বিশ্ব অর্থবাজার আজ খোলা আছে, যদিও সম্পূর্ণরূপে নয়। ইউরোপ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এক্সচেঞ্জগুলো পুনরায় চালু হয়েছে, অন্যান্য অঞ্চলে ছুটি অব্যাহত রয়েছে।
সামগ্রিক গতিশীলতার দিকে তাকালে বোঝা যাচ্ছে, বিনিয়োগকারীরা গত বছরের শেষ বুলিশ মোমেন্টাম অব্যাহত রাখতে পারে। এর প্রধান চালক হবে ফেড এবং অন্যান্য বৈশ্বিক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হারে প্রত্যাশিত হ্রাস।
আসন্ন অর্থনৈতিক তথ্য, বিশেষ করে মার্কিন শ্রম বাজারের প্রতিবেদনও বাজারকে প্রভাবিত করবে। নতুন কর্মসংস্থানের সংখ্যার উপর ADP-এর রিপোর্ট, যা নভেম্বরে 103,000-এর তুলনায় ডিসেম্বরে 113,000-এ বৃদ্ধি পাবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, ডলারের দরপতন ঘটাতে পারে কারণ এই সংখ্যাটি খুবই কম এবং 200,000-এর উপরে স্থিতিশীল বৃদ্ধি প্রয়োজন৷ একইভাবে, যদিও বেকারত্ব সুবিধার আবেদনের সংখ্যায় 218,000 থেকে 215,000 এ সামান্য হ্রাস দেখা যেতে পারে, মোট সংখ্যা 200,000-এর উপরে রয়ে গেছে।
মার্কিন শ্রম বিভাগের অফিসিয়াল প্রতিবেদনও মনোযোগ আকর্ষণ করবে কারণ এটি ডিসেম্বরে কর্মসংস্থানের পরিবর্তন, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির সংখ্যা, কর্ম সপ্তাহের গড় দৈর্ঘ্য এবং গড় ঘন্টাভিত্তিক আয় প্রদর্শন করবে। নতুন কর্মসংস্থানের সংখ্যা 199,000 থেকে 163,000-এ হ্রাস পেতে পারে। বেকারত্বের হার 3.7% থেকে 3.8% এ সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে, যখন কর্ম সপ্তাহের গড় দৈর্ঘ্য 34.4 ঘন্টা হতে পারে। প্রতি ঘণ্টায় আয় 0.4% থেকে 0.3% পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে।
শ্রমবাজারের খারাপ পরিস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ ক্রয় এবং ডলারের দুর্বলতার শক্তিশালী সংকেত হবে। এর মূল কারণ ফেড 2024 সালের প্রথম প্রান্তিকে সুদের হার কমানো শুরু করার ইঙ্গিত দিয়েছে, যার ফলে বাজারে এর প্রভাব পড়া শুরু করেছেচ।
আজকের পূর্বাভাস:
EUR/USD:
এই পেয়ারের মূল্যের সাপোর্ট লেভেল 1.1000 লেভেলে খুঁজে পাওয়া গেছে। মার্কিন শ্রম বাজারের নেতিবাচক পরিস্থিতি, সেইসাথে ইউরোজোনে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির সম্ভাবনা এই পেয়ারের মূল্যকে 1.1130-এর দিকে নিয়ে যেতে পারে।
GBP/USD
1.2700 এর লেভেলে এই পেয়ারের ট্রেড করা হচ্ছে। মার্কিন শ্রমবাজারে অস্পষ্ট পরিস্থিতির কারণে ডলারের দরপতন হতে পারে এবং এই পেয়ারের দর 1.2825-এর দিকে যেতে পারে।