সপ্তাহের প্রথম দিনের ট্রেডিং শেষে GBP/USD পেয়ারের উল্লেখযোগ্য দরপতন দেখা গিয়েছে। এই পেয়ারের মূল্য উল্লেখযোগ্যভাবে ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে গেছে, যা প্রায় দুই মাস বা তারও বেশি সময় ধরে ক্রেতাদের সমর্থন প্রদান করেছিল। এখন, এই ট্রেন্ডলাইনটি আর প্রাসঙ্গিক নয়। যাইহোক, আমরা 1.2611 লেভেল থেকে এই পেয়ারের মূল্যের বাউন্সের কথা তুলে ধরতে চাই, যা বারবার এই পেয়ারকে দরপতন থেকে রোধ করেছে। গত বছরের শেষের দিকে, ব্রিটিশ পাউন্ডের মূল্য এই লেভেল থেকে রিবাউন্ড করে, তারপরে আমরা একটি নতুন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা প্রত্যক্ষ করেছি।
অতএব, আমরা আপনাকে শর্ট পজিশন ওপেন করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিই যতক্ষণ না পেয়ারের মূল্য এই লেভেলটি অতিক্রম করে। যাইহোক, এটা অস্বীকার করা কঠিন যে ব্রিটিশ পাউন্ড এখনও বেশ অনেক কেনা হয়েছে, এবং এর মূল্য আরও বাড়ার কোনো কারণ নেই। দিনের একমাত্র প্রতিবেদন হিসেবে, যা ডিসেম্বরের জন্য ম্যানুফ্যাকচারিং পিএমআই প্রতিবেদন ছিল, যা প্রত্যাশিতভাবে 50 স্তরের নিচে ছিল, তাই পাউন্ড কেনার কোন কারণ ছিল না।
যাইহোক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই সপ্তাহে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক প্রতিবেদন প্রকাশ করবে, যা সম্ভাব্যভাবে ডলারের উপর নতুন চাপ সৃষ্টি করতে পারে। আমরা বিশ্বাস করি যে মার্কিন মুদ্রার শক্তিশালী হওয়া উচিত, কিন্তু যদি এই সপ্তাহের প্রতিবেদনের ফলাফল আবার দুর্বল হয়ে যায়, তাহলে এটি এই পেয়ারের মূল্যের বিয়ারিশ সম্ভাবনাকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্টট্রেডিং সিগন্যালের কথা বলতে গেলে 5 মিনিটের চার্টে বেশ কার্যকর সিগন্যাল পাওয়া গিয়েছিল। 1.2725 লেভেলের আশেপাশে পাওয়া প্রথম সেল সিগন্যালটি একটি ভুল সিগন্যাল হিসাবে পরিণত হয়েছিল, কিন্তু এটির গঠনের পরে এই পেয়ারের মূল্য 20 পিপস বেড়েছে, আমরা ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করে রেখেছিলাম, যা শেষ পর্যন্ত কাজ করেছে। ট্রেডাররা একই লেভেলের কাছাকাছি পরবর্তী সেল সিগন্যাল ব্যবহার করে শালীন মুনাফা অর্জন করতে পারে, কারণ দিনের বাকি অংশে বিরতিহীনভাবে এই পেয়ারের দরপতন হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত, মূল্য 1.2611 লেভেলে নেমে যায় এবং লেনদেন হয়ে যায়। সেই মুহূর্তে, আমরা প্রায় 90 পিপস লাভের সাথে শর্ট পজিশন ক্লোজ করে দিয়েছি।
বুধবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:প্রতি ঘণ্টায় চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইন ব্রেক করে গেছে এবং এখন, দীর্ঘ সময়ের মধ্যে প্রথমবারের মতো, একটি নতুন নিম্নমুখী প্রবণতা গঠনের সত্যিকারের সুযোগ রয়েছে। আমরা এখন বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে পাউন্ডের মূল্যের স্থিতিশীল নিম্নমুখী প্রবণতা শুরু করার জন্য অপেক্ষা করছি, তাই আমরা আশা করি এই পেয়ারের মূল্য 1.2611 লেভে; অতিক্রম করবে।
বুধবার, দরপতন পুনরায় শুরু করার আগে এই পেয়ারের মূল্য 1.2611 লেভেল থেকে সরে যেতে পারে। নিম্নগামী মুভমেন্ট পুনরুদ্ধার করার আগে এটি বেশ কয়েক দিন সময় নিতে পারে। এই সপ্তাহের মার্কিন প্রতিবেদনের উপর অনেক কিছু নির্ভর করবে। যদি সেগুলোর ফলাফল দুর্বল হয় তবে এটি ডলারের অবস্থান শক্তিশালী হওয়া থেকে বিরত রাখতে পারে।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2270, 1.2310, 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2688, 1.2725, 1.2787-1.2791, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2981-1.2993। আজ, যুক্তরাজ্যের ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু নেই, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে (ISM এবং JOLTs)। সন্ধ্যায়, ফেডারেল রিজার্ভের মিনিট বা কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে, তবে আমরা এটিকে গুরুত্বের দিক থেকে গৌণ বলে বিবেচনা করছি।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি লাভ করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।