মঙ্গলবার GBP/USD পেয়ারের মূল্য তীব্রভাবে বেড়েছিল। সোমবার ব্রিটিশ পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত ছিল, যদিও এর কোনো সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও মৌলিক কারণ ছিল না। মঙ্গলবার ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্য চিত্তাকর্ষক বৃদ্ধি দেখিয়েছে, যদিও এর জন্য কোন ভিত্তি ছিল না। এইভাবে, পাউন্ডের মূল্য বর্তমানে উপরে এবং নিচে ওঠানামা করছে, এবং মূল্যের এই ধরনের মুভমেন্ট সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী করা প্রায় অসম্ভব। এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা অটুট রয়েছে, কিন্তু এর মানে এই নয় যে পাউন্ডের মূল্য প্রতিদিন বাড়বে। আমরা এখনও মনে করি যে সবচেয়ে যৌক্তিক বিকল্প হল এই পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ড লাইনে নেমে যাবে এবং এটিকে অতিক্রম করবে।
যুক্তরাজ্যে, বুধবার বেশ কিছু আকর্ষণীয় প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। সপ্তাহের প্রথম দুই দিনে, ফেডারেল রিজার্ভ এবং ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিদের বেশ কয়েকটি বক্তৃতা ছিল, কিন্তু তারা তেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেননি। এটি বিস্ময়কর নয়, কারণ গত সপ্তাহে BoE এবং ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল এবং বাজারের ট্রেডাররা সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য পেয়েছিল। মনে করে দেখুন যে গত সপ্তাহে BoE-এর অবস্থান অনেক বেশি হকিশ বা কঠোর ছিল, যা পাউন্ডের মূল্য বৃদ্ধি শুরু করেছিল। কিন্তু এই সপ্তাহে, পাউন্ডের মূল্যের শক্তিশালী হওয়ার কোন কারণ ছিল না, তাই এই পেয়ারের মূল্য কেন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা ট্রেড করছে তা একটি রহস্য রয়ে গেছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট5-মিনিটের চার্টে, তিনটি ট্রেডিং সিগন্যাল তৈরি করা হয়েছিল। সকালে পাউন্ডের মূল্য বাড়তে শুরু করে। এই পেয়ারের মূল্য প্রথমে 1.2688 এর লেভেল অতিক্রম করে, যেখানে নতুন ট্রেডাররা লং পজিশন খুলতে পারত। পরবর্তীতে, এই পেয়ারের মূল্য 1.2723-এর লেভেল অতিক্রম করেছে, এবং দিনের বাকি সময়ে এই পেয়ারের মূল্য এই লেভেলের উপরে ছিল। লং পজিশনগুলো সন্ধ্যায় ম্যানুয়ালি বন্ধ করা যেতে পারে, যেহেতু কোনও সেল সিগন্যাল ছিল না। এই ট্রেড থেকে লাভ ছিল প্রায় 40 পিপস।
বুধবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:প্রতি ঘন্টার চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আবার শুরু হয়েছে, কিন্তু এই পেয়ারের মূল্য কেন এইভাবে এগোচ্ছে তার উত্তর দেওয়া কঠিন। গত সপ্তাহে, ব্রিটিশ পাউন্ডের দর বৃদ্ধির নির্দিষ্ট কারণ ছিল, কিন্তু এই সপ্তাহে সেরকম কারণ নেই। এবং এটি অসম্ভব যে এই সপ্তাহে এই ধরনের প্রভাবক তৈরি হবে, তাই এই পেয়ারের মূল্যের 1.2502 লেভেলে ফিরে আসা যৌক্তিক হবে৷
বুধবার, আমরা আপনাকে 1.2725 এর লেভেল এবং 1.2787-1.2791 এর এরিয়া ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ দিই। যদি প্রথম লেভেলের নিচে এই পেয়ারের মূল্যের কনসলিডেশন হয়, তাহলে সেটি 1.2611 এর লক্ষ্যমাত্রায় এই পেয়ার বিক্রি করার একটি কারণ হবে। যদি পেয়ারটির মূল্য 1.2787-1.2791 এরিয়া থেকে বাউন্স করে, এটিও এই পেয়ার বিক্রি করার একটি কারণ হবে। 1.2787-1.2791 এর লক্ষ্যমাত্রায় উপরে থেকে 1.2725 এর লেভেল থেকে মূল্যের বাউন্স হলে আপনি এই পেয়ার কিনতে পারেন।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2270, 1.2310, 1.2372-1.2387, 1.2457, 1.2502, 1.2544, 1.2605-1.2611, 1.2688, 1.2725, 1.2787-1.2791, 1.2848-1.2860, 1.2913। বুধবার, যুক্তরাজ্যে এ সপ্তাহের প্রথম গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন নভেম্বরের মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যান প্রকাশিত হবে। যুক্তরাজ্যের মুদ্রাস্ফীতির প্রতিবেদন শুধুমাত্র একটি অনুমান সহ প্রকাশ করা হয়, তাই বাজারের ট্রেডারদের প্রতিক্রিয়া উল্লেখযোগ্য হওয়া উচিত। যদি দেশটির মূল্যস্ফীতি পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি কমে যায়, তাহলে এটি আমাদের জন্য দরপতনের আশা করার ইঙ্গিত দেবে। মূল্যস্ফীতি পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি হলে পাউন্ডের দাম বাড়তে পারে।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি লাভ করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।