GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ২৯ ডিসেম্বর। নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:GBP/USD পেয়ারের 30M চার্ট

বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মূল্যের কিছুটা বিয়ারিশ প্রবণতা দেখা গিয়েছে। এদিন ব্রিটিশ মুদ্রারর মূল্য প্রায় 70 পিপস হ্রাস পেয়েছে, কিন্তু আগের দিন এটির মূল্য 100 পিপস বেড়েছিল। দুই দিনেই এই পেয়ারের মূল্যের এমন মুভমেন্ট প্রদর্শন করার কোনো কারণ ছিল না। এই ছুটির সপ্তাহে ফ্ল্যাট মুভমেন্ট আরও যুক্তিযুক্ত হবে। যাইহোক, আমরা এমন মুভমেন্ট প্রত্যক্ষ করছি যা যৌক্তিক নয় এবং ভবিষ্যদ্বাণী করা যায় না।

এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতাও অটুট রয়েছে। পাউন্ডের মূল্য টানা তিন মাস ধরে বেড়ে চলেছে, কিন্তু পুরো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টকে এখনও একটি সংশোধন বলে মনে করা হচ্ছে। আমরা এটিকে একটি সংশোধন হিসাবে দেখি যতক্ষণ না এই পেয়ারের মূল্য ছয় মাস আগে নির্ধারিত সর্বোচ্চ লেভেলকে অতিক্রম করতে পরিচালিত হয়। আমরা এখনও ব্রিটিশ মুদ্রার উল্লেখযোগ্য দরপতনের আশা করছি, কিন্তু বর্তমানে এর জন্য কোনো সংকেত নেই। ট্রেন্ডলাইনের নিচে মূল্য দৃঢ়ভাবে স্থির হওয়ার পরেই এই ধরনের সংকেত দেখা যাবে। আপাতত, বাজারের ট্রেডাররা ব্রিটিশ মুদ্রার অযৌক্তিক ক্রয় অব্যাহত রয়েছে। সমস্ত বৃদ্ধির কারণগুলোর ভিত্তি করে দীর্ঘকাল ধরে এই পেয়ারের মূল্য মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।ডিসেম্বরে ফেডারেল রিজার্ভের তুলনায় ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের আরও বেশি হকিশ অবস্থান গ্রহণ করেছে শুধুমাত্র এই একটি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে পাউন্ডের দর ছয় মাস বা এক বছর ধরে বাড়তে পারে না।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

5 মিনিটের চার্টে কিছুটা মোটামুটি কার্যকর ট্রেডিং সিগন্যাল ছিল। 1.2792 লেভেলের আশেপাশে প্রথম বাই সিগন্যালটি একটি ভুল সিগন্যাল হিসাবে পরিনত হয়েছে, এবং মূল্য 20 পিপসও নির্ধারিত দিকে যেতে পারেনি, যা ব্রেক-ইভেনে একটি স্টপ-লস সেট করার জন্য যথেষ্ট ছিল। যাইহোক, ট্রেডাররা পরবর্তী সিগন্যাল ব্যবহার করে শর্ট পজিশন খুলতে পারে, এবং মূল্য পরবর্তীতে 1.2725 লেভেলে নেমে যায়, যেখানে তাদের টেক প্রফিট সেট করা উচিত ছিল। ফলস্বরূপ, প্রথম ট্রেড থেকে প্রায় 20-25 পিপস ক্ষতি হয়েছে, যখন দ্বিতীয় ট্রেড থেকে প্রায় 50 পিপ লাভ হয়েছে।

শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

ঘন্টাভিত্তিক চার্টে, GBP/USD পেয়ারের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবার শুরু হয়েছে এবং ছুটি থাকা সত্ত্বেও এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। পাউন্ড একটি অযৌক্তিক পদ্ধতিতে ট্রেডিং চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের দৃষ্টিকোণ থেকে, ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে, যার মানে ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্য বাড়তে পারে।

শুক্রবার আমরা এই পেয়ারের মূল্যের বিশৃঙ্খল মুভমেন্ট দেখতে পারি। অতএব, এই পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টের পিছনে যুক্তি খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। যাইহোক, 5-মিনিটের চার্টে, আপনি এই লেভেলের উপর ভিত্তি করে ট্রেড করা চালিয়ে যেতে পারেন, কারণ বর্তমান মুভমেন্টগুলো বেশ ট্রেন্ড-ভিত্তিক এবং অস্থির।

5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2270, 1.2310, 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2688, 1.2725, 1.2787-1.2791, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2981-1.2993। শুক্রবার, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইভেন্ট ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু নেই। কোন গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হবে না, কিন্তু সেগুলো ছাড়াই পাউন্ড সক্রিয়ভাবে মুভমেন্ট প্রদর্শনের জন্য প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে।

ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:

1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি লাভ করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।