GBP/USD কারেন্সি পেয়ার বৃহস্পতি ও শুক্রবার নিম্নমুখী প্রবণতায় কাটিয়েছে। এই দিনগুলিতে, আমেরিকান মুদ্রা বেশ উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হয়েছিল, যদিও এর জন্য কোনও সামষ্টিক অর্থনৈতিক বা মৌলিক কারণ ছিল না। বৃহস্পতিবার মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর উভয় প্রধান মুদ্রা জোড়ার পতন শুরু হয়েছিল, তবে প্রতিবেদনটি নিজেই চাঞ্চল্যকর ছিল না। অধিকন্তু, মুদ্রাস্ফীতির সূচকগুলি আর কোনো মুদ্রা জোড়ার গতিবিধির উপর তেমন প্রভাব ফেলে না, কারণ তিনটি কেন্দ্রীয় ব্যাংক (যা আমরা পর্যালোচনা করি) প্রায় তাদের সর্বোচ্চ সুদের হারে পৌঁছেছে। ইসিবি, উচ্চ মাত্রার সম্ভাবনা সহ, ইতিমধ্যেই কঠোর করা শেষ করেছে, এবং ফেড এবং ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড সর্বাধিক একবারে হার বাড়াতে পারে। অতএব, মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে বা কমছে তা আর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। নিয়ন্ত্রকেরা কার্যত সবকিছুই করেছে।
এই ঘটনা এবং গত সপ্তাহের আন্দোলনের আলোকে, আমরা বিশ্বাস করি যে ঊর্ধ্বগামী সংশোধন সম্পূর্ণ নাও হতে পারে। মুভিং এভারেজের নিচে ড্রপ স্থানীয় প্রবণতা বিক্রি বা পরিবর্তনের জন্য একটি সংকেত, তবে এমন পরিস্থিতিও রয়েছে যখন বাজারে "ঝড়" হয়। আমরা বিশ্বাস করি যে এই সপ্তাহে চলমান গড়ের উপরে পুনঃস্থাপনের একটি উচ্চ সম্ভাবনা রয়েছে; ঊর্ধ্বমুখী সংশোধন খুব দুর্বল হয়েছে, এবং গত সপ্তাহের শেষে ডলারের বৃদ্ধি ভিত্তিহীন বলে মনে হচ্ছে। তদুপরি, এই সপ্তাহে যে কোনও ক্ষেত্রে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা রয়েছে।
এই সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হতে পারে ব্রিটিশ মুদ্রাস্ফীতি এবং জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতা সংক্রান্ত প্রতিবেদন। যাইহোক, এমনকি এই তথ্যটি খুব নিস্তেজ এবং অসাধারণ হতে পারে। অতএব, চলতি সপ্তাহটি পুরোপুরি প্রযুক্তিগত আন্দোলনের সাথে পার হতে পারে।
মিঃ বেইলি কি একটি নতুন সুদের হার বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছেন? ব্যাংক অফ ইংল্যান্ড বাজারের জন্য একটি "ওয়াইল্ড কার্ড" রয়ে গেছে। মনে হচ্ছে সবকিছু পরিষ্কার। তবে, গত বৈঠকে হার না বাড়ানো হলেও নিয়ন্ত্রকের আচমকা কড়াকড়ির অবসানের সম্ভাবনা নেই। তাছাড়া মূল্যস্ফীতি অনেক বেশি থাকে। অতএব, আমরা বিশ্বাস করি যে আরেকটি হার বৃদ্ধির উপর নির্ভর করা বেশ সম্ভব। শনিবার, ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের প্রধান মিঃ বেইলি ইনস্টিটিউট অফ ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স ইভেন্টে কিছু বিবৃতি দিয়েছেন। বিশেষ করে, তিনি বলেছেন যে ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ডের পদক্ষেপ কঠোর থাকবে। যাইহোক, একই সময়ে, তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে এটি নতুন বৃদ্ধির চেয়ে দীর্ঘ সময়ের জন্য সর্বোচ্চ সম্ভাব্য স্তরে রাখার বিষয়ে আরও বেশি। "মূল্যস্ফীতিকে 2%-এ নামিয়ে আনার শেষ পর্যায়টি সবচেয়ে কঠিন হবে," মিঃ বেইলি অভিযোগ করেন।
