাতত, আমরা অনুমান অনুযায়ী সবকিছু চলছে। ইউরো এখনও খুব বেশি কেনা হয়েছে এবং অযৌক্তিকভাবে ব্যয়বহুল রয়ে গেছে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.0568, 1.0611-1.0618, 1.0668, 1.0733, 1.0767-1.0781, 1.0835, 1.0896-1.0904, 1.0940, 1.0971-1.0981, 1.1011, 1.1043, 1.1091। মঙ্গলবার, ইইউতয়ে খুচরা বিক্রয়ের উপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে এবং মার্কিন ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু নেই। অতএব, আমরা মনে করি যে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা দুর্বল হতে পারে, কিন্তু একই সময়ে, ইউরোর দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে। অন্তত, যদি মূল্য 1.0733 এর লেভেল অতিক্রম করে। এই ক্ষেত্রে, আপনি 1.0733 এর উপরে স্টপ লস এবং 1.0668 এর লক্ষ্যমাত্রায় শর্ট পজিশন হোল্ড করতে পারেন।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।.
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি লাভ করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।