GBP/USD পেয়ারের ট্রেডিংয়ের পরিকল্পনা, ৭ ডিসেম্বর। নতুন ট্রেডারদের জন্য সহজ পরামর্শ

বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:GBP/USD পেয়ারের 30M চার্ট

GBP/USD পেয়ারের মূল্য দুবার 1.2544 এর লেভেল অতিক্রম করতে ব্যর্থ হয়েছে, তারপর এই লেভেল থেকে মূল্যের বাউন্স হয়েছে এবং ঊর্ধ্বমুখী সংশোধন শুরু হয়েছে। আমরা মনে করি যে এই পেয়ারের মূল্য ট্রেন্ডলাইন অতিক্রম করার পরে, নিম্নগামী প্রবণতা শুরু হয়েছে, তাই যেকোনো ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টকে সংশোধন হিসাবে বিবেচনা করা হয়। বৃহস্পতিবার পাউন্ডের মূল্য বাড়ার কোনো কারণ ছিল না, যেমনটি গত দেড় মাসের বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হয়েছে। যাইহোক, এই পেয়ারের মূল্যের সংশোধন এবং পুলব্যাকের এখনও সম্ভাবনা রয়েছে, তাই প্রযুক্তিগতভাবে, এই পেয়ারের মূল্যের এইরূপ মুভমেন্ট যৌক্তিক বলে মনে হয়। সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন থেকে, আমরা কেবল মার্কিন বেকারত্বের আবেদনের প্রতিবেদনের কথা তুলে ধরতে পারি, যেটির মান পূর্বাভাসের থেকে আলাদা ছিল না। অন্য কোন প্রতিবেদনের প্রকাশনা বা ইভেন্ট ছিল না।

এইভাবে, সংশোধন সত্ত্বেও, এই পেয়ারের মূল্য প্রযুক্তিগত পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়নি। আমরা এখনও আশা করি পাউন্ডের মূল্য কমবে, অন্তত দ্বিতীয় ঊর্ধ্বমুখী ট্রেন্ডলাইনে নেমে যাবে, যা উপরের চার্টে দৃশ্যমান। আমরা ব্রিটিশ মুদ্রার স্পষ্ট দরপতন দেখতে পাওয়ার আশা করছি। তাই যতক্ষণ না বাজারের ট্রেডাররা আগের গতিকে অনুসরণ না করে, ততক্ষণ পাউন্ডের আরও দরপতন হওয়াটা বেশ যৌক্তিক মনে হয়।

GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট

5-মিনিটের চার্টে, দুটি ক্রয় সংকেত তৈরি হয়েছিল। উভয় ক্ষেত্রেই এই পেয়ারের মূল্য নিখুঁত নির্ভুলতার সাথে 1.2544 এর লেভেলে বাউন্স করেছে। প্রথম ক্ষেত্রে, মূল্য 30 পিপস বেড়েছে, কিন্তু তারপরে মূল্য 1.2544 লেভেলে ফিরে এসেছে। অতএব, প্রথম লং পজিশনটি স্টপ লস-এর সাথে ব্রেকইভেনে ক্লোজ হয়ে যায়। দ্বিতীয় লং পজিশনটি 40 পিপস লাভ এনেছে, কারণ মূল্য 1.2605 এর লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে এবং এটি কার্যকর হয়েছে। এই লেভেলের কাছাকাছি লং পজিশন ক্লোজ করা উচিত ছিল।

শুক্রবারের ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:

ঘণ্টাযভিত্তিক চার্টে, GBP/USD পেয়ারের মূল্য অবশেষে কমতে শুরু করেছে, যা বর্তমানে খুবই দুর্বল। আমরা বিশ্বাস করি যে পাউন্ডের দরপতন অব্যাহত থাকা উচিত কারণ এটির মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী মুভমেন্টের ন্যায্যতা দেওয়ার কোন মৌলিক এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক কারণ নেই। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে পাউন্ডের দর বেশ তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং এর জন্য কোন যুক্তিযুক্ত কারণ নেই, তাই এখন স্পষ্টভাবে এই পেয়ারের দরপতন হতে পারে। মূল বিষয় হল মার্কিন প্রতিবেদনগুলো সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।

5M চার্টের মূল লেভেলগুলো হল 1.2270, 1.2310, 1.2372-1.2387, 1.2457-1.2488, 1.2544, 1.2605-1.2620, 1.2688, 1.2723, 1.2787-1.2791, 1.2848-1.2860। শুক্রবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে, যার মধ্যে দুটি প্রতিবেদন বাজারে শক্তিশালী মুভমেন্ট শুরু করতে পারে। এমন একটি সম্ভাবনা রয়েছে যে আমরা পর্যায়ক্রমে এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী এবং নিম্নগামী মুভমেন্ট দেখতে পাব, তবে যে কোনও ক্ষেত্রেই, মূল্যের অস্থিরতা বাড়বে এবং আমরা জানতে পারব যে নভেম্বরের প্রতিবেদনগুলো যা মার্কিন অর্থনীতির দুর্বলতার প্রতিফলন ঘটিয়েছিল তা আসলে সঠিক ছিল না কি কেবল কাকতালীয় ছিল।

ট্রেডিংয়ের মূল নিয়মাবলী:

1) সংকেত গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সংকেতের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সংকেত তত শক্তিশালী হয়।

2) যদি কৃত্রিম সংকেতের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সংকেত উপেক্ষা করা উচিত।

3) ফ্ল্যাট প্রবণতার সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক কৃত্রিম সংকেত তৈরি হতে পারে বা কোন সংকেতের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।

4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি বন্ধ করতে হবে।

5) আপনি 30-মিনিটের টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সংকেত ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।

6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপ পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।

চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:

সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি লাভ করতে পারেন।

লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল।

MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সংকেত লাইন নিয়ে গঠিত। যখন এগুলো অতিক্রম করা হয়, সেটি বাজারে এন্ট্রির একটি সংকেত। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।

ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।