সাধারণভাবে, মিঃ বেইলির বক্তৃতাটিকে "হকিশ" বলা ভালো হবে, কিন্তু না। 6.7% মূল্যস্ফীতি সহ এই হারটিকে দীর্ঘ সময়ের জন্য সর্বোচ্চ মূল্যে রাখতে হবে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্যের প্রয়োজন নেই। এটা স্পষ্ট। যাইহোক, ফেডও তার হারকে শীর্ষে রাখবে, তাই এটি একটি সংঘর্ষ। ফলস্বরূপ, মৌলিক পটভূমি এই মুহূর্তে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয়। ডলারের দাম বাড়তে পারে কারণ এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য পড়েছিল। ব্রিটিশ পাউন্ডের জন্য, যেহেতু 3 মাস আগে বা 6 মাস আগে শক্তিশালী বৃদ্ধির কোনও কারণ ছিল না, এখনও কোনও কারণ নেই।
গত 5 ব্যবসায়িক দিনে GBP/USD পেয়ারের গড় অস্থিরতা হল 99 পয়েন্ট যা "গড়" হিসাবে বিবেচনা করা হয়। অতএব, সোমবার, 16 অক্টোবর, আমরা 1.2039 এবং 1.2237 রেঞ্জের মধ্যে মুভমেন্ট আশা করি। ঊর্ধ্বমুখী হাইকেন আশি সূচকের ঊর্ধ্বমুখী হওয়া আপট্রেন্ডের সম্ভাব্য পুনরুদ্ধারের সংকেত দেবে।
নিকটতম সাপোর্ট লেভে:
S1 - 1.2146
S2 - 1.2085
S3 - 1.2024
নিকটতম রেজিস্ট্যান্স লেভেল:
R1 - 1.2207
R2 - 1.2268
R3 - 1.2329
ট্রেডিং সুপারিশ:
4-ঘণ্টার টাইম- ফ্রেমে, GBP/USD পেয়ার অপ্রত্যাশিতভাবে মুভিং এভারেজের নিচে নেমে গেছে। তাই, 1.2085 এবং 1.2039-এ টার্গেট সহ শর্ট পজিশন ধরে রাখা সম্ভব যতক্ষণ না হাইকেন আশি নির্দেশক উপরের দিকে রিভার্স করে। মূল্য চলমান গড়ের উপরে একত্রিত হওয়ার ক্ষেত্রে, 1.2329 এবং 1.2390-এ টার্গেট সহ লং পজিশন আবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠবে। আমরা দ্বিতীয় দৃশ্যকল্প সমর্থন করছি।
চিত্রের বিশ্লেষণ:
লিনিয়ার রিগ্রেশন চ্যানেল - চলমান প্রবণতা নির্ধারণ করতে সাহায্য করে। যদি উভয়ই একই দিকে পরিচালিত হয়, তবে প্রবণতাটি শক্তিশালী হবে।
মুভিং এভারেজ লাইন (সেটিংস 20.0, মসৃণ) - স্বল্প মেয়াদী প্রবণতা এবং এখন কোন দিকে ট্রেড করা উচিত তা নির্ধারণ করে।
মারে স্তর - প্রবণতা এবং সংশোধনের লক্ষ্যমাত্রা।
অস্থিরতার মাত্রা (লালরেখা) - বর্তমান অস্থিরতা সূচকের উপর ভিত্তি করে, সম্ভাব্য মূল্য চ্যানেল যেখানে মুদ্রা- জোড়া পরের দিন অবস্থান করবে।
CCI সূচক - এটির ওভার-সোল্ড এলাকায় (-250-এর নিচে) বা ওভার-বট এলাকায় (+250-এর উপরে) প্রবেশের মানে হলো যে একটি বিপরীতমুখী প্রবণতা বেশ নিকটবর্তী।