শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া EUR/USD পেয়ারের মূল্যের নিম্নগামী মুভমেন্ট প্রসারিত হতে ব্যর্থ হয়েছে। এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার কম ছিল, ফলে 40 পিপসের মুভমেন্টও দেখা যায়নি। অতএব, মূলত কোন মুভমেন্ট ছিল না, যা সম্পর্কে আমরা ইতোমধ্যেই আপনাকে সতর্ক করেছিলাম। মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমির অভাব ছিল। ফেডারেল রিজার্ভের কর্মকর্তা জন উইলিয়ামস বক্তৃতা দিয়েছিলেন, তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে গত সপ্তাহে পাওয়েলের বক্তৃতার অর্থ এই নয় যে জানুয়ারি বা মার্চে মুদ্রানীতির নমনীয়করণ শুরু হবে। আগামী বছরে মূল সুদের হার কমানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে, কিন্তু তা অবিলম্বে ঘটবে না, বরং যখন মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পাবে তখন সুদের হার কমানো হবে। যাইহোক, জন উইলিয়ামসের বক্তৃতা ডলারের উপর কোন প্রভাব ফেলেনি।
প্রযুক্তিগত চিত্র পরিবর্তন হয়নি। গত সপ্তাহে এই পেয়ারের মূল্য ফেড এবং ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক, সেইসাথে পাওয়েল এবং লাগার্ডের বক্তৃতার দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে। এবং এখন ইউরোর দর বৃদ্ধির কোন কারণ নেই। যাইহোক, আমরা বারবার উল্লেখ করেছি যে ইউরোর মূল্যের আরও শক্তিশালী হওয়ার যথেষ্ট ভিত্তি ছিল না এবং এখনও নেই। সময়ে সময়ে, ইভেন্ট এবং প্রতিবেদনগুলোর ফলাফলের প্রভাবে এই পেয়ারের মূল্য বেড়েছিল, কিন্তু এখনও পর্যন্ত, এই দর বৃদ্ধিকে সংশোধনমূলক বৃদ্ধি হিসাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে।
EUR/USD পেয়ারের 5M চার্ট5 মিনিটের চার্টে, সোমবার এই পেয়ারের মূল্য কার্যত স্থির ছিল। দিনের একমাত্র ট্রেডিং সিগন্যাল রাতে তৈরি হয়েছিল যখন মূল্য 1.0896-1.0904 এরিয়া থেকে বাউন্স হয়ে যায়। দিনের বেলায়, এই পেয়ারের মূল্য সবেমাত্র 16 পিপস বেড়েছে, তাই লং পজিশনের জন্য ব্রেকইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত ছিল। যাইহোক, এই পেয়ারের মূল্য 1.0904 লেভেলে ফিরে আসেনি বা 1.0940-এর লেভেলে উঠেনি। নতুন ট্রেডাররা যে কোনও জায়গায় একটি লং পজিশন ক্লোজ করতে পারে এবং কিছুটা মুনাফা করতে পারে।
মঙ্গলবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:প্রতি ঘন্টার চার্টে, EUR/USD পেয়ারের মূল্যের শক্তিশালী ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা শুরু হয়েছে, কিন্তু এটি যেকোন মুহূর্তে শেষও হতে পারে। আমরা মনে করি যে ইউরোর মূল্য আরও বাড়ার যথেষ্ট কারণ নেই। গত সপ্তাহে, এই পেয়ারের দর বৃদ্ধি মৌলিক পটভূমি দ্বারা সমর্থিত ছিল, কিন্তু এই সপ্তাহে এটি আর একই সমর্থন পাবে না।
মঙ্গলবার, আমরা আপনাকে 1.0896-1.0904 এর এরিয়া ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করার পরামর্শ দিচ্ছি। এখন পর্যন্ত, এই পেয়ারের মূল্য এই এরিয়া থেকে রিবাউন্ড করেছে, তাই এই পেয়ারের মূল্য একটু বেশি উপরে উঠতে পারে, কিন্তু তারপরে আবার মূল্য এই লেভেলে ফিরে আসা উচিত। এই পেয়ারের মূল্য এই লেভেল ব্রেক করে গেলে এবং 7ম লেভেলে নেমে যাওয়ার উপর নির্ভর করে আপনি নতুন শর্ট পজিশন খুলতে পারেন।
5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.0611-1.0618, 1.0668, 1.0733, 1.0767-1.0781, 1.0835, 1.0896-1.0904, 1.0940, 1.0971-1.0981, 1.1011, 1.1043, 1.1091, 1.1132-1.1145.। মঙ্গলবার, ইউরোজোনে একটি মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যার বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা সৃষ্টি করার কথা থাকলেও বাস্তবে বাজারের ট্রেডারদের দুর্বল প্রতিক্রিয়াও উস্কে দেওয়ার সম্ভাবনা নেই। এটি নভেম্বরের দ্বিতীয় পূর্বাভাস হবে, যা প্রথমটি থেকে ভিন্ন হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ইস্যু করা বিল্ডিং পারমিট বা জারি করা নির্মাণ অনুমোদনের পরিসংখ্যান সম্পর্কে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যা খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।
ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি লাভ করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।